বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে ফের গোলাগুলির শব্দ শুনে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে ভোররাত ২টা পর্যন্ত থেমে থেমে এসব শব্দ শোনা যায়।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. হেলাল জানান, হঠাৎ করেই মুহুর্মুহু গুলির শব্দে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তুমব্রু বাজার এলাকার ব্যবসায়ী মোস্তাকিম আজিজ বলেন, রাত ২টার দিকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে, যা মর্টার শেলের হতে পারে বলে তাদের ধারণা।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তের অপর প্রান্তে আরকান আর্মির নিয়ন্ত্রণাধীন ‘রাইট’ ও ‘লেফট’ নামে দুটি ক্যাম্প রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানেই গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। প্রায় ১০ দিন আগে একই স্থানে গোলাগুলি হয়েছিল।
তুমব্রু বাজারের আরেক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শফি বলেন, “একসাথে ৩০ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছি। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে আমরা আতঙ্কে আছি।”
ঘুমধুম সীমান্তটি ৩৪ বিজিবির আওতাধীন হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া মেলেনি। তবে এর আগে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম জানিয়েছিলেন, এসব গোলাগুলি মিয়ানমারের ভেতরে হলেও বাংলাদেশের ভেতরে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আরকান আর্মি দাবি করেছিল, তারা মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন অংশের পুরো ২৭১ কিলোমিটার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এরপর থেকেই ওই অঞ্চলে নিয়মিত গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।
বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে ফের গোলাগুলির শব্দ শুনে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টার পর থেকে ভোররাত ২টা পর্যন্ত থেমে থেমে এসব শব্দ শোনা যায়।
ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. হেলাল জানান, হঠাৎ করেই মুহুর্মুহু গুলির শব্দে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তুমব্রু বাজার এলাকার ব্যবসায়ী মোস্তাকিম আজিজ বলেন, রাত ২টার দিকে বিকট বিস্ফোরণের শব্দও শোনা গেছে, যা মর্টার শেলের হতে পারে বলে তাদের ধারণা।
স্থানীয়রা জানান, সীমান্তের অপর প্রান্তে আরকান আর্মির নিয়ন্ত্রণাধীন ‘রাইট’ ও ‘লেফট’ নামে দুটি ক্যাম্প রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানেই গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। প্রায় ১০ দিন আগে একই স্থানে গোলাগুলি হয়েছিল।
তুমব্রু বাজারের আরেক ব্যবসায়ী মোহাম্মদ শফি বলেন, “একসাথে ৩০ থেকে ৪০ রাউন্ড গুলির শব্দ শুনেছি। এ অবস্থায় পরিবার নিয়ে আমরা আতঙ্কে আছি।”
ঘুমধুম সীমান্তটি ৩৪ বিজিবির আওতাধীন হলেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া মেলেনি। তবে এর আগে ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম জানিয়েছিলেন, এসব গোলাগুলি মিয়ানমারের ভেতরে হলেও বাংলাদেশের ভেতরে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে আরকান আর্মি দাবি করেছিল, তারা মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী রাখাইন অংশের পুরো ২৭১ কিলোমিটার নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে। এরপর থেকেই ওই অঞ্চলে নিয়মিত গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।