তিন পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার, তদন্ত কমিটি গঠন
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশের হেফাজতে থাকা দুর্জয় চৌধুরী নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করলে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়।
চকরিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম শুক্রবার বিকালে বলেন, থানায় হেফাজতে থাকা অবস্থায় দুর্জয় আত্মহত্যা করেছেন। দায়িত্বে অবহেলার কারণে এএসআই মোহাম্মদ হানিফ মিয়া, কনস্টেবল মহি উদ্দিন ও ইশরাক হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
দুর্জয় চাকরিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হিন্দু পাড়ার কমল চৌধুরীর ছেলে এবং চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক তাকে থানায় হস্তান্তর করেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা তার বিরুদ্ধে দুই লাখ ৮৩ হাজার টাকা জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন। ভোরে থানার হাজতে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেন। চকরিয়া ইমাম সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে প্রশ্ন তোলেন— “প্রিজন সেলে কিভাবে মানুষ মারা যায়? সে কি নিজেই ফাঁসি খেয়েছে, নাকি তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে?”
চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অভিজিত দাশ জানান, দূরত্বের কারণে আত্মহত্যার সরাসরি দৃশ্য ধারণ না হলেও থানার সিসিটিভিতে দুর্জয়ের চলাফেরা ও কার্যকলাপ দেখা গেছে। পুলিশ সদস্যদের গাফিলতি আছে কি-না, তা তদন্তে বের হবে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনাটির তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাহী হাকিম সুরতহাল করেছেন এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে আসল ঘটনা প্রকাশ পাবে।
তিন পুলিশ সদস্য প্রত্যাহার, তদন্ত কমিটি গঠন
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়ায় পুলিশের হেফাজতে থাকা দুর্জয় চৌধুরী নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করলে তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়।
চকরিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম শুক্রবার বিকালে বলেন, থানায় হেফাজতে থাকা অবস্থায় দুর্জয় আত্মহত্যা করেছেন। দায়িত্বে অবহেলার কারণে এএসআই মোহাম্মদ হানিফ মিয়া, কনস্টেবল মহি উদ্দিন ও ইশরাক হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
দুর্জয় চাকরিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের হিন্দু পাড়ার কমল চৌধুরীর ছেলে এবং চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ে কম্পিউটার অপারেটর হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক তাকে থানায় হস্তান্তর করেন। বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা তার বিরুদ্ধে দুই লাখ ৮৩ হাজার টাকা জালিয়াতি ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেন। ভোরে থানার হাজতে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, তিনি আত্মহত্যা করেছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে স্থানীয়রা বিক্ষোভ করেন। চকরিয়া ইমাম সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানিয়ে প্রশ্ন তোলেন— “প্রিজন সেলে কিভাবে মানুষ মারা যায়? সে কি নিজেই ফাঁসি খেয়েছে, নাকি তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে?”
চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অভিজিত দাশ জানান, দূরত্বের কারণে আত্মহত্যার সরাসরি দৃশ্য ধারণ না হলেও থানার সিসিটিভিতে দুর্জয়ের চলাফেরা ও কার্যকলাপ দেখা গেছে। পুলিশ সদস্যদের গাফিলতি আছে কি-না, তা তদন্তে বের হবে।
কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী জানান, ঘটনাটির তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাহী হাকিম সুরতহাল করেছেন এবং ময়নাতদন্তের প্রতিবেদনে আসল ঘটনা প্রকাশ পাবে।