নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) : ভৈষতুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন, পুরাতন টিনশেড ঘরের চালা -সংবাদ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে স্কুল ঘর ভেঙে বিক্রির অপচেষ্টা করেছেন এক প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি টের পেয়ে আটকে দিয়েছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোরবার সকালে পৌরসভার ভৈষতুলিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংশ্লিস্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্কুলের জমিদাতা।
অভিযোগে জানা যায়, সম্প্রতি স্কুলে একটি দোতালা ভবন নির্মিত হলে সেখানে পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হয়। ফলে পরিত্যাক্ত হয় পুর্বে শ্রেণীকক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত ৪৫ হাত দৈর্ঘ্যরে টিনশেড একটি ঘর। কয়েকদিন আগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এলাকাবাসীর অজান্তে এর মেঝেতে বিছানো ইট গোপনে সরিয়ে পাশের এক বাড়িতে রাখেন। গত রোববার সকাল ১০ টায় ঘরটি ভেঙে বিক্রির চেষ্টা করেন। এলাকাবাসী জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তা আটকে দেয়। পরে স্কুলের জমিদাতা আবু তালেব এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
জমিদাতা আবু তালেব মিয়া বলেন, সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। ২০২৪ সালে তিনি স্কুলের ক্ষুদ্র মেরামতের ১ লক্ষ ৫০ হাজার, দুই দফায় স্লিপ বরাদ্দের মোট ৫৮ হাজার টাকা ও অন্য একটি টিনশেড ঘর ভেঙ্গে ৮ ফুট দৈর্ঘের ২৮ পিস ঢেউটিন, পুরাতন কাঠ, বাঁশ এবং ১ম শ্রেনীর কক্ষের মেঝের ৪ হাজার ৫শত ইট বিক্রি করে আত্মসাৎ করেন। সে সময় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল রব্বানী সজিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি সজীব বলেন, তখন কতৃপক্ষ এর কোন ব্যাবন্থা গ্রহন না করায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পুনরায় এ ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছেন। স্কুলের উন্নয়নে এর প্রতিকার দরকার।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি স্বার্থান্বেষীমহল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। অথচ ঘরটি সরকারিভাবে নিলাম দেয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন। যা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া ঘরটির পিছনে কিছু কৃষি জমি থাকায় জমির মালিকদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অনুমতি নিয়ে তিনি ঘরটি ভেঙেছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কোনভাবে ঘরটি ভাঙতে পারেন না। এটি সরকারি নিয়ম মেনে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ বলেন, তিনি এ বিষয়ে কাউকে কোন অনুমতি দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।
নাগেশ্বরী (কুড়িগ্রাম) : ভৈষতুলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন, পুরাতন টিনশেড ঘরের চালা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে স্কুল ঘর ভেঙে বিক্রির অপচেষ্টা করেছেন এক প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি টের পেয়ে আটকে দিয়েছে এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটেছে গত রোরবার সকালে পৌরসভার ভৈষতুলিরপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সংশ্লিস্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন স্কুলের জমিদাতা।
অভিযোগে জানা যায়, সম্প্রতি স্কুলে একটি দোতালা ভবন নির্মিত হলে সেখানে পাঠদান কার্যক্রম চালু করা হয়। ফলে পরিত্যাক্ত হয় পুর্বে শ্রেণীকক্ষ হিসেবে ব্যবহৃত ৪৫ হাত দৈর্ঘ্যরে টিনশেড একটি ঘর। কয়েকদিন আগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম এলাকাবাসীর অজান্তে এর মেঝেতে বিছানো ইট গোপনে সরিয়ে পাশের এক বাড়িতে রাখেন। গত রোববার সকাল ১০ টায় ঘরটি ভেঙে বিক্রির চেষ্টা করেন। এলাকাবাসী জানতে পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তা আটকে দেয়। পরে স্কুলের জমিদাতা আবু তালেব এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
জমিদাতা আবু তালেব মিয়া বলেন, সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম ভারপ্রাপ্ত প্রধানের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। ২০২৪ সালে তিনি স্কুলের ক্ষুদ্র মেরামতের ১ লক্ষ ৫০ হাজার, দুই দফায় স্লিপ বরাদ্দের মোট ৫৮ হাজার টাকা ও অন্য একটি টিনশেড ঘর ভেঙ্গে ৮ ফুট দৈর্ঘের ২৮ পিস ঢেউটিন, পুরাতন কাঠ, বাঁশ এবং ১ম শ্রেনীর কক্ষের মেঝের ৪ হাজার ৫শত ইট বিক্রি করে আত্মসাৎ করেন। সে সময় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহুল রব্বানী সজিব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি সজীব বলেন, তখন কতৃপক্ষ এর কোন ব্যাবন্থা গ্রহন না করায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক পুনরায় এ ধরনের অপকর্ম করে যাচ্ছেন। স্কুলের উন্নয়নে এর প্রতিকার দরকার।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শহিদুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, একটি স্বার্থান্বেষীমহল তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। অথচ ঘরটি সরকারিভাবে নিলাম দেয়ার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত আবেদন করেছেন। যা প্রক্রিয়াধীন। এছাড়া ঘরটির পিছনে কিছু কৃষি জমি থাকায় জমির মালিকদের যাতায়াতে সমস্যা হচ্ছিল। তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অনুমতি নিয়ে তিনি ঘরটি ভেঙেছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লুৎফর রহমান জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কোনভাবে ঘরটি ভাঙতে পারেন না। এটি সরকারি নিয়ম মেনে নিলামের মাধ্যমে বিক্রি করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিব্বির আহমেদ বলেন, তিনি এ বিষয়ে কাউকে কোন অনুমতি দেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে ব্যাবস্থা নেয়া হবে।