রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) : দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কগুলো চলাচলের অযোগ্য -সংবাদ
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ভারি বৃষ্টিতে রূপ নেয় জলাবদ্ধতায় অধিকাংশ সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত ও কাদাপানিতে একাকার। গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। আবার কিছু সড়ক টেন্ডার হলেও কাজ করছে না ঠিকাদার। এতে প্রতিদিন দুর্ভোগে পড়ছেন হাজারো পথচারী ও যানবাহন চালকরা। সরজমিন দেখা যায়, উপজেলা ও পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে কাদাপানি জমে থাকে। এতে এসব সড়ক যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এরপর বিকল্প না থাকায় ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মানুষেরা। এসব সড়ক দিয়ে চলাচলে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের। সড়গুলো এই দুরবস্থার কথা বারবার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শহরের সব চেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছে রায়পুর-হায়দেরগঞ্জ সড়ক, নতুন বাজার-মহিলা কলেজ সড়ক, রায়পুর-পানপাড়া সড়ক ও রায়পুর-বয়ার্ডার বাজার সড়ক এর মধ্যে নতুন বাজার সড়ক প্রায় দুই বছর আগে টেন্ডার হলেও ঠিকাদার আজারও সড়টির ১০ ভাগও কাজ শেষে করতে পারেনি। বর্তমানে ওই সড়কে হেলেদুলে চলছে ইজিবাইক, রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন। কাদাপানিতে অনেক রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলাও দুষ্কর। আবার অনেক রাস্তায় পানিতে না ভিজে গন্তব্যে যাওয়ার সুযোগ নেই। স্থায়ীরা বলেন, বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে। কোনটা গর্ত, কোনটা রাস্তা বোঝা যায় না। হাঁটার উপযোগী থাকে না। এ রাস্তার দুর্ভোগ আমরা অনেকদিন ধরে পোহাচ্ছি। কোনো রোগী নিয়ে যাওয়া যায় না, গাড়ি চালানো যায় না। টায়ার গর্তে পড়ে যায়। জরুরি ভিত্তিতে সড়কগুলো সংস্কার করার দাবি জানা তারা। শহরের নতুন বাজার এলাকার রাকিবুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি হলে রায়পুর-নতুন বাজার-হায়দেরগঞ্জ সড়ক দেখা মনে হয় নদীতে জোয়ারে রাস্তা ডুবে গেলে। রাস্তার পিচ-খোয়া উঠে একটা কাদামাটিতে একাকার অবস্থা। উপজেলার মেইন রোডের অবস্থাই এমন, তাহলে অন্য রাস্তার অবস্থা বোঝেন। পৌরসভার প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান বলেন, পৌরসভার খারাপ সড়কগুলো মেরামত করার জন্য গত মাসে বেশ কয়েকটি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে সংস্কার কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। শিগগিরই সড়কগুলোর মেরামতকাজ শুরু করা হবে। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী সুমন মন্সী বলেন, বণ্যা ও জলাবদ্ধতায় সড়কগুলো সংস্কারের পরিকল্পনা খুব শিগগিরই নেয়া হয়েছে। বরাদ্দ এলে সংস্কার সম্পন্ন হলে জনগণের ভোগান্তি কমে আসবে।
রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) : দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কগুলো চলাচলের অযোগ্য -সংবাদ
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে ভারি বৃষ্টিতে রূপ নেয় জলাবদ্ধতায় অধিকাংশ সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত ও কাদাপানিতে একাকার। গুরুত্বপূর্ণ এসব সড়ক দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় সড়কগুলো চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। আবার কিছু সড়ক টেন্ডার হলেও কাজ করছে না ঠিকাদার। এতে প্রতিদিন দুর্ভোগে পড়ছেন হাজারো পথচারী ও যানবাহন চালকরা। সরজমিন দেখা যায়, উপজেলা ও পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ অধিকাংশ সড়কজুড়ে বড় বড় গর্ত। বৃষ্টি হলেই এসব গর্তে কাদাপানি জমে থাকে। এতে এসব সড়ক যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এরপর বিকল্প না থাকায় ভাঙাচোরা সড়ক দিয়ে চলাচল করতে প্রতিদিন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মানুষেরা। এসব সড়ক দিয়ে চলাচলে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের। সড়গুলো এই দুরবস্থার কথা বারবার কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। শহরের সব চেয়ে বেশি খারাপ অবস্থায় রয়েছে রায়পুর-হায়দেরগঞ্জ সড়ক, নতুন বাজার-মহিলা কলেজ সড়ক, রায়পুর-পানপাড়া সড়ক ও রায়পুর-বয়ার্ডার বাজার সড়ক এর মধ্যে নতুন বাজার সড়ক প্রায় দুই বছর আগে টেন্ডার হলেও ঠিকাদার আজারও সড়টির ১০ ভাগও কাজ শেষে করতে পারেনি। বর্তমানে ওই সড়কে হেলেদুলে চলছে ইজিবাইক, রিকশাসহ অন্যান্য যানবাহন। কাদাপানিতে অনেক রাস্তা দিয়ে হেঁটে চলাও দুষ্কর। আবার অনেক রাস্তায় পানিতে না ভিজে গন্তব্যে যাওয়ার সুযোগ নেই। স্থায়ীরা বলেন, বৃষ্টি হলে পানি জমে থাকে। কোনটা গর্ত, কোনটা রাস্তা বোঝা যায় না। হাঁটার উপযোগী থাকে না। এ রাস্তার দুর্ভোগ আমরা অনেকদিন ধরে পোহাচ্ছি। কোনো রোগী নিয়ে যাওয়া যায় না, গাড়ি চালানো যায় না। টায়ার গর্তে পড়ে যায়। জরুরি ভিত্তিতে সড়কগুলো সংস্কার করার দাবি জানা তারা। শহরের নতুন বাজার এলাকার রাকিবুল ইসলাম বলেন, বৃষ্টি হলে রায়পুর-নতুন বাজার-হায়দেরগঞ্জ সড়ক দেখা মনে হয় নদীতে জোয়ারে রাস্তা ডুবে গেলে। রাস্তার পিচ-খোয়া উঠে একটা কাদামাটিতে একাকার অবস্থা। উপজেলার মেইন রোডের অবস্থাই এমন, তাহলে অন্য রাস্তার অবস্থা বোঝেন। পৌরসভার প্রকৌশলী মো. কামরুল হাসান বলেন, পৌরসভার খারাপ সড়কগুলো মেরামত করার জন্য গত মাসে বেশ কয়েকটি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে সংস্কার কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। শিগগিরই সড়কগুলোর মেরামতকাজ শুরু করা হবে। উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী সুমন মন্সী বলেন, বণ্যা ও জলাবদ্ধতায় সড়কগুলো সংস্কারের পরিকল্পনা খুব শিগগিরই নেয়া হয়েছে। বরাদ্দ এলে সংস্কার সম্পন্ন হলে জনগণের ভোগান্তি কমে আসবে।