জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ৩৩ বছরের দীর্ঘ বিরতির পর এই নির্বাচন ক্যাম্পাসে উৎসাহ ও প্রত্যাশার জন্ম দিয়েছে। তবে, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্যানেল গঠন প্রক্রিয়ায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল, জোট গঠনের জটিলতা এবং নিরাপত্তাসংক্রান্ত উদ্বেগ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে।
জাকসু নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে, যাতে ৬,১০২ জন ছাত্র এবং ৫,৮১৭ জন ছাত্রী মিলে মোট ১১,৯১৯ জন ভোটার রয়েছেন। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের সময়সীমা ২১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ পর্যন্ত জাকসুর জন্য ৮৭ জন এবং হল সংসদের জন্য ২৪১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তবে, মাত্র ৪ জন প্রার্থী জাকসুর জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, যা প্যানেল গঠনের ধীরগতির ইঙ্গিত দেয়।
জাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে সরগরম পরিবেশ বিরাজ করছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শক্তিশালী প্যানেল গঠনে তৎপর, কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে প্যানেল ঘোষণায় দেরি হচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জাবি) শাখা কমিটিতে অভ্যন্তরীণ বিভক্তি স্পষ্ট। সম্প্রতি ১৭টি আবাসিক হল ও শাখা কমিটি বর্ধিত করার পর নবগঠিত কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে সংগঠনের একাংশ বিক্ষোভ ও শোডাউন করছে, যা দুটি পৃথক প্যানেল গঠনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। একটি প্যানেল হতে পারে সুপার ফাইভের অনুসারীদের থেকে, অন্যটি বিদ্রোহী গ্রুপ থেকে। এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে প্যানেলের চূড়ান্ত তালিকা নির্ধারণে দেরি হচ্ছে, যদিও সংগঠনের নেতৃত্ব একক প্যানেলের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে। ফলে প্রার্থী নির্বাচনে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগছে।
প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যেও অনুরূপ চ্যালেঞ্জ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ছাত্র ইউনিয়ন বিভক্ত হয়ে দুটি অংশে (জাহিদ-তানজিম এবং অদ্রি-অর্ক) বিভাজিত, যা দুটি ভিন্ন প্যানেল গঠনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। একটি প্যানেলে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট (মেঘ), জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার (টিএসসি) এবং গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা থাকতে পারেন। অন্যটিতে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট (ফাইজা), ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) এবং বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ সমমনা সংগঠনগুলো। এই বিভাজনের কারণে জোট গঠনের আলোচনা চলছে, কিন্তু ভিপি ও জিএস পদের প্রার্থী নির্ধারণে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে প্যানেল ঘোষণায় বিলম্ব হচ্ছে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরও প্যানেল গঠনে সতর্কতা অবলম্বন করছে। ৩৬ বছর পর ক্যাম্পাসে প্রকাশ্য রাজনীতি শুরু করলেও, তারা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়- এমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্যানেল প্রস্তুত করছে। বিশেষ করে, ’২৪-এর জুলাই বিপ্লবে সম্মুখসারির নেতৃস্থানীয়দের প্যানেলভুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তবে অন্য সংগঠনের সঙ্গে জোটের আলোচনা চলমান, যা চূড়ান্ত না হওয়ায় প্যানেল ঘোষণা পিছিয়ে যাচ্ছে। সংগঠনের নেতৃত্ব জানিয়েছে, সব আলোচনা শেষ করে শিগগিরই তারা প্যানেল ঘোষণা করবেন।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এবং একক প্যানেলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সংগঠনের বাইরের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চলায় জোটের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে, যা প্যানেল চূড়ান্ত করতে বাধা সৃষ্টি করছে। এছাড়া গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিরা যেমন আব্দুর রশিদ জিতু এবং ছাত্রফ্রন্টের সোহাগী সামিয়া পৃথক প্যানেল নিয়ে অংশ নিতে পারেন, কিন্তু এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হওয়ায় নির্বাচনী সমীকরণে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। অরাজনৈতিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্যানেল গঠনের প্রস্তুতি চললেও, প্রার্থী নির্বাচনে যোগ্যতা ও আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় সময় লাগছে।
এসব কারণ ছাড়াও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ভয়, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা শঙ্কা এবং অছাত্রদের উপস্থিতি প্যানেল গঠনকে জটিল করে তুলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরাপত্তা নিশ্চিতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং ২৫ আগস্ট পর্যন্ত সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
অন্যদিকে, শিক্ষার্থীরা জাকসু নির্বাচন থেকে এমন প্রতিনিধিত্ব আশা করছেন, যারা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করবে এবং সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রার্থীর যোগ্যতা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি আমাদের ভোটের মানদণ্ড হবে, দলীয় পরিচয় নয়। তাই, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জাহাঙ্গীরনগর শিক্ষার্থীবান্ধব প্রতিনিধিদের পাবে
বলে আমি আশাবাদী।’ জাকসু নির্বাচনের প্রাথমিক পর্যায়ে প্যানেল ঘোষণায় দেরি সত্ত্বেও সংগঠনগুলোর তৎপরতা স্পষ্ট। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ২১-২৪ আগস্ট, খসড়া প্রার্থী তালিকা ২৫ আগস্ট এবং চূড়ান্ত তালিকা ২৯ আগস্ট প্রকাশিত হবে। এই সময়সীমার মধ্যে সংগঠনগুলোকে চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে প্যানেল চূড়ান্ত করতে হবে, যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হয়।
বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ৩৩ বছরের দীর্ঘ বিরতির পর এই নির্বাচন ক্যাম্পাসে উৎসাহ ও প্রত্যাশার জন্ম দিয়েছে। তবে, বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের প্যানেল গঠন প্রক্রিয়ায় অভ্যন্তরীণ কোন্দল, জোট গঠনের জটিলতা এবং নিরাপত্তাসংক্রান্ত উদ্বেগ নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে জটিল করে তুলেছে।
জাকসু নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেছে, যাতে ৬,১০২ জন ছাত্র এবং ৫,৮১৭ জন ছাত্রী মিলে মোট ১১,৯১৯ জন ভোটার রয়েছেন। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদানের সময়সীমা ২১ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এ পর্যন্ত জাকসুর জন্য ৮৭ জন এবং হল সংসদের জন্য ২৪১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। তবে, মাত্র ৪ জন প্রার্থী জাকসুর জন্য মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন, যা প্যানেল গঠনের ধীরগতির ইঙ্গিত দেয়।
জাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে সরগরম পরিবেশ বিরাজ করছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শক্তিশালী প্যানেল গঠনে তৎপর, কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে প্যানেল ঘোষণায় দেরি হচ্ছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (জাবি) শাখা কমিটিতে অভ্যন্তরীণ বিভক্তি স্পষ্ট। সম্প্রতি ১৭টি আবাসিক হল ও শাখা কমিটি বর্ধিত করার পর নবগঠিত কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ উঠেছে। এর ফলে সংগঠনের একাংশ বিক্ষোভ ও শোডাউন করছে, যা দুটি পৃথক প্যানেল গঠনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। একটি প্যানেল হতে পারে সুপার ফাইভের অনুসারীদের থেকে, অন্যটি বিদ্রোহী গ্রুপ থেকে। এই অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে প্যানেলের চূড়ান্ত তালিকা নির্ধারণে দেরি হচ্ছে, যদিও সংগঠনের নেতৃত্ব একক প্যানেলের প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানিয়েছে। ফলে প্রার্থী নির্বাচনে জনপ্রিয়তা ও গ্রহণযোগ্যতা বিবেচনায় রেখে সিদ্ধান্ত নিতে সময় লাগছে।
প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠনগুলোর মধ্যেও অনুরূপ চ্যালেঞ্জ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ছাত্র ইউনিয়ন বিভক্ত হয়ে দুটি অংশে (জাহিদ-তানজিম এবং অদ্রি-অর্ক) বিভাজিত, যা দুটি ভিন্ন প্যানেল গঠনের সম্ভাবনা তৈরি করেছে। একটি প্যানেলে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট (মেঘ), জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার (টিএসসি) এবং গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলনসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা থাকতে পারেন। অন্যটিতে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোট (ফাইজা), ছাত্র ফ্রন্ট (মার্ক্সবাদী) এবং বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীসহ সমমনা সংগঠনগুলো। এই বিভাজনের কারণে জোট গঠনের আলোচনা চলছে, কিন্তু ভিপি ও জিএস পদের প্রার্থী নির্ধারণে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। ফলে প্যানেল ঘোষণায় বিলম্ব হচ্ছে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরও প্যানেল গঠনে সতর্কতা অবলম্বন করছে। ৩৬ বছর পর ক্যাম্পাসে প্রকাশ্য রাজনীতি শুরু করলেও, তারা কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত নয়- এমন শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্যানেল প্রস্তুত করছে। বিশেষ করে, ’২৪-এর জুলাই বিপ্লবে সম্মুখসারির নেতৃস্থানীয়দের প্যানেলভুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। তবে অন্য সংগঠনের সঙ্গে জোটের আলোচনা চলমান, যা চূড়ান্ত না হওয়ায় প্যানেল ঘোষণা পিছিয়ে যাচ্ছে। সংগঠনের নেতৃত্ব জানিয়েছে, সব আলোচনা শেষ করে শিগগিরই তারা প্যানেল ঘোষণা করবেন।
বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ প্রথমবারের মতো নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে এবং একক প্যানেলের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সংগঠনের বাইরের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চলায় জোটের সম্ভাবনা রাখা হয়েছে, যা প্যানেল চূড়ান্ত করতে বাধা সৃষ্টি করছে। এছাড়া গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা ব্যক্তিরা যেমন আব্দুর রশিদ জিতু এবং ছাত্রফ্রন্টের সোহাগী সামিয়া পৃথক প্যানেল নিয়ে অংশ নিতে পারেন, কিন্তু এখনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না হওয়ায় নির্বাচনী সমীকরণে অনিশ্চয়তা বাড়ছে। অরাজনৈতিক ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে প্যানেল গঠনের প্রস্তুতি চললেও, প্রার্থী নির্বাচনে যোগ্যতা ও আন্দোলনের অভিজ্ঞতা বিবেচনায় সময় লাগছে।
এসব কারণ ছাড়াও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের ভয়, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা শঙ্কা এবং অছাত্রদের উপস্থিতি প্যানেল গঠনকে জটিল করে তুলেছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিরাপত্তা নিশ্চিতে অভিযান অব্যাহত রেখেছে এবং ২৫ আগস্ট পর্যন্ত সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করেছে।
অন্যদিকে, শিক্ষার্থীরা জাকসু নির্বাচন থেকে এমন প্রতিনিধিত্ব আশা করছেন, যারা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে কাজ করবে এবং সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের একজন শিক্ষার্থী বলেন, ‘প্রার্থীর যোগ্যতা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করার প্রতিশ্রুতি আমাদের ভোটের মানদণ্ড হবে, দলীয় পরিচয় নয়। তাই, সুষ্ঠু নির্বাচন হলে জাহাঙ্গীরনগর শিক্ষার্থীবান্ধব প্রতিনিধিদের পাবে
বলে আমি আশাবাদী।’ জাকসু নির্বাচনের প্রাথমিক পর্যায়ে প্যানেল ঘোষণায় দেরি সত্ত্বেও সংগঠনগুলোর তৎপরতা স্পষ্ট। মনোনয়ন যাচাই-বাছাই ২১-২৪ আগস্ট, খসড়া প্রার্থী তালিকা ২৫ আগস্ট এবং চূড়ান্ত তালিকা ২৯ আগস্ট প্রকাশিত হবে। এই সময়সীমার মধ্যে সংগঠনগুলোকে চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে প্যানেল চূড়ান্ত করতে হবে, যাতে সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত হয়।