অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলা
অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত আলোচিত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক শাহিন আরা মমতাজ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে ৩ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। প্রসঙ্গত সোয়া ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলায় ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থার উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্টুরেন্ট (খাবার), রেস্টুরেন্ট (মদ), স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট ৩ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওই সময়ে ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন। যার কোন বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি তিনি। এছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালে এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাসাভাড়া বাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগ করা ১ কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগ করা ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তার ও তার স্বামীর নামে জমা করা ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোন বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি দুদকের অনুসন্ধানে। অন্যদিকে র্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এরও কোন বৈধ উৎস মেলেনি দুদকের অনুসন্ধানে। এভাবে মোট ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়, যা আয়ের উৎসের স্বপক্ষে কোন দালিলিক প্রমাণ না পাওয়ায় পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়।
অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলা
সোমবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২০
অবৈধ সম্পদ অর্জন মামলায় যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত আলোচিত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমানকে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (১৪ ডিসেম্বর) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক শাহিন আরা মমতাজ তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে ৩ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। প্রসঙ্গত সোয়া ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মামলায় ৪ আগস্ট দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থার উপপরিচালক শাহীন আরা মমতাজ বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় পাপিয়ার বিরুদ্ধে মোট ৬ কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের অভিযোগ আনা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ওয়েস্টিন হোটেলের ২৫টি রুমে অবস্থান করে রুম-নাইট, রেস্টুরেন্ট (খাবার), রেস্টুরেন্ট (মদ), স্পা, লন্ড্রি, মিনি বার ফুড, মিনি বার বাবদ মোট ৩ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকার বিল ক্যাশে পরিশোধ করেন পাপিয়া। ওই সময়ে ওয়েস্টিন হোটেলে থাকা অবস্থায় প্রায় ৪০ লাখ টাকার শপিং করেন। যার কোন বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি তিনি। এছাড়া ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালে এপ্রিল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাসাভাড়া বাবদ ৩০ লাখ টাকা, গাড়ির ব্যবসায় বিনিয়োগ করা ১ কোটি টাকা এবং নরসিংদীতে কেএমসি কার ওয়াশ সলিউশনে বিনিয়োগ করা ২০ লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকে তার ও তার স্বামীর নামে জমা করা ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকারও কোন বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি দুদকের অনুসন্ধানে। অন্যদিকে র্যাবের অভিযানে তার বাসা থেকে ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের ২২ লাখ টাকার গাড়ি উদ্ধার করা হয়। এরও কোন বৈধ উৎস মেলেনি দুদকের অনুসন্ধানে। এভাবে মোট ছয় কোটি ২৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ পাওয়া যায়, যা আয়ের উৎসের স্বপক্ষে কোন দালিলিক প্রমাণ না পাওয়ায় পাপিয়া এবং তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমনের বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪-এর ২৭(১) ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়।