alt

সারাদেশ

উচ্চ শুল্কের পণ্য কসমেটিকস ও ফেব্রিক্স পাচার

বেনাপোল বন্দরে জাল কাগজপত্রে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি

প্রতিনিধি, বেনাপোল : বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫

দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে জাল মেনিফেস্টের কাগজ ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধ একটি চক্র কৌশলে একই মেনিফেস্ট একাধিকবার ব্যবহার করে ভারত থেকে বিপুল পণ্য আমদানি করছে। এতে জাতীয় অর্থনীতি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি বৈধ আমদানিকারকরা প্রতিযোগিতায় টিকতে হিমশিম খাচ্ছেন।

আমদানি বা রপ্তানি পণ্যের নাম, পরিমাণ, ওজন, উৎস দেশ আর গন্তব্যসহ আমদানি ও রপ্তানিকারকের তথ্য সংবলিত নথিকে বলা হয় কার্গো মেনিফেস্টো। এই নথির তথ্যের ভিত্তিতেই কাস্টমস হাউজে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়। পরে শুল্ক আরোপ করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, বেনাপোলে ওই নথির তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে উচ্চ শুল্কের পণ্য, বিশেষ করে কসমেটিকস ও ফেব্রিক্স অবৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ চক্রটির সঙ্গে বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বন্দরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরাসরি জড়িত।

সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ৫০১ টি মেনিফেস্টোর বিপরীতে কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়নি। এর আগে একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে ২০২৪ সালের পুরো বছর। তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮৯১টি মেনিফেস্টোর পরিবর্তে ২১৭টি মেনিফেস্টো নাম্বার সঠিক। বাকি ৬৭৪টি মেনিফেস্টোর তথ্য বেনাপোল স্থল বন্দর ও কাস্টমস ‘অ্যাসাইকুডা’ সিস্টেমে তথ্য মেলেনি।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, এসব অনিয়ম তদন্তের জন্য অভ্যন্তরীণ অডিট এবং এনবিআরের তদন্ত দল ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনো দৃশ্যমান কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

রাজস্ব ফাঁকি ও আমদানি প্রক্রিয়ায় এমন জালিয়াতি দেশের অর্থনীতি ও বৈধ বাণিজ্য পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, দ্রুত তদন্ত শেষ করে দায়ীদের চিহ্নিত ও শাস্তির আওতায় না আনলে এ ধরনের অনিয়ম ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।

জাতীয় রাজম্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বেনাপোল কাস্টমস হাউস বরাবর চিঠি দিয়ে ২০২৪ সালের ওই ৮৯১ টি মেনিফেস্টোর বিষয়ে ব্যাখ্যা চায়। একই বছরের ৫ মে ফের আরেকটি চিঠি পাঠিয়ে দ্বিতীয় দফায় জানতে চাওয়া হয় কেন এসব মেনিফেস্টোর বিপরীতে কোনো বিল অব এন্ট্রি নেই। তবে এখনো পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কোনো সন্তোষজনক জবাব মেলেনি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বন্দর সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের সহায়তায় প্রায় নিয়মিতভাবেই পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো কাগজপত্র ছাড়াই দেশীয় বাজারে প্রবেশ করছে। এতে বৈধপথে আমদানিকারকরা বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না। কারণ শুল্ক ফাঁকি দেওয়া এসব পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় বাজারে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং দেশীয় শিল্পের জন্য হুমকি তৈরি করছে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশরেন সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, আমরা শুনেছি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই মেনিফেস্টো দুই থেকে পাঁচবার, ১০ বার ও ১৬ বার পর্যন্ত ব্যবহার করে একটি চক্র কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। বিশেষ করে উচ্চ শুল্কের পণ্য কসমেটিকস ও ফেব্রিক্সের চালান পাচার হয়েছে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়শনের সিনিয়ন সহসভাপতি খায়রুজ্জামান মধু জানান, ভারতীয় কাস্টমস সাইডের গত এক বছরের কার্গোর রেকর্ড অর্থাৎ ইজিএমের (এক্সপার্ট জেনারেল মেনিফেস্টো) কার্গো রেজিস্টার যাচাই করলে মোট কতটি গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, ওজন কত, কী কী পণ্য, এসব তথ্যের জট খুলবে তখন। পরবর্তীতে ক্রসচেক করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। তিনি আরও বলেন, আমরা ব্যবসায়ী হিসেবে চাই সঠিক তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীকে আইনের আওতায় আনা হোক।

বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক মো. শামীম হোসেন বলেন, কোনো কোনো মেনিফেস্টো নাম্বারের বিপরীতে একাধিক মেনিফেস্টো নাম্বারটি জমা পড়েছে। বিষয়টি আমরা তদারকি করছি এবং ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অসৎ পথ অবলম্বন করতে না পারে সেই বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক আছি।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কাস্টমস কমিশনার মো. রাজন হোসেন বলেন, গত ৫ মে মেনিফেস্টো দাখিল হয়েছে, কিন্তু বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়নি। এমন পণ্য চালানসহ নিষ্পত্তি করণের লক্ষ্যে একটি পত্র প্রেরণ করা হলে বন্দর কর্তৃপক্ষ পত্র পর্যালোচনা করে দেখেন কিছু মেনিফেস্টোর পুনরাবৃত্তি রয়েছে। অনিয়ম ধরা পড়ায় এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির কার্যক্রম চলমান।

ছবি

লঘুচাপে উত্তাল বঙ্গোপসাগর, উপকুলে আশ্রয় নিয়েছে শত শত ট্রলার, বন্ধ ইলিশ আহরণ

ছবি

রিকশাচালক আজিজুরে ‘আশা’ পলকের

ছবি

নরসিংদীতে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা

ছবি

খুলনায় বেড়িবাঁধে ভাঙন, ঝুঁকিতে ১৩ গ্রামের মানুষ

ছবি

আসন পুনর্বিন্যাসের প্রতিবাদে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ

ছবি

পায়নি চাঁদা, তাই মোটরসাইকেলে এসে ব্যবসায়ীর বাড়িতে গুলি

ছবি

সাদা পাথর লুটপাট: জেলা প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদনে ১০ সুপারিশ, জড়িতদের তালিকায় ১৩৭ নাম

ছবি

ঝিনাইদহ-যশোর ৬ লেন প্রকল্প: অগ্রগতি নেই, জমির মূল্য নির্ধারণে আপত্তি

ছবি

ডাকসু: মনোনয়ন জমা, এবার লড়াইয়ের পালা

ছবি

জাকসু নির্বাচনে প্যানেল দিতে দেরি: অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও জোটের জটিলতা

ছবি

দোহারে হেরোইন ও ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার ৩

ছবি

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্প অনুমোদন হওয়ায় আনন্দ মিছিল

ছবি

সিরাজগঞ্জে হত্যা মামলায় বাবা-ছেলের কারাদণ্ড

ছবি

কোম্পানীগঞ্জে ১১ বছর পর আলোচিত সাত খুন মামলার আসামি গ্রেপ্তার

ছবি

সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে ভাসমান পাটের হাটে কেনাবেচা শুরু

ছবি

আন্তঃজেলা ডাকাত চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধী সাবেক নেতার ওপর ছাত্রদলের হামলা

ছবি

পোরশায় পানিবন্দীদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ

ছবি

পীরগাছার প্রভাবশালী থেকে কৃষকের জমি দখলমুক্ত করতে মানববন্ধন

ছবি

বগুড়ায় নিষিদ্ধ পলিথিনসহ আটক ১

ছবি

শিবগঞ্জে উচ্ছেদ হলো হাটের অবৈধ স্থাপনা

ছবি

রাকসু নির্বাচন ঘিরে সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর ১০ দফা প্রস্তাবনা

ছবি

ভৈরবে মেঘনার ভাঙনে বিলীন বাড়িঘরসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা শহররক্ষা বাঁধ নির্মাণের দাবি

ছবি

কুমির আতঙ্কে মাগুরার গড়াই মধুমতি নদী তীরের মানুষ

ছবি

কুয়াকাটা সৈকতে ভেসে এলো মৃত ইরাবতী ডলফিন

ছবি

চাঁদপুরে মেঘনার পাড় ঘেঁষে অবৈধভাবে ফের ড্রেজারে অবাধে চলছে বালু উত্তোলন

ছবি

বাংলাদেশি স্ত্রীর পরিবারের বিরুদ্ধে মার্কিন স্বামীকে ‘মারধর’র মামলায় পুনর্তদন্ত

ছবি

১৮তম নিবন্ধন : ৪১ হাজার শিক্ষক নিয়োগের সুপারিশ

ছবি

মোহাম্মদপুরে শাহ আলম হত্যায় গ্রেপ্তার ২৬

ছবি

কুড়িগ্রামে বৃষ্টি ও বন্যায় পটোল চাষিদের ব্যাপক ক্ষতি

ছবি

বনানীতে রাব্বি হত্যায় ৪ জন ৩ দিনের রিমান্ডে

ছবি

মুন্সীগঞ্জে ধলেশ্বরীতে পড়ে শিশুর মৃত্যু

ছবি

গোমস্তাপুরে অজ্ঞাত নারীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি

বাগেরহাটের দুই মাদক বিক্রেতা গ্রেপ্তার

ছবি

অনুমোদনবিহীন বেকারিকে অর্থদণ্ড

ছবি

ভালুকা সড়ক দুর্ঘটনায় দুই ভাই নিহত

tab

সারাদেশ

উচ্চ শুল্কের পণ্য কসমেটিকস ও ফেব্রিক্স পাচার

বেনাপোল বন্দরে জাল কাগজপত্রে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি

প্রতিনিধি, বেনাপোল

বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫

দেশের সর্ববৃহৎ বেনাপোল স্থলবন্দরে জাল মেনিফেস্টের কাগজ ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, দীর্ঘদিন ধরে সংঘবদ্ধ একটি চক্র কৌশলে একই মেনিফেস্ট একাধিকবার ব্যবহার করে ভারত থেকে বিপুল পণ্য আমদানি করছে। এতে জাতীয় অর্থনীতি যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি বৈধ আমদানিকারকরা প্রতিযোগিতায় টিকতে হিমশিম খাচ্ছেন।

আমদানি বা রপ্তানি পণ্যের নাম, পরিমাণ, ওজন, উৎস দেশ আর গন্তব্যসহ আমদানি ও রপ্তানিকারকের তথ্য সংবলিত নথিকে বলা হয় কার্গো মেনিফেস্টো। এই নথির তথ্যের ভিত্তিতেই কাস্টমস হাউজে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়। পরে শুল্ক আরোপ করা হয়।

অভিযোগ রয়েছে, বেনাপোলে ওই নথির তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে উচ্চ শুল্কের পণ্য, বিশেষ করে কসমেটিকস ও ফেব্রিক্স অবৈধভাবে আমদানি করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, এ চক্রটির সঙ্গে বেনাপোল কাস্টমস হাউস ও বন্দরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সরাসরি জড়িত।

সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত ৫০১ টি মেনিফেস্টোর বিপরীতে কোনো বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয়নি। এর আগে একই ধরনের অভিযোগ রয়েছে ২০২৪ সালের পুরো বছর। তথ্য অনুযায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৮৯১টি মেনিফেস্টোর পরিবর্তে ২১৭টি মেনিফেস্টো নাম্বার সঠিক। বাকি ৬৭৪টি মেনিফেস্টোর তথ্য বেনাপোল স্থল বন্দর ও কাস্টমস ‘অ্যাসাইকুডা’ সিস্টেমে তথ্য মেলেনি।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, এসব অনিয়ম তদন্তের জন্য অভ্যন্তরীণ অডিট এবং এনবিআরের তদন্ত দল ইতোমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে এখনো দৃশ্যমান কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

রাজস্ব ফাঁকি ও আমদানি প্রক্রিয়ায় এমন জালিয়াতি দেশের অর্থনীতি ও বৈধ বাণিজ্য পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, দ্রুত তদন্ত শেষ করে দায়ীদের চিহ্নিত ও শাস্তির আওতায় না আনলে এ ধরনের অনিয়ম ভবিষ্যতে আরও বড় বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে।

জাতীয় রাজম্ব বোর্ড (এনবিআর) ২০২৫ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি বেনাপোল কাস্টমস হাউস বরাবর চিঠি দিয়ে ২০২৪ সালের ওই ৮৯১ টি মেনিফেস্টোর বিষয়ে ব্যাখ্যা চায়। একই বছরের ৫ মে ফের আরেকটি চিঠি পাঠিয়ে দ্বিতীয় দফায় জানতে চাওয়া হয় কেন এসব মেনিফেস্টোর বিপরীতে কোনো বিল অব এন্ট্রি নেই। তবে এখনো পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট দপ্তর থেকে কোনো সন্তোষজনক জবাব মেলেনি।

স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বন্দর সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, এ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তাদের সহায়তায় প্রায় নিয়মিতভাবেই পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলো কাগজপত্র ছাড়াই দেশীয় বাজারে প্রবেশ করছে। এতে বৈধপথে আমদানিকারকরা বাজারে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছেন না। কারণ শুল্ক ফাঁকি দেওয়া এসব পণ্যের দাম তুলনামূলকভাবে কম হওয়ায় বাজারে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এবং দেশীয় শিল্পের জন্য হুমকি তৈরি করছে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশরেন সাবেক সভাপতি মফিজুর রহমান সজন বলেন, আমরা শুনেছি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নির্দেশে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। একই মেনিফেস্টো দুই থেকে পাঁচবার, ১০ বার ও ১৬ বার পর্যন্ত ব্যবহার করে একটি চক্র কোটি কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে। বিশেষ করে উচ্চ শুল্কের পণ্য কসমেটিকস ও ফেব্রিক্সের চালান পাচার হয়েছে।

বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়শনের সিনিয়ন সহসভাপতি খায়রুজ্জামান মধু জানান, ভারতীয় কাস্টমস সাইডের গত এক বছরের কার্গোর রেকর্ড অর্থাৎ ইজিএমের (এক্সপার্ট জেনারেল মেনিফেস্টো) কার্গো রেজিস্টার যাচাই করলে মোট কতটি গাড়ি বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে, ওজন কত, কী কী পণ্য, এসব তথ্যের জট খুলবে তখন। পরবর্তীতে ক্রসচেক করলে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে। তিনি আরও বলেন, আমরা ব্যবসায়ী হিসেবে চাই সঠিক তদন্তপূর্বক প্রকৃত দোষীকে আইনের আওতায় আনা হোক।

বেনাপোল স্থল বন্দরের পরিচালক মো. শামীম হোসেন বলেন, কোনো কোনো মেনিফেস্টো নাম্বারের বিপরীতে একাধিক মেনিফেস্টো নাম্বারটি জমা পড়েছে। বিষয়টি আমরা তদারকি করছি এবং ভবিষ্যতে কেউ যেন এ ধরনের অসৎ পথ অবলম্বন করতে না পারে সেই বিষয়ে আমরা সর্বোচ্চ সতর্ক আছি।

বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কাস্টমস কমিশনার মো. রাজন হোসেন বলেন, গত ৫ মে মেনিফেস্টো দাখিল হয়েছে, কিন্তু বিল অব এন্ট্রি দাখিল হয়নি। এমন পণ্য চালানসহ নিষ্পত্তি করণের লক্ষ্যে একটি পত্র প্রেরণ করা হলে বন্দর কর্তৃপক্ষ পত্র পর্যালোচনা করে দেখেন কিছু মেনিফেস্টোর পুনরাবৃত্তি রয়েছে। অনিয়ম ধরা পড়ায় এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির কার্যক্রম চলমান।

back to top