অংশীদারদের সঙ্গে ব্যবসায়ীক ঝামেলা মীমাংসা করার কথা বলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আবু জাহিরের বিরুদ্ধে। ৩০ নভেম্বর শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ সেগুন রেস্তোরাঁয় এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত বৃটিশ নাগরিক মোহাম্মদ গাজীউর রহমান গাজী।
লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ গাজীউর রহমান গাজী বলেন, হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কদমতলী এলাকায় ২০০৯ সালে তিনি ও তার ভাই সাইদুর রহমান জি-এস (গাজীউর-সাইদুর) ব্রাদার্স সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ব্যবসা শুরু করেন। ওই বছরই যুক্তরাজ্যস্থ তার বন্ধু আবুল কালাল ও সামছুল ইসলাম তাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীক অংশীদার হয়। ২০১৩ সালে তারা সবাই যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে কে বা কারা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের গ্যাস মিটার ভাংচুর করে। ভাংচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অংশীদারদের সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়। বিরোধের বিষয়টি অংশীদাররা এমপি আবু জাহিরকে অবহিত করেন। পরে গত বছরের ৩রা ডিসেম্বর শালিসি বৈঠকে সিন্ধান্ত হয়, কালাম ও সামছুলের লভ্যাংশসহ পুঁজি এমপির মাধ্যমে ফেরত দিবো।
আর তারা তাদের অংশ আমার নামে হস্থান্তর করে দিবে। কিন্তু অংশীদাররা তা না করে আমার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেন। অন্যদিকে এমপি আবু জাহির ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫৫ লাখ টাকার চেক নিয়ে যায়। কিন্তু তিনি (এমপি) অংশীদারদের নামে চেক না নিয়ে তার পিএস, ছেলে-মেয়ে এবং ভাইয়ের নামে চেক লিখিয়ে গাপনে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন। পরে এমপি তার ছেলে-মেয়ে ও ভাইয়ের নামে আরো ৪টি চেক (৬৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৫ টাকার) লিখে দিতে বাধ্য করেন। কিন্তু তার ব্যাংক একাউন্টে এ পরিমাণ টাকা না থাকায় একাউন্টে টাকা জমা রাখতে চাপ দিতে থাকেন এমপি। এতে তিনি ভয়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান।
পরে তিনি দেশে ফিরে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চেক ফিরত চেয়ে আদালতে মামলা করেন। দেশে ফিরে মামলা করতে দেরি হওয়ার সুযোগে এমপি দ্বিতীয় ধাপের চারটি চেক ডিজঅনার করেন। এবং তাকে ও তার পরিবারকে বিপদে ফেলতে হবিগঞ্জ আদালতে স্বজনদের দিয়ে পৃথক তিনটি মামলা করান। দেশে আসার পর এমপির লোকজন তার বাসায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। চলতি মাসের ৪ তারিখে দুটি ফোন নাম্বার থেকে তাকে কল করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনার চারদিন পর তিনি হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ৪৭৯) দায়ের করেন। জীবনের নিরাপত্তা ও এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে প্রমানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন গাজীউর রহমান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আবু জাহির মুঠোফোনে জানান, গাজীউর রহমানের হিসাব মতে, তার অংশীদাররা এক কোটি ২০ লাখ টাকা পাবে। গাজীউর এই টাকা অংশীদারদের না দিয়ে তার (এমপি) মাধ্যমে দিতে রাজি হন। তাই তিনি প্রথম ধাপে ৫০ লাখ টাকার চেক দেন। এমপি হওয়ায় নিজের একাউন্টে এতো টাকা নেয়া রিক্স, তাই তিনি ছেলে-মেয়েসহ অন্যদের একাউন্টে টাকা নেন। এবং গাজীউরের অংশীদারদের এ টাকা প্রদান করলে তারা পুরো টাকা একত্রে নিবে বলে জানায়। তার দাবি, একজন সাংসদ হিসেবে বিষয়টি মীমাংসা করতে গিয়ে তাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় যাচাই-বাছাই করে সংবাদ প্রকাশেরও অনুরোধ করেন তিনি।
শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৯
অংশীদারদের সঙ্গে ব্যবসায়ীক ঝামেলা মীমাংসা করার কথা বলে যুক্তরাজ্য প্রবাসী এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৫৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আবু জাহিরের বিরুদ্ধে। ৩০ নভেম্বর শনিবার দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচাস্থ সেগুন রেস্তোরাঁয় এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত বৃটিশ নাগরিক মোহাম্মদ গাজীউর রহমান গাজী।
লিখিত বক্তব্যে মোহাম্মদ গাজীউর রহমান গাজী বলেন, হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার কদমতলী এলাকায় ২০০৯ সালে তিনি ও তার ভাই সাইদুর রহমান জি-এস (গাজীউর-সাইদুর) ব্রাদার্স সিএনজি ফিলিং স্টেশনের ব্যবসা শুরু করেন। ওই বছরই যুক্তরাজ্যস্থ তার বন্ধু আবুল কালাল ও সামছুল ইসলাম তাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীক অংশীদার হয়। ২০১৩ সালে তারা সবাই যুক্তরাজ্যে অবস্থানকালে কে বা কারা সিএনজি ফিলিং স্টেশনের গ্যাস মিটার ভাংচুর করে। ভাংচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অংশীদারদের সঙ্গে তার বিরোধ দেখা দেয়। বিরোধের বিষয়টি অংশীদাররা এমপি আবু জাহিরকে অবহিত করেন। পরে গত বছরের ৩রা ডিসেম্বর শালিসি বৈঠকে সিন্ধান্ত হয়, কালাম ও সামছুলের লভ্যাংশসহ পুঁজি এমপির মাধ্যমে ফেরত দিবো।
আর তারা তাদের অংশ আমার নামে হস্থান্তর করে দিবে। কিন্তু অংশীদাররা তা না করে আমার বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন জায়গায় অভিযোগ করেন। অন্যদিকে এমপি আবু জাহির ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫৫ লাখ টাকার চেক নিয়ে যায়। কিন্তু তিনি (এমপি) অংশীদারদের নামে চেক না নিয়ে তার পিএস, ছেলে-মেয়ে এবং ভাইয়ের নামে চেক লিখিয়ে গাপনে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেন। পরে এমপি তার ছেলে-মেয়ে ও ভাইয়ের নামে আরো ৪টি চেক (৬৯ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৫ টাকার) লিখে দিতে বাধ্য করেন। কিন্তু তার ব্যাংক একাউন্টে এ পরিমাণ টাকা না থাকায় একাউন্টে টাকা জমা রাখতে চাপ দিতে থাকেন এমপি। এতে তিনি ভয়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান।
পরে তিনি দেশে ফিরে প্রথম ও দ্বিতীয় ধাপের চেক ফিরত চেয়ে আদালতে মামলা করেন। দেশে ফিরে মামলা করতে দেরি হওয়ার সুযোগে এমপি দ্বিতীয় ধাপের চারটি চেক ডিজঅনার করেন। এবং তাকে ও তার পরিবারকে বিপদে ফেলতে হবিগঞ্জ আদালতে স্বজনদের দিয়ে পৃথক তিনটি মামলা করান। দেশে আসার পর এমপির লোকজন তার বাসায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। চলতি মাসের ৪ তারিখে দুটি ফোন নাম্বার থেকে তাকে কল করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনার চারদিন পর তিনি হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি নং ৪৭৯) দায়ের করেন। জীবনের নিরাপত্তা ও এসব বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে প্রমানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন গাজীউর রহমান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি আবু জাহির মুঠোফোনে জানান, গাজীউর রহমানের হিসাব মতে, তার অংশীদাররা এক কোটি ২০ লাখ টাকা পাবে। গাজীউর এই টাকা অংশীদারদের না দিয়ে তার (এমপি) মাধ্যমে দিতে রাজি হন। তাই তিনি প্রথম ধাপে ৫০ লাখ টাকার চেক দেন। এমপি হওয়ায় নিজের একাউন্টে এতো টাকা নেয়া রিক্স, তাই তিনি ছেলে-মেয়েসহ অন্যদের একাউন্টে টাকা নেন। এবং গাজীউরের অংশীদারদের এ টাকা প্রদান করলে তারা পুরো টাকা একত্রে নিবে বলে জানায়। তার দাবি, একজন সাংসদ হিসেবে বিষয়টি মীমাংসা করতে গিয়ে তাকে দোষারোপ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় যাচাই-বাছাই করে সংবাদ প্রকাশেরও অনুরোধ করেন তিনি।