দুর্জয় চৌধুরী ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কক্সবাজারের চকরিয়া থানার হাজত থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার,(২২ আগস্ট ২০২৫) ভোর চারটার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই যুবক থানা হাজতের ভেতর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের চেক জালিয়াতি ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে রাবেয়া খানম নামে এক শিক্ষক।
নিহত দুর্জয় চৌধুরী (২৫) চকরিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভরামুহুরী হিন্দুপাড়া এলাকার কমল চৌধুরীর ছেলে। তিনি চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালযের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করতেন।
পুলিশ বলছে আত্মহত্যা, কারণ উদ্ঘাটনে তিন সদস্যের কমিটি
জড়িতদের শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি
নিহত দুর্জয়ের বাবা কমল চৌধুরী বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের চেক জালিয়াতি ও নগদ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানম দুর্জয় চৌধুরীকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। তিনি বলেন, টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে দুর্জয়কে ১০-১২ দিন ধরে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছিল। এতে দুর্জয় বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আবারও একই অভিযোগে তাকে বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত একটি কক্ষে জিম্মি করে রাখা হয়। পরে দুর্জয়কে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দিবাগত রাত ১টা ২৭ মিনিট পর্যন্ত থানা হাজতের ভেতরে দুর্জয় চৌধুরীকে হাঁটতে দেখা গেছে। এরপর আর তার চলাফেরা দেখা যায়নি। শুক্রবার ভোররাতে পুলিশের অভিযানে অন্য মামলায় আটককৃত আসামিদের হাজতে রাখতে গেলে পুলিশ সদস্যরা গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় নিহত যুবকের মরদেহ দেখতে পান। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে পুলিশ হাজতখানা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানম চেক জালিয়াতির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের দুই লাখ ৮৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে দুর্জয় চৌধুরীর বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন। যদিও গতকাল বৃহস্পতিবার একই অভিযোগে তাঁকে বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত একটি কক্ষে জিম্মি করে রাখা হয়। পরে চেক জালিয়াতির অভিযোগে দুর্জয়কে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানম বলেন, বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ‘দুর্জয় চেক জালিয়াতি করে ও নগদ মিলিয়ে বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
তিনি বলেন, থানায় অভিযোগ করার সময় দুর্জয় আমার সঙ্গে ছিলেন। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানা হাজতে রাখে। এরপর আমি চলে আসি। এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে শুনেছি দুর্জয় থানা হাজতে আত্মহত্যা করেছেন।
থানা হাজতের ভেতরে যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা শুনে শুক্রবার সকালে চকরিয়া থানার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জসিম উদ্দিন চৌধুরী। এ সময় চকরিয়া সার্কেল এএসপি অভিজিৎ দাশ ও চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, থানার হাজতখানায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আগেরদিন বৃহস্পতিবার বিকালে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্কুল কর্তৃপক্ষ দুর্জয়কে থানায় নিয়ে আসে এবং একটি মামলা দায়ের করে। যেহেতু মামলাটি দুদকের শিডিউলভুক্ত, তাই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নেয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে হেফাজতে রাখা হয়। পরে শুক্রবার ভোর চারটার দিকে হাজতে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তার লাশ উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপায়ন দেবের উপস্থিতিতে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জসীম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় কক্সবাজার জেলা পুলিশ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী। এছাড়া পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ঘটনার আসল চিত্র উঠে আসবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, থানা হাজতে আত্মহত্যার ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কক্সবাজারের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) অভিজিৎ দাশ ও চকরিয়া আদালতের কোর্ট পরিদর্শক মো. আনোয়ার উল ইসলামকে সদস্য করে গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম ইতোমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় কর্তব্য অবহেলার দায়ে শুক্রবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দীন শাহীন, চকরিয়া থানার এএসআই (সহকারী উপ-পরিদর্শক) হানিফ মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল ইশরাত হোসেন এবং মহিউদ্দিনকে ক্লোজ করে জেলা পুলিশ লাইনে ন্যস্ত করা হয়েছে।
এদিকে থানা হাজতে দুর্জয় চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী তথা চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী হিন্দুপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে চকরিয়া থানার সামনে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে এসে মানববন্ধন করেছে। এ সময় তারা সেখানে সড়ক অবরোধ করে। পরে চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. এনামুল হক ছাড়াও হিন্দু সম্প্রদায়ের সিনিয়র নেতারার ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীকে শান্ত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
এরপর এলাকাবাসী মিছিল সহকারে গিয়ে এ ঘটনার বিষয়ে চকরিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার রুপায়ন দেবের কাছে একটি স্বারকলিপি জমা দিয়েছেন।
দুর্জয় চৌধুরী ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়া থানার হাজত থেকে এক যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার,(২২ আগস্ট ২০২৫) ভোর চারটার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, ওই যুবক থানা হাজতের ভেতর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের চেক জালিয়াতি ও টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তাকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে রাবেয়া খানম নামে এক শিক্ষক।
নিহত দুর্জয় চৌধুরী (২৫) চকরিয়া পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভরামুহুরী হিন্দুপাড়া এলাকার কমল চৌধুরীর ছেলে। তিনি চকরিয়া সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালযের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি করতেন।
পুলিশ বলছে আত্মহত্যা, কারণ উদ্ঘাটনে তিন সদস্যের কমিটি
জড়িতদের শাস্তির দাবিতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি
নিহত দুর্জয়ের বাবা কমল চৌধুরী বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ের চেক জালিয়াতি ও নগদ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানম দুর্জয় চৌধুরীকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন। তিনি বলেন, টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে দুর্জয়কে ১০-১২ দিন ধরে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছিল। এতে দুর্জয় বুকে ব্যথা ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার আবারও একই অভিযোগে তাকে বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত একটি কক্ষে জিম্মি করে রাখা হয়। পরে দুর্জয়কে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দিবাগত রাত ১টা ২৭ মিনিট পর্যন্ত থানা হাজতের ভেতরে দুর্জয় চৌধুরীকে হাঁটতে দেখা গেছে। এরপর আর তার চলাফেরা দেখা যায়নি। শুক্রবার ভোররাতে পুলিশের অভিযানে অন্য মামলায় আটককৃত আসামিদের হাজতে রাখতে গেলে পুলিশ সদস্যরা গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় নিহত যুবকের মরদেহ দেখতে পান। পরে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে পুলিশ হাজতখানা থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চকরিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানম চেক জালিয়াতির মাধ্যমে বিদ্যালয়ের দুই লাখ ৮৩ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে দুর্জয় চৌধুরীর বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন। যদিও গতকাল বৃহস্পতিবার একই অভিযোগে তাঁকে বিদ্যালয়ে ডেকে নিয়ে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত একটি কক্ষে জিম্মি করে রাখা হয়। পরে চেক জালিয়াতির অভিযোগে দুর্জয়কে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
চকরিয়া সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাবেয়া খানম বলেন, বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ‘দুর্জয় চেক জালিয়াতি করে ও নগদ মিলিয়ে বিদ্যালয়ের ২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে চকরিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি।
তিনি বলেন, থানায় অভিযোগ করার সময় দুর্জয় আমার সঙ্গে ছিলেন। পরে পুলিশ তাকে আটক করে থানা হাজতে রাখে। এরপর আমি চলে আসি। এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে শুনেছি দুর্জয় থানা হাজতে আত্মহত্যা করেছেন।
থানা হাজতের ভেতরে যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা শুনে শুক্রবার সকালে চকরিয়া থানার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জসিম উদ্দিন চৌধুরী। এ সময় চকরিয়া সার্কেল এএসপি অভিজিৎ দাশ ও চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, থানার হাজতখানায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আগেরদিন বৃহস্পতিবার বিকালে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে স্কুল কর্তৃপক্ষ দুর্জয়কে থানায় নিয়ে আসে এবং একটি মামলা দায়ের করে। যেহেতু মামলাটি দুদকের শিডিউলভুক্ত, তাই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) নেয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাকে হেফাজতে রাখা হয়। পরে শুক্রবার ভোর চারটার দিকে হাজতে আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
তার লাশ উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রুপায়ন দেবের উপস্থিতিতে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
জসীম উদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় কক্সবাজার জেলা পুলিশ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত শেষে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসিম উদ্দিন চৌধুরী। এছাড়া পোস্টমর্টেম রিপোর্টে ঘটনার আসল চিত্র উঠে আসবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, থানা হাজতে আত্মহত্যার ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে কক্সবাজারের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে সহকারী পুলিশ সুপার (চকরিয়া সার্কেল) অভিজিৎ দাশ ও চকরিয়া আদালতের কোর্ট পরিদর্শক মো. আনোয়ার উল ইসলামকে সদস্য করে গঠিত তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত টিম ইতোমধ্যে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেছেন।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় কর্তব্য অবহেলার দায়ে শুক্রবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইফউদ্দীন শাহীন, চকরিয়া থানার এএসআই (সহকারী উপ-পরিদর্শক) হানিফ মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল ইশরাত হোসেন এবং মহিউদ্দিনকে ক্লোজ করে জেলা পুলিশ লাইনে ন্যস্ত করা হয়েছে।
এদিকে থানা হাজতে দুর্জয় চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন এলাকাবাসী তথা চকরিয়া পৌরসভার ভরামুহুরী হিন্দুপাড়া এলাকার বাসিন্দারা। এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে চকরিয়া থানার সামনে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে এসে মানববন্ধন করেছে। এ সময় তারা সেখানে সড়ক অবরোধ করে। পরে চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. এনামুল হক ছাড়াও হিন্দু সম্প্রদায়ের সিনিয়র নেতারার ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসীকে শান্ত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন।
এরপর এলাকাবাসী মিছিল সহকারে গিয়ে এ ঘটনার বিষয়ে চকরিয়া উপজেলার ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী কমিশনার রুপায়ন দেবের কাছে একটি স্বারকলিপি জমা দিয়েছেন।