হিলি বন্দরে আমদানিকৃত চালের সারিবদ্ধ ট্রাক -সংবাদ
হিলি স্থলবন্দরে দীর্ঘ ৫ দিন পর কাটলো আমদানি করা চালের শুল্ক জটিলতা।
শুল্ক জটিলতায় হিলি স্থলবন্দরে আটকে ছিল চাল বোঝাই ট্রাক গুলো। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে গত ৫ দিন আগে থেকে। গত সোমবার পর্যন্ত প্রায় ২৭০০ মেট্রিকটন চাল ৬১টি ট্রাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে করে।
৬৩.৫% থেকে শুল্ক কমে বর্তমানে ২%
চাল খালাস শুরু হওয়ায় বাজারে সরবরাহ বাড়বে, কমবে দামও, আশা ব্যবসায়ীদের
এরই মধ্যে হিলি স্থলবন্দরে চাল আমদানিতে শুল্কহার ৬৩.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মঙ্গলবার,(১৯ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে কাস্টমসের সার্ভারে এ তথ্য আপলোড হওয়ার পর স্থলবন্দরে শুল্ক জটিলতায় আটকে থাকা চাল খালাস শুরু করেছে সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারকরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাল খালাস শুরু হওয়ায় বাজারে সরবরাহ বাড়বে এবং দামও কমে আসবে। প্রায় চার মাস বন্ধ থাকার পর গত ১২ আগস্ট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়।
তবে শুল্ক জটিলতার কারণে বন্দরে ৬৪টি ট্রাকে ২ হাজার ৮১৪ টন চাল খালাস করা যাচ্ছিল না। মঙ্গলবার, বিকেল থেকে বন্দরে চাল খালাস শুরু হয়েছে।
হিলি বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর ইসলাম বলেন, ‘দেশের বাজারে চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু এনবিআরের নির্ধারিত ৬৩.৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে চাল ছাড় করলে বড় ধরনের লোকসান হতো। মঙ্গলবার, দুপুরে কাস্টমস সার্ভারে ২ শতাংশ শুল্ক প্রদর্শিত হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে আমদানিকারকদের মাঝে। আমরা বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে চাল ছাড় করছি।’
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘৬দিন ধরে চাল খালাস না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছিলেন। এখন খালাস শুরু হওয়ায় বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ হবে। এতে ভোক্তারা উপকৃত হবেন।’
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হলেও ৬৪ ট্রাক চাল বন্দরে খালাস হয়নি উচ্চ শুল্কের কারণে। এখন এনবিআর শুল্কহার ৬৩.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। ব্যবসায়ীরা বিল অব এন্ট্রি দাখিল করছে ২ শতাংশ অগ্রিম আয় কর দিয়ে আমদানি করা চাল খালাস নিচ্ছে।’
দেশের ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার সারাদেশের ২৪২ জন আমদানিকারককে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এর পর মঙ্গলবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হলেও চার দিন পার হলেও ব্যবসায়ীরা এখনো খালাস করেননি। এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে চাল আমদানি শুরু হয়ে ২০২৫ সালের ১৫ এপ্রিল বন্ধ হয়ে যায়। চার মাস বিরতির পর গত ১২ আগস্ট থেকে পুনরায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
গত বছরের সিদ্ধান্ত অনুসারে চাল আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ছাড়া অন্য কোনো শুল্ক বা কর প্রযোজ্য হওয়ার কথা নয়।
হিলি বন্দরে আমদানিকৃত চালের সারিবদ্ধ ট্রাক -সংবাদ
মঙ্গলবার, ১৯ আগস্ট ২০২৫
হিলি স্থলবন্দরে দীর্ঘ ৫ দিন পর কাটলো আমদানি করা চালের শুল্ক জটিলতা।
শুল্ক জটিলতায় হিলি স্থলবন্দরে আটকে ছিল চাল বোঝাই ট্রাক গুলো। দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হয়েছে গত ৫ দিন আগে থেকে। গত সোমবার পর্যন্ত প্রায় ২৭০০ মেট্রিকটন চাল ৬১টি ট্রাকে ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশে করে।
৬৩.৫% থেকে শুল্ক কমে বর্তমানে ২%
চাল খালাস শুরু হওয়ায় বাজারে সরবরাহ বাড়বে, কমবে দামও, আশা ব্যবসায়ীদের
এরই মধ্যে হিলি স্থলবন্দরে চাল আমদানিতে শুল্কহার ৬৩.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মঙ্গলবার,(১৯ আগস্ট ২০২৫) দুপুরে কাস্টমসের সার্ভারে এ তথ্য আপলোড হওয়ার পর স্থলবন্দরে শুল্ক জটিলতায় আটকে থাকা চাল খালাস শুরু করেছে সিএন্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারকরা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাল খালাস শুরু হওয়ায় বাজারে সরবরাহ বাড়বে এবং দামও কমে আসবে। প্রায় চার মাস বন্ধ থাকার পর গত ১২ আগস্ট থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়।
তবে শুল্ক জটিলতার কারণে বন্দরে ৬৪টি ট্রাকে ২ হাজার ৮১৪ টন চাল খালাস করা যাচ্ছিল না। মঙ্গলবার, বিকেল থেকে বন্দরে চাল খালাস শুরু হয়েছে।
হিলি বন্দরের সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুর ইসলাম বলেন, ‘দেশের বাজারে চালের দাম স্বাভাবিক রাখতে ভারত থেকে চাল আমদানির অনুমতি দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। কিন্তু এনবিআরের নির্ধারিত ৬৩.৫ শতাংশ শুল্ক দিয়ে চাল ছাড় করলে বড় ধরনের লোকসান হতো। মঙ্গলবার, দুপুরে কাস্টমস সার্ভারে ২ শতাংশ শুল্ক প্রদর্শিত হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে আমদানিকারকদের মাঝে। আমরা বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে চাল ছাড় করছি।’
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হোসেন বলেন, ‘৬দিন ধরে চাল খালাস না হওয়ায় ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েছিলেন। এখন খালাস শুরু হওয়ায় বাজারে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ হবে। এতে ভোক্তারা উপকৃত হবেন।’
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হলেও ৬৪ ট্রাক চাল বন্দরে খালাস হয়নি উচ্চ শুল্কের কারণে। এখন এনবিআর শুল্কহার ৬৩.৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। ব্যবসায়ীরা বিল অব এন্ট্রি দাখিল করছে ২ শতাংশ অগ্রিম আয় কর দিয়ে আমদানি করা চাল খালাস নিচ্ছে।’
দেশের ঊর্ধ্বমুখী চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার সারাদেশের ২৪২ জন আমদানিকারককে চাল আমদানির অনুমতি দেয়। এর পর মঙ্গলবার থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরু হলেও চার দিন পার হলেও ব্যবসায়ীরা এখনো খালাস করেননি। এর আগে ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে চাল আমদানি শুরু হয়ে ২০২৫ সালের ১৫ এপ্রিল বন্ধ হয়ে যায়। চার মাস বিরতির পর গত ১২ আগস্ট থেকে পুনরায় হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চাল আমদানি শুরু হয়েছে।
গত বছরের সিদ্ধান্ত অনুসারে চাল আমদানিতে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর ছাড়া অন্য কোনো শুল্ক বা কর প্রযোজ্য হওয়ার কথা নয়।