মাদারগঞ্জ (জামালপুর) : ২৩টি সমবায় সমিতির ৩০ হাজার মানুষের জমা করা ৭ কোটি টাকা উদ্ধার -সংবাদ
জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জে সমবায় সমিতির গ্রাহকের ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আল আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালকরা পলাতক অদ্যবধি পলাতক থাকায় আল আকাবার সমিতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২৪ এপ্রিল-২৫ বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সারা রাত ভোর পর্যন্ত থানার সামনে অবস্থান করে শতশত গ্রাহক। জামায়াত নেতা মাহবুবুর রহমানকে আটকের খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই থানার সামনে জড়ো হতে থাকেন শত শত গ্রাহক। পরে তারা লেপ-তোশক নিয়ে রাতভর থানা সংলগ্ন মাদারগঞ্জ- জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থান নেন। সবশেষ সকাল থেকেই থানার অবস্থান নেন বিক্ষুব্ধরা। এর আগে বুধবার বিকেলে সমবায় সমিতির নামে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পলাতক আল আকাবা সমিতির পরিচালক ও জামায়াত নেতা মাহবুবুর রহমানকে আটক করে গ্রাহকরা। আটকের পর ওই তাকে গণপিটুনি ও গলায় জুতার মালা দিয়ে ঘোরানো হয়। পরে গলায় জুতার মালা পরিহিত ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। সবশেষ তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে । এরপর বৃহস্পতিবার মাহবুবুর রহমানকে আদালতে না নেওয়ার দাবিতে থানার সামনে অবস্থান নেন গ্রাহকরা। এর পরেও কোন ভাবে সুরাহা করে না আল আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতির মালিকরা।
জানা যায়, জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলা সমবায় অফিস থেকে নিবন্ধন নিয়ে নামে বে নামে গড়ে তোলা ২৩ সমবায় সমিতির ৩৫ হাজার মানুষের জমাকৃত ৭০০ কোটি টাকা মধ্যে আল আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের জমাকৃত আমানত ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, পরিচালকরা পলাতক রয়েছে।
আল আকাবার সমিতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের। প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা অর্জন ও মানিলন্ডারিং করেছে। এই অপরাধে মাদারগঞ্জে প্রথম সমবায় সমিতি আল আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালকদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করেছে সিআইডি। গতকাল বৃহস্পতিবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য সংবাদকে জানান।
আল আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতি বিষয়ে সিআইডি দ্য ডেইলি ফ্রন্ট নিউজকে জানায়, ব্যাংকের চেয়ে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে মাদারগঞ্জে হাজার হাজার গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতারণা করে ৪০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় আল আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালকদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র বালিজুড়ী বাজার গড়ে ওঠা এসব সমিতির ব্যানারে পরিচালনা করা হয় ব্যাংকিং কার্যক্রম। প্রাধমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ সমিতির পরিচালক ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানায় মামলা করে সিআইডি। সমিতিটি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ সহ আশেপাশের উপজেলা ইসলামপুর, সরিষাবাড়ী, সারিয়াকান্দি,সহ বিভিন্ন উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতো। ব্যাংকের চেয়ে বেশি হারে মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রায় ১৩শ হাজার -১৪ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা সংগ্রহ করে প্রতারণা করে আসছে।
জানা যায়, প্রায় ১৩-১৪ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা আত্মসাৎ করে মানিলন্ডারিং করে সমিতির পরিচালকরা তাদের নিজ নিজ নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলে উক্ত অর্থে ৩১১৩ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করে। এসব সম্পত্তির মধ্যে জামালপুর জেলার সদর থানার গহেরপাড়া মৌজায় প্রায় ১৫ একর জমির উপর আলফা অটো ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটা আছে, গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা মৌজায় প্রায় ৩৫০ শতাংশ জমির উপর আলফা ড্রেসওয়ার নামে একটি গার্মেন্টস কারখানা রয়েছে।
এ ছাড়া আলফা ডেভলপার, আলফা ড্রেসওয়ারের নামে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্পে ৯টি প্লট রয়েছে। বাকি সম্পত্তিগুলো ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও জামালপুর জেলা সমূহের বিভিন্ন লোকেশনে তাদের বিপুল সম্পদ সব খানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে ছাড়াও ইতোপূর্বেও মাদারগঞ্জ উপজেলা সমবায় অফিস থেকে নিবন্ধন নিয়ে নামে বে নামে গড়ে তোলা ২৩ সমবায় সমিতির ৩৫ হাজার মানুষের জমাকৃত ৭০০ কোটি টাকা মধ্যে আল আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা অর্জন ও মানিলন্ডারিং করার অভিযোগে আল আকাবা বহুমুখী সময় সমিতির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিদেশ গমনাগমন রোধের জন্য বিজ্ঞ আদালত আদেশ দেন।
এ বিষয়ে মানিলন্ডারিং এর অনুসন্ধানকারী এক কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামালপুর দায়রা জজ আদালত সমবায় সমিতির ভূ-সম্পত্তির স্থাপনা, প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য অবকাঠামোর উপর ক্রোকাদেশ প্রদান করেন।
মাদারগঞ্জ (জামালপুর) : ২৩টি সমবায় সমিতির ৩০ হাজার মানুষের জমা করা ৭ কোটি টাকা উদ্ধার -সংবাদ
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জে সমবায় সমিতির গ্রাহকের ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আল আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালকরা পলাতক অদ্যবধি পলাতক থাকায় আল আকাবার সমিতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
২৪ এপ্রিল-২৫ বৃহস্পতিবার, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে সারা রাত ভোর পর্যন্ত থানার সামনে অবস্থান করে শতশত গ্রাহক। জামায়াত নেতা মাহবুবুর রহমানকে আটকের খবর পেয়ে বুধবার সন্ধ্যা থেকেই থানার সামনে জড়ো হতে থাকেন শত শত গ্রাহক। পরে তারা লেপ-তোশক নিয়ে রাতভর থানা সংলগ্ন মাদারগঞ্জ- জামালপুর আঞ্চলিক মহাসড়কে অবস্থান নেন। সবশেষ সকাল থেকেই থানার অবস্থান নেন বিক্ষুব্ধরা। এর আগে বুধবার বিকেলে সমবায় সমিতির নামে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে পলাতক আল আকাবা সমিতির পরিচালক ও জামায়াত নেতা মাহবুবুর রহমানকে আটক করে গ্রাহকরা। আটকের পর ওই তাকে গণপিটুনি ও গলায় জুতার মালা দিয়ে ঘোরানো হয়। পরে গলায় জুতার মালা পরিহিত ছবি ও ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। সবশেষ তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে । এরপর বৃহস্পতিবার মাহবুবুর রহমানকে আদালতে না নেওয়ার দাবিতে থানার সামনে অবস্থান নেন গ্রাহকরা। এর পরেও কোন ভাবে সুরাহা করে না আল আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতির মালিকরা।
জানা যায়, জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলা সমবায় অফিস থেকে নিবন্ধন নিয়ে নামে বে নামে গড়ে তোলা ২৩ সমবায় সমিতির ৩৫ হাজার মানুষের জমাকৃত ৭০০ কোটি টাকা মধ্যে আল আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের জমাকৃত আমানত ৪০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, পরিচালকরা পলাতক রয়েছে।
আল আকাবার সমিতির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের। প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা অর্জন ও মানিলন্ডারিং করেছে। এই অপরাধে মাদারগঞ্জে প্রথম সমবায় সমিতি আল আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালকদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা করেছে সিআইডি। গতকাল বৃহস্পতিবার সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন খান এ তথ্য সংবাদকে জানান।
আল আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতি বিষয়ে সিআইডি দ্য ডেইলি ফ্রন্ট নিউজকে জানায়, ব্যাংকের চেয়ে উচ্চ মুনাফার লোভ দেখিয়ে মাদারগঞ্জে হাজার হাজার গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতারণা করে ৪০০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ায় আল আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতির পরিচালকদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলা সমবায় কার্যালয়ের রেজিস্ট্রেশন নিয়ে উপজেলার প্রাণ কেন্দ্র বালিজুড়ী বাজার গড়ে ওঠা এসব সমিতির ব্যানারে পরিচালনা করা হয় ব্যাংকিং কার্যক্রম। প্রাধমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এ সমিতির পরিচালক ও তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানায় মামলা করে সিআইডি। সমিতিটি জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ সহ আশেপাশের উপজেলা ইসলামপুর, সরিষাবাড়ী, সারিয়াকান্দি,সহ বিভিন্ন উপজেলা এবং পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন এলাকার দরিদ্র জনগোষ্ঠীর কাছে স্বল্প সময়ে অধিক মুনাফার প্রলোভন দেখিয়ে গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতো। ব্যাংকের চেয়ে বেশি হারে মুনাফার লোভ দেখিয়ে প্রায় ১৩শ হাজার -১৪ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা সংগ্রহ করে প্রতারণা করে আসছে।
জানা যায়, প্রায় ১৩-১৪ হাজার গ্রাহকের কাছ থেকে প্রায় ৪০০ (চারশত) কোটি টাকা আত্মসাৎ করে মানিলন্ডারিং করে সমিতির পরিচালকরা তাদের নিজ নিজ নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুলে উক্ত অর্থে ৩১১৩ শতাংশ সম্পত্তি ক্রয় করে। এসব সম্পত্তির মধ্যে জামালপুর জেলার সদর থানার গহেরপাড়া মৌজায় প্রায় ১৫ একর জমির উপর আলফা অটো ব্রিকস নামে একটি ইট ভাটা আছে, গাজীপুরের দক্ষিণ সালনা মৌজায় প্রায় ৩৫০ শতাংশ জমির উপর আলফা ড্রেসওয়ার নামে একটি গার্মেন্টস কারখানা রয়েছে।
এ ছাড়া আলফা ডেভলপার, আলফা ড্রেসওয়ারের নামে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক প্রকল্পে ৯টি প্লট রয়েছে। বাকি সম্পত্তিগুলো ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও জামালপুর জেলা সমূহের বিভিন্ন লোকেশনে তাদের বিপুল সম্পদ সব খানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে।
এ বিষয়ে ছাড়াও ইতোপূর্বেও মাদারগঞ্জ উপজেলা সমবায় অফিস থেকে নিবন্ধন নিয়ে নামে বে নামে গড়ে তোলা ২৩ সমবায় সমিতির ৩৫ হাজার মানুষের জমাকৃত ৭০০ কোটি টাকা মধ্যে আল আকাবা বহুমুখী সমবায় সমিতি লিঃ প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা অর্জন ও মানিলন্ডারিং করার অভিযোগে আল আকাবা বহুমুখী সময় সমিতির সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিদেশ গমনাগমন রোধের জন্য বিজ্ঞ আদালত আদেশ দেন।
এ বিষয়ে মানিলন্ডারিং এর অনুসন্ধানকারী এক কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জামালপুর দায়রা জজ আদালত সমবায় সমিতির ভূ-সম্পত্তির স্থাপনা, প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য অবকাঠামোর উপর ক্রোকাদেশ প্রদান করেন।