জিও ব্যাগ ফেলে বেড়িবাঁধ ভাঙন রোধের চেষ্টা -সংবাদ
খুলনার পাইকগাছার দেলুটির কালিনগর ওয়াপদার বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভদ্রা নদীর প্রবল স্রোতে বাঁধের ৪শ’ মিটার এলাকায় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এতে চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন ওই ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামের ১০ হাজারের অধিক মানুষ।
দেলুটি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুকুমার কবিরাজ বলেন, ইউনিয়নটি দ্বীপবেষ্টিত। খুলনার বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ইউনিয়নের একাংশ। ইউনিয়নটিতে ১৩টি গ্রামে ১০ হাজারের অধিক মানুষের বাস। তরমুজসহ অন্যান্য কৃষিফসলের জন্য ইউনিয়নটি সমৃদ্ধ। প্রতি বছর এখানে কোটি টাকার তরমুজ ও অন্যান্য কৃষিফসল উৎপাদন হয়। ইউনিয়নটির চারপাশে নদী থাকায় এবং টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় চরম ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করেন এখানকার মানুষ।
সুকুমার কবিরাজ বলেন, প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গত ২০ বছর ধরে এখানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার বিঘা ফসলিজমি এবং অসংখ্য ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত বছরের ২২ আগস্ট এ এলাকার বাঁধ ভেঙে ২২নং পোল্ডার সম্পূর্ণ তলিয়ে দীর্ঘদিন পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে এখানকার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর এ সময় বর্ষায় নদীর পানি বেড়ে বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়। প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। ভাসিয়ে নেয় হাজারো মানুষের বসতি, কেড়ে জীবন-জীবিকা।
নিঃস্ব হয় মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে গত কয়েক বছর বেড়িবাঁধের প্রকল্পগুলো নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দীর্ঘসূত্রতা স্থানীয়দের জানমালের নিরাপত্তা আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে বাঁধ ভেঙে ক্ষতির শিকার হন তারা। এতে লবণাক্ততা বেড়ে জমির ফসল উৎপাদনও কমছে।
স্থানীয়রা জানান, গত বছর বেড়িবাঁধের যেখানে ভেঙে গিয়েছিল তার ঠিক এক কিলোমিটার উত্তরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কালিনগর সাধু ঘাটের অমল কবিরাজের বাড়ি থেকে প্রভাষ ম-লের বাড়ি পর্যন্ত ৪শ’ মিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন এবং কোথাও কোথাও বড় ফাটল তৈরি হয়েছে। যার ফলে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে এলাকার মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (খুলনা-১ ও ২) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, জোয়ারে খুলনার নদ-নদীর পানি বেড়েছে। বিভিন্ন পোল্ডারের বেড়িবাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে সারা বছরই এসব এলাকার সংস্কারকাজ চলমান রয়েছে।
জিও ব্যাগ ফেলে বেড়িবাঁধ ভাঙন রোধের চেষ্টা -সংবাদ
বুধবার, ২০ আগস্ট ২০২৫
খুলনার পাইকগাছার দেলুটির কালিনগর ওয়াপদার বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভদ্রা নদীর প্রবল স্রোতে বাঁধের ৪শ’ মিটার এলাকায় ভাঙন সৃষ্টি হয়েছে। যে কোনো মুহূর্তে বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। এতে চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন ওই ইউনিয়নের ১৩টি গ্রামের ১০ হাজারের অধিক মানুষ।
দেলুটি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সুকুমার কবিরাজ বলেন, ইউনিয়নটি দ্বীপবেষ্টিত। খুলনার বটিয়াঘাটা ও দাকোপ উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা ইউনিয়নের একাংশ। ইউনিয়নটিতে ১৩টি গ্রামে ১০ হাজারের অধিক মানুষের বাস। তরমুজসহ অন্যান্য কৃষিফসলের জন্য ইউনিয়নটি সমৃদ্ধ। প্রতি বছর এখানে কোটি টাকার তরমুজ ও অন্যান্য কৃষিফসল উৎপাদন হয়। ইউনিয়নটির চারপাশে নদী থাকায় এবং টেকসই বেড়িবাঁধ না থাকায় চরম ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করেন এখানকার মানুষ।
সুকুমার কবিরাজ বলেন, প্রতি বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগে দুর্বল বেড়িবাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। গত ২০ বছর ধরে এখানে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েক হাজার বিঘা ফসলিজমি এবং অসংখ্য ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। গত বছরের ২২ আগস্ট এ এলাকার বাঁধ ভেঙে ২২নং পোল্ডার সম্পূর্ণ তলিয়ে দীর্ঘদিন পানিবন্দী হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করে এখানকার মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, প্রতি বছর এ সময় বর্ষায় নদীর পানি বেড়ে বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হয়। প্লাবিত হয় বিস্তীর্ণ এলাকা। ভাসিয়ে নেয় হাজারো মানুষের বসতি, কেড়ে জীবন-জীবিকা।
নিঃস্ব হয় মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে গত কয়েক বছর বেড়িবাঁধের প্রকল্পগুলো নিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের দীর্ঘসূত্রতা স্থানীয়দের জানমালের নিরাপত্তা আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে। অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে বাঁধ ভেঙে ক্ষতির শিকার হন তারা। এতে লবণাক্ততা বেড়ে জমির ফসল উৎপাদনও কমছে।
স্থানীয়রা জানান, গত বছর বেড়িবাঁধের যেখানে ভেঙে গিয়েছিল তার ঠিক এক কিলোমিটার উত্তরে ভাঙন দেখা দিয়েছে। কালিনগর সাধু ঘাটের অমল কবিরাজের বাড়ি থেকে প্রভাষ ম-লের বাড়ি পর্যন্ত ৪শ’ মিটার এলাকাজুড়ে ভাঙন এবং কোথাও কোথাও বড় ফাটল তৈরি হয়েছে। যার ফলে এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে এলাকার মানুষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (খুলনা-১ ও ২) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, জোয়ারে খুলনার নদ-নদীর পানি বেড়েছে। বিভিন্ন পোল্ডারের বেড়িবাঁধের ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো চিহ্নিত করা হয়েছে। কয়েকটি প্রকল্পের মাধ্যমে সারা বছরই এসব এলাকার সংস্কারকাজ চলমান রয়েছে।