alt

মাদ্রাসায় শিশু শিক্ষার্থী নির্যাতন প্রসঙ্গে

: বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ ২০২১

মাদ্রাসাপড়ুয়া আট বছর বয়সী শিশু সন্তানের জন্মদিনে মা গিয়েছিলেন দেখা করতে। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মায়ের পিছু নেয় শিশুটি। তখন শিক্ষক মাওলানা ইয়াহিয়া শিশুটিকে ঘাড় ধরে মাদ্রাসায় ফিরিয়ে নেয়, বেত দিয়ে বেদম পেটায়।

গত সোমবার হাটহাজারী উপজেলার সদরে আল মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমি মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়লে এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। উপজেলা প্রশাসন শিশুটিকে মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করে। শিশুটির অভিভাবক শুরুতে এ নিয়ে অভিযোগ করতে রাজি না হলেও পরে মামলা করেছে। শিশু শিক্ষার্থীকে পেটানো শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

২০১০ সালের আগস্টে সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি দেয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা প্রায়ই মানা হয় না। দেশের মাদ্রাসাগুলোয় প্রায়ই শিশু নিপীড়ন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরেও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও অনেক শিক্ষার্থী শারীরিক ও মানসিক শাস্তির শিকার হচ্ছে। নির্যাতনের অনেক ঘটনাই থেকে যায় লোকচক্ষুর আড়ালে। হাটহাজারীর উক্ত মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতনের ভিডিও চিত্র না থাকলে হয়তো এ ঘটনাও মানুষ জানতে পারত না।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের নির্যাতনের অবসান ঘটাতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি নির্দেশনা মানছে কিনা সেটা কঠোরভাবে মনিটর করতে হবে। যারা নির্দেশনা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী নির্যাতনের পেছনে এক শ্রেণীর অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গির দায় রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। কোন কোন অভিভাবক মনে করেন, শিশুকে না মারলে মানুষ হবে না বা শিক্ষকরা শিক্ষার্থীকে একটু মারধর করবেনই। তাদের এমন ভ্রান্ত মনোভাবের কারণে শিক্ষার্থী পেটানোকে এক শ্রেণীর শিক্ষক নিজেদের অধিকার হিসেবে বিবেচনা করেন। হাটহাজারীতে নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা-বাবা উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগই করতে চাননি। এমনকি শিক্ষকের মুক্তি চেয়ে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদনও করেছিলেন। শিক্ষার্থী নির্যাতন বন্ধ করতে হলে পরিবার ও সমাজের মনোভাব বদলাতে হবে।

ছবি

৯৩ বছরে দেশের সমবায় সমিতির অনন্য মডেল প্রতিষ্ঠানে পরিনত

ছবি

রংপুরে ‘পদ্মরাগ কমিউটার’ ট্রেনের ছয় বগি লাইনচ্যুত, ট্রেন চলাচল বন্ধ

ছবি

ইমামকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ইউপি সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি

ডিমলায় অবৈধ পেট্রোল পাম্পকে জরিমানা, বন্ধের নির্দেশ

ছবি

টাঙ্গাইলে শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় ফুটে উঠছে দেবীর মুর্তি

ছবি

বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রশিক্ষণ

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় ইলিশের দামে সাধারণ ক্রেতা দিশেহারা

ছবি

সাপাহারে তরুণ উদ্যোক্তা সোহেল রানার আমচাষে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ

ছবি

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী জাহাঙ্গীর মাঝি গ্রেপ্তার

ছবি

ফরিদগঞ্জে মাদকসেবী যুবদল নেতা দণ্ডিত

ইয়াবাসহ জামাই-শাশুড়ি আটক

ছবি

ডুমুরিয়ায় শামুক নিধন, হুমকিতে পরিবেশ

ছবি

আ’লীগের ঝটিকা মিছিল, আটক ৩

ছবি

নাসিরনগরে ২০০ বস্তা সরকারি চাল জব্দ

ছবি

অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় জরিমানা

ছবি

ভবানীপুর স্কুলে প্রধান শিক্ষকসহ সহকারী শিক্ষক লাঞ্ছিত

ছবি

কেশবপুরে আদালতে বিপক্ষে সাক্ষী দেয়ায় পোল্ট্রি খামার ভাঙচুর

ছবি

পিবিআই’র হাজতখানা থেকে আসামীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

ছবি

শেরপুরে ৯১টি মন্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি

ছবি

একসঙ্গে ৪ শিশুর জন্ম চমেক হাসপাতালে, মা-শিশু সবাই সুস্থ

ছবি

বেগুন খেতে মোজাইক ভাইরাস, দুশ্চিন্তায় কৃষক

ছবি

আসন পুনর্বিন্যাস: ভাঙ্গায় অবরোধ তুলে নিলেন আন্দোলনকারীরা, যান চলাচল স্বাভাবিক

ছবি

আসন ফিরে পেতে বাগেরহাটে নির্বাচন অফিস ঘেরাও, উচ্চ আদালতে রিট

ছবি

মোরেলগঞ্জে থোকায় থোকায় ঝুলছে মাল্টা, সফল উদ্যোক্তা বাশার

ছবি

আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৪২৮ জন

ছবি

বড় ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে সিলেট, শঙ্কা প্রাণহানিসহ ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির

ছবি

নারায়ণগঞ্জে ফ্ল্যাট বাসা থেকে একই পরিবারের তিনজনের লাশ উদ্ধার

মাধবপুরে পাগলা কুকুরের কামড়ে আহত ৬, আতঙ্কে এলাকাবাসী

নাইক্ষ্যংছড়িতে রাবার বাগানের গাছ থেকে শ্রমিকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

বাড়ছে নদীর পানি, সিলেটে বন্যার আভাস

সোনারগাঁয়ে মাদ্রাসা শিক্ষকের শরীর টিপে না দেয়ায় ছাত্রকে আটক রেখে নির্যাতন

ফ্যানে ঝুলছিলেন যুবক, খাটে স্ত্রী-সন্তানের মরদেহ, আর্থিক দুরাবস্থায় ছিল পরিবারটি

ছবি

বিরামপুরে কুকুরে কামড়ানো সগাভীর মাংস বিক্রির চেষ্টা

ছবি

রায়পুরায় ভিডব্লিউবি উপকার ভোগীদের মাঝে চাল বিতরণ

ছবি

গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর নতুন ঘর পেলেন মোজাম্মেল-জহুরা দম্পতি

ছবি

আদমদীঘিতে তিন মাদক ব্যবসায়ি আটক

tab

মাদ্রাসায় শিশু শিক্ষার্থী নির্যাতন প্রসঙ্গে

বৃহস্পতিবার, ১১ মার্চ ২০২১

মাদ্রাসাপড়ুয়া আট বছর বয়সী শিশু সন্তানের জন্মদিনে মা গিয়েছিলেন দেখা করতে। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথে মায়ের পিছু নেয় শিশুটি। তখন শিক্ষক মাওলানা ইয়াহিয়া শিশুটিকে ঘাড় ধরে মাদ্রাসায় ফিরিয়ে নেয়, বেত দিয়ে বেদম পেটায়।

গত সোমবার হাটহাজারী উপজেলার সদরে আল মারকাযুল কোরআন ইসলামিক একাডেমি মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়লে এ নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। উপজেলা প্রশাসন শিশুটিকে মাদ্রাসা থেকে উদ্ধার করে। শিশুটির অভিভাবক শুরুতে এ নিয়ে অভিযোগ করতে রাজি না হলেও পরে মামলা করেছে। শিশু শিক্ষার্থীকে পেটানো শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

২০১০ সালের আগস্টে সরকারি-বেসরকারি স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের শারীরিক শাস্তি দেয়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকার। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞা প্রায়ই মানা হয় না। দেশের মাদ্রাসাগুলোয় প্রায়ই শিশু নিপীড়ন করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বাইরেও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও অনেক শিক্ষার্থী শারীরিক ও মানসিক শাস্তির শিকার হচ্ছে। নির্যাতনের অনেক ঘটনাই থেকে যায় লোকচক্ষুর আড়ালে। হাটহাজারীর উক্ত মাদ্রাসায় শিশু নির্যাতনের ভিডিও চিত্র না থাকলে হয়তো এ ঘটনাও মানুষ জানতে পারত না।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে সব ধরনের নির্যাতনের অবসান ঘটাতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সরকারি নির্দেশনা মানছে কিনা সেটা কঠোরভাবে মনিটর করতে হবে। যারা নির্দেশনা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করা জরুরি।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী নির্যাতনের পেছনে এক শ্রেণীর অভিভাবকদের দৃষ্টিভঙ্গির দায় রয়েছে কিনা সেই প্রশ্ন উঠেছে। কোন কোন অভিভাবক মনে করেন, শিশুকে না মারলে মানুষ হবে না বা শিক্ষকরা শিক্ষার্থীকে একটু মারধর করবেনই। তাদের এমন ভ্রান্ত মনোভাবের কারণে শিক্ষার্থী পেটানোকে এক শ্রেণীর শিক্ষক নিজেদের অধিকার হিসেবে বিবেচনা করেন। হাটহাজারীতে নির্যাতনের শিকার শিশুটির মা-বাবা উক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগই করতে চাননি। এমনকি শিক্ষকের মুক্তি চেয়ে তারা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত আবেদনও করেছিলেন। শিক্ষার্থী নির্যাতন বন্ধ করতে হলে পরিবার ও সমাজের মনোভাব বদলাতে হবে।

back to top