ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলার সাত নম্বর আসামি মানিক তালুকদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষে সংঘটিত ওই হত্যাকান্ডের মামলায় তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের মিয়াজি বাড়ি ওরফে খাল ব্যপারী বাড়ি এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মানিক তালুকদার আবুল কালামের ছেলে।
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মইনুল হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, আজ বুধবার সকালে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জে সংঘটিত এ ঘটনায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা হামলা চালিয়ে সাতজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে নিহতদের পরিবার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে একাধিক আসামির নাম উল্লেখ করা হয়। সেই মামলার অন্যতম পলাতক আসামি ছিলেন মানিক তালুকদার।
এ ছাড়া একই মামলায় অপর আসামী লাল চাঁনের ছেলে হামিদুল ওরফে সাগরকে দুই বছর সশ্রম কারাদ-, ৫ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ের আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. ইকবাল হোসেন এ রায় প্রদান করেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রফিক সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাতী গ্রামের আফাজ উদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী লাল চাঁনের পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ উভয় পরিবারের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আফাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে নিহতের পিতা আফাজ উদ্দিন মামলা দায়ের করেন। মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে গতকাল মঙ্গলবার আসামি লাল চাঁনকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও তার ছেলে হামিদুলকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আলোচিত সাত খুন মামলার সাত নম্বর আসামি মানিক তালুকদারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর জামায়াত-শিবিরের সংঘর্ষে সংঘটিত ওই হত্যাকান্ডের মামলায় তিনি দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের মিয়াজি বাড়ি ওরফে খাল ব্যপারী বাড়ি এলাকায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত মানিক তালুকদার আবুল কালামের ছেলে।
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক মইনুল হোসেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, আজ বুধবার সকালে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে গ্রেপ্তারকৃতকে আদালতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ১৪ ডিসেম্বর কোম্পানীগঞ্জে সংঘটিত এ ঘটনায় জামায়াত-শিবির কর্মীরা হামলা চালিয়ে সাতজনকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে নিহতদের পরিবার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে একাধিক আসামির নাম উল্লেখ করা হয়। সেই মামলার অন্যতম পলাতক আসামি ছিলেন মানিক তালুকদার।
এ ছাড়া একই মামলায় অপর আসামী লাল চাঁনের ছেলে হামিদুল ওরফে সাগরকে দুই বছর সশ্রম কারাদ-, ৫ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদায়ের আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ- দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ মো. ইকবাল হোসেন এ রায় প্রদান করেন।
জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রফিক সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, বেলকুচি উপজেলার চন্দনগাতী গ্রামের আফাজ উদ্দিনের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী লাল চাঁনের পরিবারের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জেরে ২০১৮ সালের ২৬ মার্চ উভয় পরিবারের মধ্যে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে আফাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক গুরুতর আহত হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আসামি করে নিহতের পিতা আফাজ উদ্দিন মামলা দায়ের করেন। মামলার স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে গতকাল মঙ্গলবার আসামি লাল চাঁনকে যাবজ্জীবন কারাদ- ও তার ছেলে হামিদুলকে দুই বছরের বিনাশ্রম কারাদ- প্রদান করা হয়।