ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বেথুলী সাইটবাড়ীয়া বলাকান্দর সম্মিলিত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির শিক্ষক আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক আসাদুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের বলাকান্দর গ্রামে।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির এক জরুরি সভায় এলাকার শিক্ষানুরাগী দবিরুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ইসমাত আরা পারভীন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর দুইবার এমন অভিযোগ ওঠে। কিন্তু সে সময় প্রভাব খাটিয়ে মীমাংসা করে নিয়েছিলেন। আবারও একই অভিযোগ উঠেছে। ফলে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানকে এই বিদ্যালয়ে আর না পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এলাকাবাসী এমন ঘৃণিত কাজের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
নাসিরুদ্দিন টিটো নামে বিদ্যালয়টির এক অভিভাবক বলেন, তার মেয়েও এই স্কুলে লেখাপড়া করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক যদি ছাত্রীর সঙ্গে এমন কাজ করে তাহলে তার মেয়েও নিরাপদ না। এজন্য মেয়েকে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করাব। তিনি চরিত্রহীন এ শিক্ষকের শাস্তির দাবি করেন।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক আসাদুল ইসলাম বলেন, তিনি সরাসরি রাজনীতি করেন না। তবে জামায়াতের সমর্থক। রাজনৈতিকভাবে তাকে হেনস্থা করতে ফাঁসানোর অপচেষ্টা চলছে। যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটি মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসমাত আরা পারভীন বলেন, ওই শিক্ষার্থীর একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে ম্যানেজিং কমিটির সভায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি মুসা করিম বলেন, শিক্ষকের দ্বারা এমন কাজ যদি হয়ে থাকে সেটি সত্যিই লজ্জাজনক এবং একটি ঘৃণিত কাজ। তদন্ত প্রতিবেদন জমা হলে ও ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বেথুলী সাইটবাড়ীয়া বলাকান্দর সম্মিলিত মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির শিক্ষক আসাদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ওই শিক্ষার্থী। অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক আসাদুল ইসলামের বাড়ি উপজেলার নিয়ামতপুর ইউনিয়নের বলাকান্দর গ্রামে।
এ ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির এক জরুরি সভায় এলাকার শিক্ষানুরাগী দবিরুল ইসলামকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিকে আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ইসমাত আরা পারভীন।
এলাকাবাসী সূত্রে জানাগেছে, এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকায় সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর দুইবার এমন অভিযোগ ওঠে। কিন্তু সে সময় প্রভাব খাটিয়ে মীমাংসা করে নিয়েছিলেন। আবারও একই অভিযোগ উঠেছে। ফলে অনেক অভিভাবক তাদের সন্তানকে এই বিদ্যালয়ে আর না পড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এলাকাবাসী এমন ঘৃণিত কাজের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।
নাসিরুদ্দিন টিটো নামে বিদ্যালয়টির এক অভিভাবক বলেন, তার মেয়েও এই স্কুলে লেখাপড়া করে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক যদি ছাত্রীর সঙ্গে এমন কাজ করে তাহলে তার মেয়েও নিরাপদ না। এজন্য মেয়েকে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করাব। তিনি চরিত্রহীন এ শিক্ষকের শাস্তির দাবি করেন।
তবে অভিযুক্ত শিক্ষক আসাদুল ইসলাম বলেন, তিনি সরাসরি রাজনীতি করেন না। তবে জামায়াতের সমর্থক। রাজনৈতিকভাবে তাকে হেনস্থা করতে ফাঁসানোর অপচেষ্টা চলছে। যে অভিযোগ করা হচ্ছে সেটি মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
বিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসমাত আরা পারভীন বলেন, ওই শিক্ষার্থীর একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর বৃহস্পতিবার সকালে ম্যানেজিং কমিটির সভায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওই শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিদ্যালয়টির ম্যানেজিং কমিটি সভাপতি মুসা করিম বলেন, শিক্ষকের দ্বারা এমন কাজ যদি হয়ে থাকে সেটি সত্যিই লজ্জাজনক এবং একটি ঘৃণিত কাজ। তদন্ত প্রতিবেদন জমা হলে ও ঘটনার সত্যতা পেলে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার দেদারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিবেন।