ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব ও সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন মিয়াজী এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল জালিয়াতির মাধামে ভূমিহীন ও সাধারণ মানুষের জমি দখলের’ অভিযোগ দুদক কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৯-০৮-২০২৫) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
এদিন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন, তার স্ত্রী নাজমা বেগম, মেয়ে সামিহা শবনম মিয়াজী ও রাইয়া শবনম মিয়াজীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম। আবেদনে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. সালাউদ্দিন মিয়াজী যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নে ৪০০ বিঘা জমির ওপর পার্ক নির্মাণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল জালিয়াতির মাধামে ভূমিহীন ও সাধারণ মানুষের জমি দখলের’ অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে শতশত বিঘা জমি ‘দখল’ এবং জ্ঞাত ‘আয়বহির্ভূত’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে। দুদক এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করছে।
অনুসন্ধানের বরাতে দুদক বলছে, সালাহউদ্দিন মিয়াজী এবং তার পরিবারের সদস্যরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগ তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন মনে করছে সংস্থাটি।
সালাহউদ্দিন মিয়াজী ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি হন। নির্বাচিত হওয়ার পর তার আত্মীয়স্বজনদের বিরুদ্ধে যশোরের মহেশপুরে কপোতাক্ষ নদ দখল করে মাছ চাষের অভিযোগ ওঠে।
২০২৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে যশোরের নিজস্ব রিসোর্ট থেকে সালাহউদ্দিন মিয়াজীকে যৌথবাহিনী গ্রেপ্তারের পর ওই রাতেই ৩টার দিকে তাকে বিশেষ নিরাপত্তায় ঝিনাইদহ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিএনপির জেলা কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশ তাকে ওই মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে। পরে গত ৩০ এপ্রিল বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় এবং সরকারি হাসপাতালের দেয়া মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে আদালত তাকে জামিন দেয়।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক সামরিক সচিব ও সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন মিয়াজী এবং তার স্ত্রী-সন্তানদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত। ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল জালিয়াতির মাধামে ভূমিহীন ও সাধারণ মানুষের জমি দখলের’ অভিযোগ দুদক কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (১৯-০৮-২০২৫) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব এ আদেশ দেয়। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
এদিন ঝিনাইদহ-৩ আসনের সাবেক এমপি সালাহউদ্দিন, তার স্ত্রী নাজমা বেগম, মেয়ে সামিহা শবনম মিয়াজী ও রাইয়া শবনম মিয়াজীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম। আবেদনে বলা হয়েছে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মো. সালাউদ্দিন মিয়াজী যশোর সদর উপজেলার চাঁচড়া ইউনিয়নে ৪০০ বিঘা জমির ওপর পার্ক নির্মাণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার ও জাল জালিয়াতির মাধামে ভূমিহীন ও সাধারণ মানুষের জমি দখলের’ অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে শতশত বিঘা জমি ‘দখল’ এবং জ্ঞাত ‘আয়বহির্ভূত’ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আছে। দুদক এসব অভিযোগ অনুসন্ধান করছে।
অনুসন্ধানের বরাতে দুদক বলছে, সালাহউদ্দিন মিয়াজী এবং তার পরিবারের সদস্যরা দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগ তাদের বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন মনে করছে সংস্থাটি।
সালাহউদ্দিন মিয়াজী ২০১৫ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সামরিক সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে এমপি হন। নির্বাচিত হওয়ার পর তার আত্মীয়স্বজনদের বিরুদ্ধে যশোরের মহেশপুরে কপোতাক্ষ নদ দখল করে মাছ চাষের অভিযোগ ওঠে।
২০২৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি রাতে যশোরের নিজস্ব রিসোর্ট থেকে সালাহউদ্দিন মিয়াজীকে যৌথবাহিনী গ্রেপ্তারের পর ওই রাতেই ৩টার দিকে তাকে বিশেষ নিরাপত্তায় ঝিনাইদহ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বিএনপির জেলা কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুরের ঘটনায় দায়ের করা একটি মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয় এবং পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। পুলিশ তাকে ওই মামলায় দুই দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করে। পরে গত ৩০ এপ্রিল বয়স ও শারীরিক অসুস্থতা বিবেচনায় এবং সরকারি হাসপাতালের দেয়া মেডিকেল সার্টিফিকেটের ভিত্তিতে আদালত তাকে জামিন দেয়।