ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় মোবাইল ফোন ব্যবহার ও টিকটক নিয়ে স্বামীর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিরোধের এক পর্যায়ে স্ত্রী বৃষ্টি বেগম (২২) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। চাঞ্চ্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার গাড়ফা গ্রামের একটি ভাড়া বাসায়। এ ঘটনায় বৃষ্টি আক্তারের পিতা পক্ষ বলছেন এটি আত্মহত্যায় বৃষ্টিকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। নিহত বৃষ্টি বেগম গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মধুপুর গ্রামের জাকির শেখের মেয়ে। তার স্বামী একই জেলার চরগোবরা গ্রামের মুজিবর শেখের ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম শেখ (২৭)। জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে তাদের বিয়ে হয়। সাজ্জাদুল ইসলামের পরিবার এ সম্পর্ক ও বিবাহ মেনে না নেয়ায় তারা মোল্লাহাট উপজেলার গাড়ফা গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করত। সাজ্জাদুল পেশায় দিনমজুর। স্বামী সাজ্জাদুল ইসলাম ও স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগে ৫ হাজার টাকায় একটি মোবাইল ফোন ক্রয় করে টিকটক ব্যবহার শুরু করেন বৃষ্টি। এ নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। ঘটনার দিন বিকেলে স্বামী মোবাইল বিক্রি করার উদ্দেশ্যে মোল্লাহাট বাজারে যান। প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় সেটি বিক্রি না করে বাসায় ফিরে আসেন। এরপর স্ত্রীকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া পাননি।
দরজার ফাঁক দিয়ে তিনি দেখেন, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে বৃষ্টি। খবর পেয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল থেকে বৃষ্টির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এখানে লাশের সুরতহাল করে বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় মোল্লাহাট থানায় একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মোল্লাহাট থানার ওসি মো. ফজলুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বৃষ্টির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে বৃষ্টির বাবার পরিবারের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় মোবাইল ফোন ব্যবহার ও টিকটক নিয়ে স্বামীর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিরোধের এক পর্যায়ে স্ত্রী বৃষ্টি বেগম (২২) গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। চাঞ্চ্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার গাড়ফা গ্রামের একটি ভাড়া বাসায়। এ ঘটনায় বৃষ্টি আক্তারের পিতা পক্ষ বলছেন এটি আত্মহত্যায় বৃষ্টিকে নির্যাতনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছে। নিহত বৃষ্টি বেগম গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার মধুপুর গ্রামের জাকির শেখের মেয়ে। তার স্বামী একই জেলার চরগোবরা গ্রামের মুজিবর শেখের ছেলে সাজ্জাদুল ইসলাম শেখ (২৭)। জানা গেছে, প্রায় দুই বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক থেকে তাদের বিয়ে হয়। সাজ্জাদুল ইসলামের পরিবার এ সম্পর্ক ও বিবাহ মেনে না নেয়ায় তারা মোল্লাহাট উপজেলার গাড়ফা গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করত। সাজ্জাদুল পেশায় দিনমজুর। স্বামী সাজ্জাদুল ইসলাম ও স্থানীয়রা জানান, কিছুদিন আগে ৫ হাজার টাকায় একটি মোবাইল ফোন ক্রয় করে টিকটক ব্যবহার শুরু করেন বৃষ্টি। এ নিয়ে প্রায়ই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। ঘটনার দিন বিকেলে স্বামী মোবাইল বিক্রি করার উদ্দেশ্যে মোল্লাহাট বাজারে যান। প্রত্যাশিত দাম না পাওয়ায় সেটি বিক্রি না করে বাসায় ফিরে আসেন। এরপর স্ত্রীকে ডাকাডাকি করলেও কোনো সাড়া পাননি।
দরজার ফাঁক দিয়ে তিনি দেখেন, গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে বৃষ্টি। খবর পেয়ে পুলিশ রাতে ঘটনাস্থল থেকে বৃষ্টির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এখানে লাশের সুরতহাল করে বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বাগেরহাট জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ ঘটনায় মোল্লাহাট থানায় একটি ইউডি মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। মোল্লাহাট থানার ওসি মো. ফজলুল হক বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর বৃষ্টির মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। তবে বৃষ্টির বাবার পরিবারের অভিযোগও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।