টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় সাময়িক বন্যার সৃষ্টি হয়। পানি কমার পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নতুন করে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, গত ৭ দিনে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হয়েছে ৩৭টি বসতবাড়ি। ভাঙনের মুখে রয়েছে শতাধিক বসত বাড়ি। ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। শুক্রবার,(২২ আগস্ট ২০২৫) তিস্তা নদী পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে গেলে নদী ভাঙনের এসব চিত্র দেখা যায়। তিস্তার ভয়াল ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। বারবার ভাঙনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন নদী পাড়ের মানুষ। কেউ কেউ আগেভাগেই ঘরবাড়ি ভেঙে উঁচু স্থানে সরিয়ে নিলেও থাকার জায়গার অভাবে অনেক পরিবার নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগে বালু ভরাট করে কাজ চালালেও তীব্র স্রোতে তা কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কুটিপাড়া গ্রামের ভাঙনের শিকার শতবর্ষী সাইজন বেওয়া বলেন, ইতোমধ্যে তিনি সাতবার ভাঙনের শিকার হয়েছেন। এবার শেষ সম্বল ভিটেমাটিও নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি। বন্যা-পরবর্তী ভাঙনে সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কুটিপাড়া, আদর্শ বাজার, রাজপুর ইউনিয়নের তাজপুর, চিনাতলি, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারি এবং হাতিবান্ধার সিন্ধুনা এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে শতবর্ষী পুরনো একাধিক বসতভিটাও নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে।
আদিতমারীর গোবর্ধন গ্রামের ফারুক জানান, এখন পর্যন্ত পাঁচবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছি, শেষ সম্বল ৪ শতক জমির ওপর বাড়ি করে ছিলাম। তাও এই বন্যায় ভেঙে গেল। এখন কোথায় যাব কী করবো ভেবে পাচ্ছি না।
সদরের রাজপুরের ঝন্টু মিয়া জানান, (শুক্রবার,-২২ আগস্ট ২০২৫) ভোরে ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। সবকিছু হারিয়ে চোখে মুখে দেখছেন অন্ধকার। এখন কোথায় ঠাঁই হবে জানেন না তিনি।
হাতীবান্ধার ডাউয়াবাড়ীর বৃদ্ধ সোয়েমান জানান, শুক্রবার ভোরে তীব্র স্রোতে ঘর বাড়ি বিলীন হয়েছে। চার সন্তান নিয়ে এখন বেকায়দায় পড়ে আছি।
এদিকে পানি নেমে গেলে বানভাসীরা চর্মরোগ ও চুলকানিসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভুগছেন। বন্যা আর নদী ভাঙনে জেলায় ইতোমধ্যে প্রায় ৯১৫ হেক্টর রোপা আমন ধানের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শ্রী শুনীল কুমার বলেন, ‘জরুরি আপৎকালীন কাজের অংশ হিসেবে যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেখানে জিও ব্যাগে বালু ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।’
স্থানীয়দের দাবি, তিস্তার ভয়াবহ ভাঙনে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই তারা দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে লালমনিরহাটের তিস্তা তীরবর্তী বিস্তীর্ণ এলাকায় সাময়িক বন্যার সৃষ্টি হয়। পানি কমার পর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও নতুন করে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, গত ৭ দিনে তিস্তার ভাঙনে বিলীন হয়েছে ৩৭টি বসতবাড়ি। ভাঙনের মুখে রয়েছে শতাধিক বসত বাড়ি। ভাঙন প্রতিরোধে কাজ করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। শুক্রবার,(২২ আগস্ট ২০২৫) তিস্তা নদী পাড়ের বিভিন্ন এলাকায় সরজমিনে গেলে নদী ভাঙনের এসব চিত্র দেখা যায়। তিস্তার ভয়াল ভাঙনে নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। বারবার ভাঙনের শিকার হয়ে নিঃস্ব হচ্ছেন নদী পাড়ের মানুষ। কেউ কেউ আগেভাগেই ঘরবাড়ি ভেঙে উঁচু স্থানে সরিয়ে নিলেও থাকার জায়গার অভাবে অনেক পরিবার নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন। ভাঙন ঠেকাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগে বালু ভরাট করে কাজ চালালেও তীব্র স্রোতে তা কার্যকর হচ্ছে না বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কুটিপাড়া গ্রামের ভাঙনের শিকার শতবর্ষী সাইজন বেওয়া বলেন, ইতোমধ্যে তিনি সাতবার ভাঙনের শিকার হয়েছেন। এবার শেষ সম্বল ভিটেমাটিও নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন তিনি। বন্যা-পরবর্তী ভাঙনে সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ ইউনিয়নের কুটিপাড়া, আদর্শ বাজার, রাজপুর ইউনিয়নের তাজপুর, চিনাতলি, কালীগঞ্জ উপজেলার ভোটমারি এবং হাতিবান্ধার সিন্ধুনা এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে শতবর্ষী পুরনো একাধিক বসতভিটাও নদীতে তলিয়ে যাচ্ছে।
আদিতমারীর গোবর্ধন গ্রামের ফারুক জানান, এখন পর্যন্ত পাঁচবার নদী ভাঙনের শিকার হয়েছি, শেষ সম্বল ৪ শতক জমির ওপর বাড়ি করে ছিলাম। তাও এই বন্যায় ভেঙে গেল। এখন কোথায় যাব কী করবো ভেবে পাচ্ছি না।
সদরের রাজপুরের ঝন্টু মিয়া জানান, (শুক্রবার,-২২ আগস্ট ২০২৫) ভোরে ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়েছে। সবকিছু হারিয়ে চোখে মুখে দেখছেন অন্ধকার। এখন কোথায় ঠাঁই হবে জানেন না তিনি।
হাতীবান্ধার ডাউয়াবাড়ীর বৃদ্ধ সোয়েমান জানান, শুক্রবার ভোরে তীব্র স্রোতে ঘর বাড়ি বিলীন হয়েছে। চার সন্তান নিয়ে এখন বেকায়দায় পড়ে আছি।
এদিকে পানি নেমে গেলে বানভাসীরা চর্মরোগ ও চুলকানিসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ভুগছেন। বন্যা আর নদী ভাঙনে জেলায় ইতোমধ্যে প্রায় ৯১৫ হেক্টর রোপা আমন ধানের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শ্রী শুনীল কুমার বলেন, ‘জরুরি আপৎকালীন কাজের অংশ হিসেবে যেসব এলাকায় ভাঙন দেখা দিয়েছে, সেখানে জিও ব্যাগে বালু ফেলে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা চলছে।’
স্থানীয়দের দাবি, তিস্তার ভয়াবহ ভাঙনে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই তারা দ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন।