স্কুল ফটকের সামনেই শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা চালিয়েছে সাবেক এক ছাত্রী। মঙ্গলবার,(১৯ আগস্ট ২০২৫) স্কুল ছুটির পরে দুপুর পৌনে দুইটার দিকে ঘটনাটি ঘটে রাজশাহী ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান ফটকের সামনে। এ ঘটনার পরে স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে হাতেনাতে আটকও করেন।
এ সময় ওই শিক্ষার্থী অশ্লীল ভাষায় স্কুলের শিক্ষককে গালিগালাজ করতে থাকে। তবে নানা অপরাধের কারণে অষ্টম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্কুল থেকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। সেই ক্ষোভ থেকে আজ দুপুরে বাংলা বিভাগের শিক্ষক মারুফ খাকি স্কুল ছুটির পরে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ছুরিকাঘাত করে ওই শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে রাজশাহী বিজিবি স্কুলের দশম শ্রেণীতে পড়ে। তারা বাবা রাজশাহীর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষক। ওই শিক্ষার্থীর ছোট ভাই ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণীর ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখা ছুটি হয়ে যাওয়ার পরে শিক্ষক মারফ খাকি মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি স্কুল থেকে বের হয়ে ফটকের সামনে যেতেই একজন কিশোরী হেল্প হেল্প বলে চিৎকার করতে থাকেন। শিক্ষক মারুফ মনে করেন ওই কিশোরী মনে হয় বিপদে পড়েছে।
তিনি মোটরসাইকেল থেকে নেমে তার কাছে যেতেই ওই কিশোরী ব্যাগ থেকে চাকু বের করে শিক্ষক মারুফের ঘাড়ে আঘাত করে। এরপর আবারও আঘাত করতে
গেলে মারুফ কোনো মতে হাত দিয়ে চাকুর আঘাত ঠেকান। এ সময় স্থানীয়রা আশপাশের অভিভাবক ও ব্যবসায়ীরা এসে শিক্ষক মারুফকে রক্ষা করেন এবং ওই কিশোরীকে আটক করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় শিক্ষক মারুফকে উদ্ধার করে রাজশাহীর সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে নেয়ার পরে তার ঘাড়ে ৩টি এবং হাতে চারটি সেলায় দেয়া হয়। বলে তার সহকর্মীরা জানান।
এদিকে, আটকের পর ওই কিশোরী চিৎকার দিয়ে স্কুলের শিক্ষক ও সেখানকার কর্তৃপক্ষকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়। আটক হওয়ার পরে ওই শিক্ষার্থী জানায়, সে এখানকার সাবেক শিক্ষার্থী। পরে তার অভিভাবকদের জিম্মায় দেয়া হয়।
তবে এ নিয়ে কোনো অভিযোগ না
পাওয়ায় পুলিশ পরে সেখান থেকে চলে আসে বলে জানান নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক হোসেন।
তবে শিক্ষার্থীর দ্বারা শিক্ষক ছুরিকাঘাতের ঘটনার স্বীকার করলে এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ ল্যাফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম। তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
স্কুল ফটকের সামনেই শিক্ষককে ছুরিকাঘাতে হত্যাচেষ্টা চালিয়েছে সাবেক এক ছাত্রী। মঙ্গলবার,(১৯ আগস্ট ২০২৫) স্কুল ছুটির পরে দুপুর পৌনে দুইটার দিকে ঘটনাটি ঘটে রাজশাহী ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান ফটকের সামনে। এ ঘটনার পরে স্থানীয়রা ওই ছাত্রীকে হাতেনাতে আটকও করেন।
এ সময় ওই শিক্ষার্থী অশ্লীল ভাষায় স্কুলের শিক্ষককে গালিগালাজ করতে থাকে। তবে নানা অপরাধের কারণে অষ্টম শ্রেণীতে পড়া অবস্থায় ওই শিক্ষার্থীকে এর আগে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে স্কুল থেকে বহিষ্কার করে কর্তৃপক্ষ। সেই ক্ষোভ থেকে আজ দুপুরে বাংলা বিভাগের শিক্ষক মারুফ খাকি স্কুল ছুটির পরে বাড়ি ফেরার পথে তাকে ছুরিকাঘাত করে ওই শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থী বর্তমানে রাজশাহী বিজিবি স্কুলের দশম শ্রেণীতে পড়ে। তারা বাবা রাজশাহীর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষক। ওই শিক্ষার্থীর ছোট ভাই ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজে নবম শ্রেণীর ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে রাজশাহী ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখা ছুটি হয়ে যাওয়ার পরে শিক্ষক মারফ খাকি মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন। তিনি স্কুল থেকে বের হয়ে ফটকের সামনে যেতেই একজন কিশোরী হেল্প হেল্প বলে চিৎকার করতে থাকেন। শিক্ষক মারুফ মনে করেন ওই কিশোরী মনে হয় বিপদে পড়েছে।
তিনি মোটরসাইকেল থেকে নেমে তার কাছে যেতেই ওই কিশোরী ব্যাগ থেকে চাকু বের করে শিক্ষক মারুফের ঘাড়ে আঘাত করে। এরপর আবারও আঘাত করতে
গেলে মারুফ কোনো মতে হাত দিয়ে চাকুর আঘাত ঠেকান। এ সময় স্থানীয়রা আশপাশের অভিভাবক ও ব্যবসায়ীরা এসে শিক্ষক মারুফকে রক্ষা করেন এবং ওই কিশোরীকে আটক করেন।
গুরুতর আহত অবস্থায় শিক্ষক মারুফকে উদ্ধার করে রাজশাহীর সিএমএইচে ভর্তি করা হয়। সেখানে নেয়ার পরে তার ঘাড়ে ৩টি এবং হাতে চারটি সেলায় দেয়া হয়। বলে তার সহকর্মীরা জানান।
এদিকে, আটকের পর ওই কিশোরী চিৎকার দিয়ে স্কুলের শিক্ষক ও সেখানকার কর্তৃপক্ষকে নিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশও ঘটনাস্থলে যায়। আটক হওয়ার পরে ওই শিক্ষার্থী জানায়, সে এখানকার সাবেক শিক্ষার্থী। পরে তার অভিভাবকদের জিম্মায় দেয়া হয়।
তবে এ নিয়ে কোনো অভিযোগ না
পাওয়ায় পুলিশ পরে সেখান থেকে চলে আসে বলে জানান নগরীর বোয়ালিয়া থানার ওসি মোস্তাক হোসেন।
তবে শিক্ষার্থীর দ্বারা শিক্ষক ছুরিকাঘাতের ঘটনার স্বীকার করলে এ বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন অধ্যক্ষ অধ্যক্ষ ল্যাফটেন্যান্ট কর্নেল মো. রেজাউল করিম। তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ হোসেন বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।