ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
কর্তৃপক্ষের অগোচরে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত টায়ার বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাকে দেয়ার ঘটনায় দুইজনকে চাকরিচ্যুত করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। তারা হলেন- বিমানের ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট সুপারভাইজার আরমান হোসেন ও স্টোর হেলপার সামসুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার বিমানের প্রশাসন ও মানবসম্পদ পরিদপ্তরের পাঠানো চিঠিতে তাদের চাকরিচ্যুতির বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
সেখানে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন কর্মচারী প্রবিধানমালার ৫২ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আপনার চাকরি অবিলম্বে অবসান করা হলো। নোটিশ পে বাবদ একমাসের সর্বসাকল্যে বেতন দেয়া হলো। চাকরিসংক্রান্ত সব আইনানুগ পাওনাদি (যদি থাকে) অর্থ পরিদপ্তর যথারীতি পরিশোধ করবে।’
চাকরিচ্যুতির ঘটনায় বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম রওশন কবীর বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’ বিমানের মুখপাত্র রওশন কবীর বলছেন, ‘চাকাগুলো সরানোর সময়ই নিরাপত্তাকর্মীরা সেগুলো দেখে ফেললে তারা সেগুলো আর নিতে পারে নাই।’
বিমানের দুই কর্মী উড়োজাহাজের ব্যবহৃত ১০টি চাকা এক বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাকে দেয়ার অভিযোগে সম্প্রতি একটি জিডি হয়। বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মোশারেফ হোসেন বিমানবন্দর থানায় এ জিডি করেন। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সটির কর্মকর্তারা বলছেন, ‘চাকা চুরির’ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
জিডিতে বিষয়টিকে ‘চুরি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে বিমানের কর্মকর্তা মোশারেফ লেখেন, গত ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০টি ‘আনসার্ভিসেবল টায়ার’ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সের পাশের অকশন শেডে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে আরমান হোসেন ও সামসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে কর্মরত (এজিএম) শফিকুল ইসলামকে ১০টি চাকা ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছে। তবে সেটি ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষকে’ না জানিয়ে করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়।
সম্প্রতি এক মাসের মধ্যে অন্তত ৮ বার বিমানের বোয়িং উড়োজাহাজগুলোতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়, তাতে বিমানের শিডিউল বিপর্যয় দেখা দেয়। এ গোলযোগের মধ্যে চাকা ফাটার ঘটনাও রয়েছে। বাতিলের পাশাপাশি বিলম্বও করতে অনেক ফ্লাইট। এ নিয়ে বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার মধ্যেই ‘চাকা চুরির’ অভিযোগ সামনে আসে।
ছবি: ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত
শুক্রবার, ২২ আগস্ট ২০২৫
কর্তৃপক্ষের অগোচরে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত টায়ার বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাকে দেয়ার ঘটনায় দুইজনকে চাকরিচ্যুত করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। তারা হলেন- বিমানের ম্যাটেরিয়াল ম্যানেজমেন্ট সুপারভাইজার আরমান হোসেন ও স্টোর হেলপার সামসুল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার বিমানের প্রশাসন ও মানবসম্পদ পরিদপ্তরের পাঠানো চিঠিতে তাদের চাকরিচ্যুতির বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
সেখানে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ বিমান করপোরেশন কর্মচারী প্রবিধানমালার ৫২ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আপনার চাকরি অবিলম্বে অবসান করা হলো। নোটিশ পে বাবদ একমাসের সর্বসাকল্যে বেতন দেয়া হলো। চাকরিসংক্রান্ত সব আইনানুগ পাওনাদি (যদি থাকে) অর্থ পরিদপ্তর যথারীতি পরিশোধ করবে।’
চাকরিচ্যুতির ঘটনায় বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক এ বি এম রওশন কবীর বলেন, ‘তাদের বিরুদ্ধে নিয়মানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’ বিমানের মুখপাত্র রওশন কবীর বলছেন, ‘চাকাগুলো সরানোর সময়ই নিরাপত্তাকর্মীরা সেগুলো দেখে ফেললে তারা সেগুলো আর নিতে পারে নাই।’
বিমানের দুই কর্মী উড়োজাহাজের ব্যবহৃত ১০টি চাকা এক বেসরকারি এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাকে দেয়ার অভিযোগে সম্প্রতি একটি জিডি হয়। বিমানের সহকারী ব্যবস্থাপক (নিরাপত্তা) মোশারেফ হোসেন বিমানবন্দর থানায় এ জিডি করেন। রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী এয়ারলাইন্সটির কর্মকর্তারা বলছেন, ‘চাকা চুরির’ ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে।
জিডিতে বিষয়টিকে ‘চুরি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়নি। সেখানে বিমানের কর্মকর্তা মোশারেফ লেখেন, গত ১৬ আগস্ট সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০টি ‘আনসার্ভিসেবল টায়ার’ শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সের পাশের অকশন শেডে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরে আরমান হোসেন ও সামসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সে কর্মরত (এজিএম) শফিকুল ইসলামকে ১০টি চাকা ব্যবহারের জন্য দেয়া হয়েছে। তবে সেটি ‘যথাযথ কর্তৃপক্ষকে’ না জানিয়ে করা হয়েছে বলে অভিযোগে বলা হয়।
সম্প্রতি এক মাসের মধ্যে অন্তত ৮ বার বিমানের বোয়িং উড়োজাহাজগুলোতে যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেয়, তাতে বিমানের শিডিউল বিপর্যয় দেখা দেয়। এ গোলযোগের মধ্যে চাকা ফাটার ঘটনাও রয়েছে। বাতিলের পাশাপাশি বিলম্বও করতে অনেক ফ্লাইট। এ নিয়ে বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠার মধ্যেই ‘চাকা চুরির’ অভিযোগ সামনে আসে।