পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে জামায়াতে নেতা হত্যা মামলার পলাতক আসামি মো. শিপন আকনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৫ বছর যাবত তিনি বিভিন্ন জায়গায় পলাতক ছিলেন। অবশেষে গত সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পটুয়াখালীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিস্টিগেশন (পিআইবি)। পরদিন গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী গ্রামে নিজ বাড়ির পুকুর পাড়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন মির্জাগঞ্জ উপজেলার জামায়াতের আমির ও পশ্চিম সুবিদখালী ছালিয়া আলিম মাদ্রাসার আরবি বিষয়ের প্রভাষক মাওলানা আব্দুল মান্নান। সেদিন সকালে নিহত আবদুল মান্নান পুকুরের পাশের বিরোধপূর্ণ জমিতে মাটি কাটতে গেলে একই বাড়ির কেতাব আলী (৬৫) ও তার পরিবারের সদস্যরা এতে বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে কেতাব আলী ও তার ছেলে শিপন আকনসহ আরও কয়েকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাওলানা আবদুল মান্নানকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় তাকে বাঁচাতে তার (আব্দুল মান্নান) ছেলে সাইদুল (২৪) ও হাসিব (২০), চাচাতো ভাই আজহার (৭০) এবং তার ছেলে কামাল (২৩) ও শাকির (৪০) এগিয়ে আসলে তাদেরও কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জামায়াত নেতা মাওলানা আবদুল মান্নানকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাইদুল ইসলাম বাদি হয়ে শিপন আকনসহ ১০ জনকে আসামি করে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর প্রধান আসামী গ্রেপ্তার হলেন।
বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে জামায়াতে নেতা হত্যা মামলার পলাতক আসামি মো. শিপন আকনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ৫ বছর যাবত তিনি বিভিন্ন জায়গায় পলাতক ছিলেন। অবশেষে গত সোমবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পটুয়াখালীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভিস্টিগেশন (পিআইবি)। পরদিন গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, গত ২০২১ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মির্জাগঞ্জ উপজেলার দেউলী গ্রামে নিজ বাড়ির পুকুর পাড়ে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন মির্জাগঞ্জ উপজেলার জামায়াতের আমির ও পশ্চিম সুবিদখালী ছালিয়া আলিম মাদ্রাসার আরবি বিষয়ের প্রভাষক মাওলানা আব্দুল মান্নান। সেদিন সকালে নিহত আবদুল মান্নান পুকুরের পাশের বিরোধপূর্ণ জমিতে মাটি কাটতে গেলে একই বাড়ির কেতাব আলী (৬৫) ও তার পরিবারের সদস্যরা এতে বাধা দেন। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে কেতাব আলী ও তার ছেলে শিপন আকনসহ আরও কয়েকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মাওলানা আবদুল মান্নানকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। এ সময় তাকে বাঁচাতে তার (আব্দুল মান্নান) ছেলে সাইদুল (২৪) ও হাসিব (২০), চাচাতো ভাই আজহার (৭০) এবং তার ছেলে কামাল (২৩) ও শাকির (৪০) এগিয়ে আসলে তাদেরও কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক জামায়াত নেতা মাওলানা আবদুল মান্নানকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের ছেলে সাইদুল ইসলাম বাদি হয়ে শিপন আকনসহ ১০ জনকে আসামি করে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ সাড়ে চার বছর পর প্রধান আসামী গ্রেপ্তার হলেন।