ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
পিরোজপুরের নাজিরপুরে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছে নাসরিন আক্তার (১৬) নামে এক নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মৃত্যুর আগে দেড় পৃষ্ঠার এক হৃদয়বিদারক চিরকুট লিখে যায় সে, যেখানে পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজের জীবনের ব্যর্থতা এবং কষ্টের কথা তুলে ধরে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে ওই শিক্ষার্থীর নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহত নাসরিন উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের দিনমজুর এসকেন্দার মিয়ার মেয়ে এবং রঘুনাথপুর হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
নাসরিনের ভাগনে জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় পান্না শিকদার নামে এক যুবকের সঙ্গে নাসরিনের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার পর পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় পান্না। এ কারণেই নাসরিন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
তিনি আরও জানান, দুপুর ১টার দিকে খবর পেয়ে দোকান থেকে এসে দেখেন নাসরিন মারা গেছে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের ভাবি অভিযোগ করে বলেন, পান্না শিকদার দীর্ঘদিন ধরে নাসরিনকে উত্ত্যক্ত করত। এর কারণে নাসরিন অনেক দিন স্কুলে যেতে পারেনি। নানা অশ্লীল মন্তব্য ও হয়রানির শিকার হয়ে শেষে জীবনের প্রতি বিরক্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছে সে।
চিরকুটে শিক্ষার্থী নাসরিন লিখেন, আমার মৃত্যুর কারণ লতিফ শিকদারের ছেলে পান্না শিকদার। সে আমাকে বিয়ের কথা বলে দেহ ভোগ করেছে। আমার শেষ ইচ্ছা, ওর এমন শাস্তি হোক যাতে আর কোনো মেয়ের জীবন নষ্ট না হয়। বাবা-ভাইবোনদের কথা রাখতে পারলাম না, আমাকে মাফ করে দিও। মা, আমি নাই, তাতে কী হয়েছে, আরও তো ভাই-বোন আছে। আমাকে মনে করবা আমি শ্বশুরবাড়ি গেছি। কান্না করবা না। পান্নার জন্য অনেক কিছু সহ্য করেছি, কিন্তু শেষে সে আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। আমি ওর উপযুক্ত শাস্তি চাই। গুড বাই।
এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহমুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বৃহস্পতিবার, ২১ আগস্ট ২০২৫
পিরোজপুরের নাজিরপুরে চিরকুট লিখে আত্মহত্যা করেছে নাসরিন আক্তার (১৬) নামে এক নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী। মৃত্যুর আগে দেড় পৃষ্ঠার এক হৃদয়বিদারক চিরকুট লিখে যায় সে, যেখানে পরিবারের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিজের জীবনের ব্যর্থতা এবং কষ্টের কথা তুলে ধরে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে ওই শিক্ষার্থীর নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহত নাসরিন উপজেলার শেখমাটিয়া ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের দিনমজুর এসকেন্দার মিয়ার মেয়ে এবং রঘুনাথপুর হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।
নাসরিনের ভাগনে জানান, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় পান্না শিকদার নামে এক যুবকের সঙ্গে নাসরিনের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করার পর পরে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানায় পান্না। এ কারণেই নাসরিন আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
তিনি আরও জানান, দুপুর ১টার দিকে খবর পেয়ে দোকান থেকে এসে দেখেন নাসরিন মারা গেছে। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের ভাবি অভিযোগ করে বলেন, পান্না শিকদার দীর্ঘদিন ধরে নাসরিনকে উত্ত্যক্ত করত। এর কারণে নাসরিন অনেক দিন স্কুলে যেতে পারেনি। নানা অশ্লীল মন্তব্য ও হয়রানির শিকার হয়ে শেষে জীবনের প্রতি বিরক্ত হয়ে আত্মহত্যা করেছে সে।
চিরকুটে শিক্ষার্থী নাসরিন লিখেন, আমার মৃত্যুর কারণ লতিফ শিকদারের ছেলে পান্না শিকদার। সে আমাকে বিয়ের কথা বলে দেহ ভোগ করেছে। আমার শেষ ইচ্ছা, ওর এমন শাস্তি হোক যাতে আর কোনো মেয়ের জীবন নষ্ট না হয়। বাবা-ভাইবোনদের কথা রাখতে পারলাম না, আমাকে মাফ করে দিও। মা, আমি নাই, তাতে কী হয়েছে, আরও তো ভাই-বোন আছে। আমাকে মনে করবা আমি শ্বশুরবাড়ি গেছি। কান্না করবা না। পান্নার জন্য অনেক কিছু সহ্য করেছি, কিন্তু শেষে সে আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়েছে। আমি ওর উপযুক্ত শাস্তি চাই। গুড বাই।
এ বিষয়ে নাজিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহমুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। সুষ্ঠু তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।