ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার ফেরী ঘাটে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী সরকারী জায়গা দখল করে অগোচরে দোকান নির্মাণ করতেছেন রানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কয়েছ উদ্দিন মাস্টার। দখল কাজে দোকান নির্মাণ করতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার-শনিবারকে বেছে নেন তিনি।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের সাপ্তাহের প্রথম শুক্রবার হঠাৎ করে রানীগঞ্জ বাজার ফেরী ঘাটে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী সরকারী জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ শুরু করে বাগময়না গ্রামের ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কয়েছ উদ্দিন। এ সময় স্থানীয় তফসিল অফিস থেকে দোকান নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে ওই দখলদারকে বলা হলেও তিনি আইন অমান্য করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে ১৫ ডিসেম্বর রবিবার জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঞা সা-আধ এর নেতৃত্বে সার্ভেয়ার অজয় কুমার দাস, পাইলগাঁও-রানীগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া, ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. মহসিন আলী, অফিস সহকারী নজরুল ইসলাম নজিরসহ প্রশাসনের আরো কর্মকর্তারা সরকারী যায়গায় নির্মাণ করা দোকান ঘর ভেঙে দেন।
খবর নিয়ে জানা যায়, রানীগঞ্জ বাজারে ফেরী বন্দোবস্তের আবেদনের আহবান করা হলে বাজারে তিনজন ব্যবসায়ী ফেরীঘাটের জায়গার জন্য বন্দোবস্তের আবেদন করেন। সে সময় সার্ভায়ের এই জায়গা ক্যাচম্যাপও করে যায়।
বিষয়টি জানা জানির হওয়ার পর প্রভাবশালী বিএনপি নেতা কয়েছ উদ্দিন জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণে মরিয়া হয়ে উঠে। হঠাৎ করে ইট পাথর জড়ো করে শুক্রবার সকালে কাজ শুরু করে। পরে প্রশাসন সরকারী জায়গা হওয়ায় দোকান নির্মাণ চলাকালীন সময়ে ভেঙ্গে মাটির সাথে ঘুড়িয়ে দেয়। গত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়াকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে নতুন করে দোকান নির্মাণের। এই ভূমি কর্মকতার মাধ্যমে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ১৫ আগষ্ট সকাল থেকে ভাঙা অংশে আবারও দোকানের কাজ শুরু করে। এ নিয়ে বাজারে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের সংর্ঘষ ঘটার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে রাণীগঞ্জ বাজার সেক্রেটারি আবুল কাশেম বলেন, নদী চর দেওয়া জায়গায় বিএনপির কয়েছ মাস্টার কিছু সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন, এখানে সরকারি জায়গার পাশে তার নিজস্ব কিছু অংশ আছে মনে হয়।
এ ব্যাপারে পাইলগাঁও-রানীগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া বলেন, আমরা বার বার নিষেধ দেওয়ার পর তারা যদি আইন অমান্য করে আমি আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমাকে টাকা দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে এটা সর্ম্পুণ মিথ্যা। এ বিষয়ে আমি কোন কিছু জানিনা। এর আগে এসিল্যান্ড এসে এই সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করেছেন। এর পরও বিএনপির নেতার দখলের বিষয়ে আমরা আবারো জানাবো।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কয়েছ উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারি জায়গা দখলের বিষয়ে আমার জানা নাই ভাই কে-বা কারা আমার বিরুদ্ধে মাতে এটা মিথ্যা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: বরকত উল্লাহ বলেন সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ শুনেছি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার রানীগঞ্জ বাজার ফেরী ঘাটে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী সরকারী জায়গা দখল করে অগোচরে দোকান নির্মাণ করতেছেন রানীগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কয়েছ উদ্দিন মাস্টার। দখল কাজে দোকান নির্মাণ করতে সাপ্তাহিক ছুটির দিন শুক্রবার-শনিবারকে বেছে নেন তিনি।
জানা যায়, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসের সাপ্তাহের প্রথম শুক্রবার হঠাৎ করে রানীগঞ্জ বাজার ফেরী ঘাটে কুশিয়ারা নদীর তীরবর্তী সরকারী জায়গা দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ শুরু করে বাগময়না গ্রামের ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কয়েছ উদ্দিন। এ সময় স্থানীয় তফসিল অফিস থেকে দোকান নির্মাণ কাজ বন্ধ করতে ওই দখলদারকে বলা হলেও তিনি আইন অমান্য করে নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে ১৫ ডিসেম্বর রবিবার জগন্নাথপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিয়াদ বিন ইব্রাহিম ভূঞা সা-আধ এর নেতৃত্বে সার্ভেয়ার অজয় কুমার দাস, পাইলগাঁও-রানীগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া, ইউনিয়ন ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো. মহসিন আলী, অফিস সহকারী নজরুল ইসলাম নজিরসহ প্রশাসনের আরো কর্মকর্তারা সরকারী যায়গায় নির্মাণ করা দোকান ঘর ভেঙে দেন।
খবর নিয়ে জানা যায়, রানীগঞ্জ বাজারে ফেরী বন্দোবস্তের আবেদনের আহবান করা হলে বাজারে তিনজন ব্যবসায়ী ফেরীঘাটের জায়গার জন্য বন্দোবস্তের আবেদন করেন। সে সময় সার্ভায়ের এই জায়গা ক্যাচম্যাপও করে যায়।
বিষয়টি জানা জানির হওয়ার পর প্রভাবশালী বিএনপি নেতা কয়েছ উদ্দিন জায়গা দখল করে দোকান নির্মাণে মরিয়া হয়ে উঠে। হঠাৎ করে ইট পাথর জড়ো করে শুক্রবার সকালে কাজ শুরু করে। পরে প্রশাসন সরকারী জায়গা হওয়ায় দোকান নির্মাণ চলাকালীন সময়ে ভেঙ্গে মাটির সাথে ঘুড়িয়ে দেয়। গত কয়েক মাস ধরে স্থানীয় ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়াকে টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে নতুন করে দোকান নির্মাণের। এই ভূমি কর্মকতার মাধ্যমে প্রশাসনকে ম্যানেজ করে ১৫ আগষ্ট সকাল থেকে ভাঙা অংশে আবারও দোকানের কাজ শুরু করে। এ নিয়ে বাজারে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় বড় ধরনের সংর্ঘষ ঘটার সম্ভবনা দেখা দিয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে রাণীগঞ্জ বাজার সেক্রেটারি আবুল কাশেম বলেন, নদী চর দেওয়া জায়গায় বিএনপির কয়েছ মাস্টার কিছু সরকারি জায়গা দখল করে ঘর নির্মাণ করছেন, এখানে সরকারি জায়গার পাশে তার নিজস্ব কিছু অংশ আছে মনে হয়।
এ ব্যাপারে পাইলগাঁও-রানীগঞ্জ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. সেলিম মিয়া বলেন, আমরা বার বার নিষেধ দেওয়ার পর তারা যদি আইন অমান্য করে আমি আমাদের উর্ধতন কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিব। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আমাকে টাকা দিয়ে ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে এটা সর্ম্পুণ মিথ্যা। এ বিষয়ে আমি কোন কিছু জানিনা। এর আগে এসিল্যান্ড এসে এই সরকারি জায়গা দখল মুক্ত করেছেন। এর পরও বিএনপির নেতার দখলের বিষয়ে আমরা আবারো জানাবো।
এ বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপি যুগ্ম সাধারন সম্পাদক কয়েছ উদ্দিনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সরকারি জায়গা দখলের বিষয়ে আমার জানা নাই ভাই কে-বা কারা আমার বিরুদ্ধে মাতে এটা মিথ্যা।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: বরকত উল্লাহ বলেন সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ শুনেছি বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।