ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
রাজধানীর বনানী এলাকায় ‘সিসা বারে’ ছুরিকাঘাতে রাহাত হোসেন রাব্বি হত্যা মামলায় চারজনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-মীর হোসেন (২২), ফজলে রাব্বি (২৪), সাব্বির আহমেদ সুমন (৩০) ও আরাফাত ইসলাম ফাহিম (২৭)। আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মোক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ‘৩৬০ ডিগ্রি’ নামের ওই সিসা বার থেকে নামার সময় ভবনের সিঁড়িতে রাব্বিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ৩১ বছর বয়সী রাব্বি মহাখালী এলাকার বাসিন্দা। ছুরিকাঘাত করা ব্যক্তিরা রাব্বির পূর্বপরিচিত বলে ধারণা পুলিশের।
গত শুক্রবার মামলা করেন রাব্বির বাবা রবিউল আউয়াল। ওইদিনই ৬জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব। বনানী এলাকায় গ্রেপ্তারের পর চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই আমজাদ শেখ তাদের ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির দিন গত সোমবার ধার্য করে। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, ‘হত্যার শিকার ব্যক্তি ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ছিলেন। সিসা বার লাউঞ্জে অত্যন্ত নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। এতে হত্যার কারণ উদ্ঘাটিত হবে।’
আসামিদের পক্ষে মহসিন মিয়াসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেক আসামির তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। তার আগে শনিবার আবদুল মালেক মুন্নার তিনদিন এবং মাকসুদুর রহমান হামজা নামে আরেক আসামির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে হামজাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লার বরুড়া থেকে এ দুইজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়ে গত শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, তারা খুনের ‘প্রধান আসামি’। র্যাব বলেছে, ইন্টারনেট ব্যবসায়ী রাব্বি ও তার বন্ধু নুরুল ইসলাম খোকন সেদিন ওই সিসা বারে যান। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ভবনের চতুর্থ তলা থেকে সিড়ি দিয়ে নেমে দ্বিতীয় তলায় আসার সময় মুন্না এবং হামজা পথরোধ করেন রাব্বির। তখন মুন্নাকে দেখে রাব্বি জানতে চায়, ‘তুই এই সময় এখানে কেন?’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,‘ওই কথা বলা মাত্রই রাব্বির সঙ্গে মুন্না ও হামজার বিত-া শুরু হয়। একপর্যায়ে মুন্না তার পাঞ্জাবির পকেটে থাকা চাকু বের করে রাব্বিকে উপর্যুপরি আঘাত করেন। রাব্বির সঙ্গে মুন্না ও হামজা দীর্ঘদিন ধরে ওই সিসা বারে যেতেন। সেখানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ চলছিল। বুধবার রাত ১টার দিকে মুন্নাকে সিসা লাউঞ্জ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন রাব্বি। এ ঘটনার পাশাপাশি পূর্বশত্রুতার জেরে ভোরবেলা রাব্বিকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে বলেছে র্যাব। ঘটনাস্থলের ভিডিওতে দেখা যায়, রাব্বি সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় প্রথমে তিনজন তাকে ঘিরে ধরে।
এর মধ্যেই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। রাব্বিকে কিছু একটা দিয়ে পেটাতেও দেখা গেছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫
রাজধানীর বনানী এলাকায় ‘সিসা বারে’ ছুরিকাঘাতে রাহাত হোসেন রাব্বি হত্যা মামলায় চারজনের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম জিয়াদুর রহমান শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন-মীর হোসেন (২২), ফজলে রাব্বি (২৪), সাব্বির আহমেদ সুমন (৩০) ও আরাফাত ইসলাম ফাহিম (২৭)। আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই মোক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ‘৩৬০ ডিগ্রি’ নামের ওই সিসা বার থেকে নামার সময় ভবনের সিঁড়িতে রাব্বিকে ছুরিকাঘাত করা হয়। হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ৩১ বছর বয়সী রাব্বি মহাখালী এলাকার বাসিন্দা। ছুরিকাঘাত করা ব্যক্তিরা রাব্বির পূর্বপরিচিত বলে ধারণা পুলিশের।
গত শুক্রবার মামলা করেন রাব্বির বাবা রবিউল আউয়াল। ওইদিনই ৬জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র্যাব। বনানী এলাকায় গ্রেপ্তারের পর চার আসামিকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার এসআই আমজাদ শেখ তাদের ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে শুনানির দিন গত সোমবার ধার্য করে। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মুহাম্মদ শামসুদ্দোহা সুমন আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন, ‘হত্যার শিকার ব্যক্তি ইন্টারনেট ব্যবসায়ী ছিলেন। সিসা বার লাউঞ্জে অত্যন্ত নির্মমভাবে তাকে হত্যা করা হয়। হত্যা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন। এতে হত্যার কারণ উদ্ঘাটিত হবে।’
আসামিদের পক্ষে মহসিন মিয়াসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেক আসামির তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। তার আগে শনিবার আবদুল মালেক মুন্নার তিনদিন এবং মাকসুদুর রহমান হামজা নামে আরেক আসামির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। রিমান্ড শেষে হামজাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লার বরুড়া থেকে এ দুইজনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দিয়ে গত শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, তারা খুনের ‘প্রধান আসামি’। র্যাব বলেছে, ইন্টারনেট ব্যবসায়ী রাব্বি ও তার বন্ধু নুরুল ইসলাম খোকন সেদিন ওই সিসা বারে যান। ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ভবনের চতুর্থ তলা থেকে সিড়ি দিয়ে নেমে দ্বিতীয় তলায় আসার সময় মুন্না এবং হামজা পথরোধ করেন রাব্বির। তখন মুন্নাকে দেখে রাব্বি জানতে চায়, ‘তুই এই সময় এখানে কেন?’
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়,‘ওই কথা বলা মাত্রই রাব্বির সঙ্গে মুন্না ও হামজার বিত-া শুরু হয়। একপর্যায়ে মুন্না তার পাঞ্জাবির পকেটে থাকা চাকু বের করে রাব্বিকে উপর্যুপরি আঘাত করেন। রাব্বির সঙ্গে মুন্না ও হামজা দীর্ঘদিন ধরে ওই সিসা বারে যেতেন। সেখানে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে তাদের মধ্যে ‘দ্বন্দ্ব’ চলছিল। বুধবার রাত ১টার দিকে মুন্নাকে সিসা লাউঞ্জ থেকে বের হয়ে যেতে বলেন রাব্বি। এ ঘটনার পাশাপাশি পূর্বশত্রুতার জেরে ভোরবেলা রাব্বিকে হত্যা করা হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে বলেছে র্যাব। ঘটনাস্থলের ভিডিওতে দেখা যায়, রাব্বি সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় প্রথমে তিনজন তাকে ঘিরে ধরে।
এর মধ্যেই তাকে ছুরিকাঘাত করা হয়। রাব্বিকে কিছু একটা দিয়ে পেটাতেও দেখা গেছে।