ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
নারায়ণগঞ্জবাসীর আন্দোলনের মুখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের বাস ভাড়া কমানোর বছর না যেতেই ফের ভাড়া বৃদ্ধি করেছে জেলা প্রশাসন। কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া টিকেটপ্রতি ৫ টাকা বৃদ্ধি করায় ক্ষুব্ধ নগরবাসী। অভিযোগ রয়েছে, পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির কারণে ভাড়া বৃদ্ধি করতে উঠে পড়ে লেগেছে বাসমালিক ও প্রশাসন। তবে চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি হয়ে থাকতে নারাজ নগরবাসী। এ নিয়ে চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
গত বছর জুলাই আন্দোলনের পর নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের বাস ভাড়া কমানোর দাবিতে আন্দোলন গড়ে ওঠে। আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবি ছিল, চাঁদাবাজদের চাঁদা না দিয়ে, ভাড়া কমানোর। ধারাবাহিক প্রতিবাদ ও নানা কর্মসূচি পালনের ফলস্বরূপ গত বছরের নভেম্বর মাসে বাসভাড়া টিকেটপ্রতি ৫ টাকা কমিয়ে ৫০ টাকা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নির্ধারণ করেন সাবেক জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক।
গত ৯ মাস সে অনুযায়ী বাস ভাড়া নেয়া হলেও গত বুধবার হঠাৎ এক সভা আহ্বান করে বাস ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা দেন বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল মিঞা। এ সময় সভায় উপস্থিত একাধিক সংগঠন ও নেতাকর্মী ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে আপত্তি তোলেন। নেতাদের মধ্যে তর্কবিতর্কও হয়। কিন্তু এসব কিছু উপেক্ষা করে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে অনড় থাকে প্রশাসন।
এদিকে সভা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয় বিভিন্ন সংগঠন।
ওইদিনই জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে এর প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেয় নারায়ণগঞ্জ যাত্রী অধিকার ফোরাম। সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বলেন, এই সময়ের মধ্যে কোনো ধরনের তেল-ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়নি। এমনকি সরকারিভাবে ভাড়া বৃদ্ধি করার কোনো প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়নি।
যাত্রী অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বির বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের যেই ভূমিকা তা আমরা ন্যক্কারজনক মনে করি। আমরা কয়েক মাস আগে জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছিলাম এসি বাসের ভাড়া কমানোর জন্য, যখন ভাড়া ৭০-৮০ টাকা করল তখন তিনি এটাকে কোনো গুরুত্ব দিলেন না, আর বাসমালিকরা যখন গত পরশুদিন তাকে চিঠি দিয়ে বললো ভাড়া বাড়াতে হবে, তিনি জরুরি ভিত্তিতে সবাইকে ডেকে নিয়ে ৫ টাকা ভাড়া বাড়ায় দিলেন। এই ভূমিকাটা জনবিরোধী এবং বাসমালিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য। এ সিদ্ধান্ত আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’
ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক দাবি করে এর প্রতিবাদ জানায় গণসংহতি আন্দোলন। দলটির জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন বিবৃতিতে বলেন, ‘বাসমালিকদের অন্যায্য দাবির প্রতি প্রশাসনের নতিস্বীকার এবং যাত্রী সাধারণের স্বার্থ উপেক্ষা করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করবে।
এক বার্তায় ছাত্র ফেডারেশন জেলা সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা বলেন, ‘এটা একটি গণবিরোধী সিদ্ধান্ত, আমরা এটি প্রত্যাখ্যান করছি। কোনো খচর বৃদ্ধি ছাড়াই ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাসমালিকরা বলছেন, যাত্রী সুবিধার্থে বাসকে ৫২-৪৫ সিটে নিয়ে আসায় তাদের লোকসান হচ্ছে। যা যাত্রীদের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে থেকে শহরের বিভিন্ন বাসকাউন্টারে বর্ধিত মূল্যে টিকেট বিক্রি শুরু হয়। হঠাৎ ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি জানতে পেরে কাউন্টারেই ক্ষোভ প্রকাশ করে নগরবাসী। ক্ষুব্ধ যাত্রীদের টিকেটের ছবি তুলে ফেইসবুকে পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
এক ফেইসবুক স্ট্যাটাসে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি এক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ বাস ভাড়া হচ্ছে সরল অংক। ন্যায্য ভাড়া ৫০ যোগ চাঁদাবাজের ৫ টাকা মোট ৫৫ টাকা। ৫ আগস্টের চাঁদাবাজ না থাকায় ভাড়া ছিল ৫০ টাকা। নতুন চাঁদাবাজের কারণে ভাড়া আবার ৫৫ টাকা। প্রকৃতি শূন্যস্থান পছন্দ করেন না।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণ অঞ্চলের) শওকত আলী এক স্ট্যাস্টাসে লিখেন, ‘বাসমালিকদের পক্ষে কথা বলতেছে বিএনপি জামায়াতের নেতারা, ডিসি দেখায় আইনের দোহাই। এতদিন কি তাহলে বেআইনিভাবে চলছে? আমরা এর আগেও দাবি তুলেছিলাম যে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের দূরত্ব মেপে তেলের বর্তমান দাম অনুযায়ী ভাড়া ঠিক করতে। সেখানে আমাদের দাবি ছিল ৪৫ টাকা। সেইটা করলেও মালিকদের মুনাফা থাকত। তাও আগের ডিসি ৫০ টাকা করায় মেনে নিয়েছিল সবাই।
আজকে আবার নতুন কিছু হয়েছে? তেলের দাম বেড়েছে? নাকি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের দূরত্ব বেড়েছে? তাহলে হঠাৎ ভাড়া বৃদ্ধির পাঁয়তারা কেন? প্রশ্ন তুলে তিনি লিখেন, ‘বাসগুলার ফিটনেস নাই, ফিটনেসবিহীন বাস উঠিয়ে নেয়ার কথা ছিল, নেয় নাই। দুই নাম্বার গেইটের দিকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী তোলে, ভয়াবহ জ্যাম লেগে থাকে শহরে। বাস টার্মিনাল ১ নাম্বার গেইট থেকে সরিয়ে শহরের বাইরে নেয়ার দাবি তুলতে হবে।
বাসভাড়া বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সবাইকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এক ওসমান পরিবার নারায়ণগঞ্জবাসীকে জিম্মি করে রেখেছিল। আমরা আর কোনো রাজনৈতিক দল, নেতা বা আমলাদের কাছে, পরিবহন মাফিয়াদের কাছে জিম্মি থাকতে চাই না!’
বিকেলে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
নারায়ণগঞ্জবাসীর আন্দোলনের মুখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের বাস ভাড়া কমানোর বছর না যেতেই ফের ভাড়া বৃদ্ধি করেছে জেলা প্রশাসন। কোনো সুনির্দিষ্ট কারণ ছাড়া টিকেটপ্রতি ৫ টাকা বৃদ্ধি করায় ক্ষুব্ধ নগরবাসী। অভিযোগ রয়েছে, পরিবহন খাতে চাঁদাবাজির কারণে ভাড়া বৃদ্ধি করতে উঠে পড়ে লেগেছে বাসমালিক ও প্রশাসন। তবে চাঁদাবাজদের কাছে জিম্মি হয়ে থাকতে নারাজ নগরবাসী। এ নিয়ে চলছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্নভাবে আলোচনা-সমালোচনার ঝড়।
গত বছর জুলাই আন্দোলনের পর নারায়ণগঞ্জের সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রুটের বাস ভাড়া কমানোর দাবিতে আন্দোলন গড়ে ওঠে। আন্দোলনকারীদের প্রধান দাবি ছিল, চাঁদাবাজদের চাঁদা না দিয়ে, ভাড়া কমানোর। ধারাবাহিক প্রতিবাদ ও নানা কর্মসূচি পালনের ফলস্বরূপ গত বছরের নভেম্বর মাসে বাসভাড়া টিকেটপ্রতি ৫ টাকা কমিয়ে ৫০ টাকা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়া নির্ধারণ করেন সাবেক জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক।
গত ৯ মাস সে অনুযায়ী বাস ভাড়া নেয়া হলেও গত বুধবার হঠাৎ এক সভা আহ্বান করে বাস ভাড়া বৃদ্ধির ঘোষণা দেন বর্তমান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল মিঞা। এ সময় সভায় উপস্থিত একাধিক সংগঠন ও নেতাকর্মী ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদ জানিয়ে আপত্তি তোলেন। নেতাদের মধ্যে তর্কবিতর্কও হয়। কিন্তু এসব কিছু উপেক্ষা করে ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্তে অনড় থাকে প্রশাসন।
এদিকে সভা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দেয় বিভিন্ন সংগঠন।
ওইদিনই জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে এর প্রতিবাদ জানিয়ে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেয় নারায়ণগঞ্জ যাত্রী অধিকার ফোরাম। সংগঠনটির নেতাকর্মীরা বলেন, এই সময়ের মধ্যে কোনো ধরনের তেল-ডিজেলের দাম বাড়ানো হয়নি। এমনকি সরকারিভাবে ভাড়া বৃদ্ধি করার কোনো প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়নি।
যাত্রী অধিকার ফোরামের আহ্বায়ক রফিউর রাব্বির বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের যেই ভূমিকা তা আমরা ন্যক্কারজনক মনে করি। আমরা কয়েক মাস আগে জেলা প্রশাসককে চিঠি দিয়েছিলাম এসি বাসের ভাড়া কমানোর জন্য, যখন ভাড়া ৭০-৮০ টাকা করল তখন তিনি এটাকে কোনো গুরুত্ব দিলেন না, আর বাসমালিকরা যখন গত পরশুদিন তাকে চিঠি দিয়ে বললো ভাড়া বাড়াতে হবে, তিনি জরুরি ভিত্তিতে সবাইকে ডেকে নিয়ে ৫ টাকা ভাড়া বাড়ায় দিলেন। এই ভূমিকাটা জনবিরোধী এবং বাসমালিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য। এ সিদ্ধান্ত আমরা প্রত্যাখ্যান করছি।’
ভাড়া বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক দাবি করে এর প্রতিবাদ জানায় গণসংহতি আন্দোলন। দলটির জেলা সমন্বয়ক তরিকুল সুজন বিবৃতিতে বলেন, ‘বাসমালিকদের অন্যায্য দাবির প্রতি প্রশাসনের নতিস্বীকার এবং যাত্রী সাধারণের স্বার্থ উপেক্ষা করা হয়েছে বলে আমি মনে করি। এর প্রতিক্রিয়া হিসেবে যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করবে।
এক বার্তায় ছাত্র ফেডারেশন জেলা সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা বলেন, ‘এটা একটি গণবিরোধী সিদ্ধান্ত, আমরা এটি প্রত্যাখ্যান করছি। কোনো খচর বৃদ্ধি ছাড়াই ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাসমালিকরা বলছেন, যাত্রী সুবিধার্থে বাসকে ৫২-৪৫ সিটে নিয়ে আসায় তাদের লোকসান হচ্ছে। যা যাত্রীদের ঘাড়ে চাপাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে থেকে শহরের বিভিন্ন বাসকাউন্টারে বর্ধিত মূল্যে টিকেট বিক্রি শুরু হয়। হঠাৎ ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি জানতে পেরে কাউন্টারেই ক্ষোভ প্রকাশ করে নগরবাসী। ক্ষুব্ধ যাত্রীদের টিকেটের ছবি তুলে ফেইসবুকে পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যায়।
এক ফেইসবুক স্ট্যাটাসে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন পন্টি এক স্ট্যাটাসে লিখেন, ‘ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ বাস ভাড়া হচ্ছে সরল অংক। ন্যায্য ভাড়া ৫০ যোগ চাঁদাবাজের ৫ টাকা মোট ৫৫ টাকা। ৫ আগস্টের চাঁদাবাজ না থাকায় ভাড়া ছিল ৫০ টাকা। নতুন চাঁদাবাজের কারণে ভাড়া আবার ৫৫ টাকা। প্রকৃতি শূন্যস্থান পছন্দ করেন না।’
জাতীয় নাগরিক পার্টির কেন্দ্রীয় সংগঠক (দক্ষিণ অঞ্চলের) শওকত আলী এক স্ট্যাস্টাসে লিখেন, ‘বাসমালিকদের পক্ষে কথা বলতেছে বিএনপি জামায়াতের নেতারা, ডিসি দেখায় আইনের দোহাই। এতদিন কি তাহলে বেআইনিভাবে চলছে? আমরা এর আগেও দাবি তুলেছিলাম যে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের দূরত্ব মেপে তেলের বর্তমান দাম অনুযায়ী ভাড়া ঠিক করতে। সেখানে আমাদের দাবি ছিল ৪৫ টাকা। সেইটা করলেও মালিকদের মুনাফা থাকত। তাও আগের ডিসি ৫০ টাকা করায় মেনে নিয়েছিল সবাই।
আজকে আবার নতুন কিছু হয়েছে? তেলের দাম বেড়েছে? নাকি ঢাকা-নারায়ণগঞ্জের দূরত্ব বেড়েছে? তাহলে হঠাৎ ভাড়া বৃদ্ধির পাঁয়তারা কেন? প্রশ্ন তুলে তিনি লিখেন, ‘বাসগুলার ফিটনেস নাই, ফিটনেসবিহীন বাস উঠিয়ে নেয়ার কথা ছিল, নেয় নাই। দুই নাম্বার গেইটের দিকে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থেকে যাত্রী তোলে, ভয়াবহ জ্যাম লেগে থাকে শহরে। বাস টার্মিনাল ১ নাম্বার গেইট থেকে সরিয়ে শহরের বাইরে নেয়ার দাবি তুলতে হবে।
বাসভাড়া বৃদ্ধির বিরুদ্ধে সবাইকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এক ওসমান পরিবার নারায়ণগঞ্জবাসীকে জিম্মি করে রেখেছিল। আমরা আর কোনো রাজনৈতিক দল, নেতা বা আমলাদের কাছে, পরিবহন মাফিয়াদের কাছে জিম্মি থাকতে চাই না!’
বিকেলে ভাড়া বৃদ্ধির প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে জেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা।