নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) : সিএনজি স্টেশনের আগুন নেভাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা -সংবাদ
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় একটি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১২টি যানবাহন ভস্মীভূত হয়েছে। গতকাল সকাল ৬টার দিকে আউশকান্দি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন আহত হন, যাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় স্টেশনে কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা ও একটি যাত্রীবাহী বাসে গ্যাস ভরা হচ্ছিল। হঠাৎ বাসের গ্যাস সিলিন্ডারে বিকট শব্দ হয় এবং মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে নয়টি সিএনজি অটোরিকশা, একটি যাত্রীবাহী বাস ও দুটি মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এ সময় আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করে। পরে ওসমানীনগর ও বাহুবল ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট যোগ দিলে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, আগুন মূল গ্যাস মজুদের ট্যাংকে ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটতে পারত।
এ ঘটনায় আহত পাঁচজনের মধ্যে সিএনজি স্টেশনের কর্মচারী নাঈম ও রাসেলের নাম জানা গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরসহ আরও তিনজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের হবিগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাসের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।” ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ তদন্ত শেষে জানানো হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর আশপাশের রিফুয়েলিং স্টেশনগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অধিকাংশ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেই। দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
অগ্নিকান্ডের কারণে কিছু সময়ের জন্য ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।
নবীগঞ্জ (হবিগঞ্জ) : সিএনজি স্টেশনের আগুন নেভাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় একটি সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে ১২টি যানবাহন ভস্মীভূত হয়েছে। গতকাল সকাল ৬টার দিকে আউশকান্দি ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। এতে পাঁচজন আহত হন, যাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় স্টেশনে কয়েকটি সিএনজি অটোরিকশা ও একটি যাত্রীবাহী বাসে গ্যাস ভরা হচ্ছিল। হঠাৎ বাসের গ্যাস সিলিন্ডারে বিকট শব্দ হয় এবং মুহূর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। আগুনে নয়টি সিএনজি অটোরিকশা, একটি যাত্রীবাহী বাস ও দুটি মোটরসাইকেল সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এ সময় আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নেভানোর চেষ্টা শুরু করে। পরে ওসমানীনগর ও বাহুবল ফায়ার সার্ভিসের আরও দুটি ইউনিট যোগ দিলে দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জানান, আগুন মূল গ্যাস মজুদের ট্যাংকে ছড়িয়ে পড়লে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটতে পারত।
এ ঘটনায় আহত পাঁচজনের মধ্যে সিএনজি স্টেশনের কর্মচারী নাঈম ও রাসেলের নাম জানা গেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরসহ আরও তিনজনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের হবিগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, “খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিনটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বাসের যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।” ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিমাণ তদন্ত শেষে জানানো হবে বলেও তিনি জানান।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর আশপাশের রিফুয়েলিং স্টেশনগুলোর নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, অধিকাংশ সিএনজি ফিলিং স্টেশনে পর্যাপ্ত অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থা নেই। দ্রুত তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তারা।
অগ্নিকান্ডের কারণে কিছু সময়ের জন্য ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।