কালীগঞ্জ (গাজীপুর) : বেলাই বিলের শাখা বিলে চলছে বালু ভরাট -সংবাদ
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জাংগালিয়া ইউনিয়নের বরাইয়া-দেওতলা গ্রামের মাঝামাঝি অবস্থিত বেলাই বিলের শাখা বিলে ফের শুরু হয়েছে বালু ভরাট কার্যক্রম। দীর্ঘদিন প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ থাকার পর হঠাৎ করে রাতের আঁধারে পুনরায় ভরাট শুরু করায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রশাসনের কড়াকড়িতে প্রায় কয়েক মাস ধরে বন্ধ ছিল বালু ভরাট।
তবে সম্প্রতি আবারো নতুন কৌশলে কাজ শুরু করেছে প্রভাবশালীরা। দিনের বেলায় পুরো এলাকাই ফাঁকা রাখা হয় বালু কাটার মেশিন, বেকু কিংবা ড্রাম ট্রাকের কোনো চিহ্ন চোখে পড়ে না। কিন্তু রাত ১০টার পর থেকেই শুরু হয় বালু ড্রেসিং ও ভরাটের কাজ। ভোর রাত পর্যন্ত চলে এই কার্যক্রম।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতি রাতে অতিরিক্ত বালু বোঝাই ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে ভেঙে যাচ্ছে গ্রামীণ ছোট ছোট সড়কগুলো।
বহু কষ্টে তৈরি হওয়া এ সড়কগুলো এখন মরণফাঁদে পরিণত হচ্ছে।
পাশাপাশি কৃষি জমি ও পরিবেশ ধ্বংসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
একজন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বলেন, এই রাস্তা বানাতে আমাদের অনেক ভোগান্তি সহ্য করতে হয়েছে। এখন রাতের পর রাত ড্রাম ট্রাক চলাচলে সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফসলি জমিও হারানোর পথে।
প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিণতি হবে। স্থানীয়রা মনে করছেন, প্রশাসনের নজরদারি ও কঠোর পদক্ষেপ ছাড়া রাতের আঁধারে চলা এই বালু ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ জানান, জাংগালিয়া ইউনিয়নের বরাইয়া গ্রামে বালু ভরাটের বিষয়ে আমি এসিল্যান্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কালীগঞ্জ (গাজীপুর) : বেলাই বিলের শাখা বিলে চলছে বালু ভরাট -সংবাদ
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জাংগালিয়া ইউনিয়নের বরাইয়া-দেওতলা গ্রামের মাঝামাঝি অবস্থিত বেলাই বিলের শাখা বিলে ফের শুরু হয়েছে বালু ভরাট কার্যক্রম। দীর্ঘদিন প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ থাকার পর হঠাৎ করে রাতের আঁধারে পুনরায় ভরাট শুরু করায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, প্রশাসনের কড়াকড়িতে প্রায় কয়েক মাস ধরে বন্ধ ছিল বালু ভরাট।
তবে সম্প্রতি আবারো নতুন কৌশলে কাজ শুরু করেছে প্রভাবশালীরা। দিনের বেলায় পুরো এলাকাই ফাঁকা রাখা হয় বালু কাটার মেশিন, বেকু কিংবা ড্রাম ট্রাকের কোনো চিহ্ন চোখে পড়ে না। কিন্তু রাত ১০টার পর থেকেই শুরু হয় বালু ড্রেসিং ও ভরাটের কাজ। ভোর রাত পর্যন্ত চলে এই কার্যক্রম।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, প্রতি রাতে অতিরিক্ত বালু বোঝাই ড্রাম ট্রাক চলাচলের কারণে ভেঙে যাচ্ছে গ্রামীণ ছোট ছোট সড়কগুলো।
বহু কষ্টে তৈরি হওয়া এ সড়কগুলো এখন মরণফাঁদে পরিণত হচ্ছে।
পাশাপাশি কৃষি জমি ও পরিবেশ ধ্বংসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা দ্রুত প্রশাসনের কার্যকর পদক্ষেপ কামনা করেছেন।
একজন ক্ষুব্ধ গ্রামবাসী বলেন, এই রাস্তা বানাতে আমাদের অনেক ভোগান্তি সহ্য করতে হয়েছে। এখন রাতের পর রাত ড্রাম ট্রাক চলাচলে সড়ক নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফসলি জমিও হারানোর পথে।
প্রশাসন যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, ভবিষ্যতে ভয়াবহ পরিণতি হবে। স্থানীয়রা মনে করছেন, প্রশাসনের নজরদারি ও কঠোর পদক্ষেপ ছাড়া রাতের আঁধারে চলা এই বালু ব্যবসা বন্ধ করা সম্ভব নয়।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার তনিমা আফ্রাদ জানান, জাংগালিয়া ইউনিয়নের বরাইয়া গ্রামে বালু ভরাটের বিষয়ে আমি এসিল্যান্ডের সঙ্গে কথা বলেছি। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।