সারাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্তে পরীক্ষার পর রিপোর্ট (মেসেজ) পেতে অনেক দেরি হচ্ছে। এতে রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে। আরটি পিসিআর মেশিন স্বল্পতা ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টের অভাবে এ অবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে। জেলা পর্যায়ে অনেক জেলায় ভাইরোলজিস্ট ও বিশেষজ্ঞ জনবলের অভাবে গত এক বছরেও পিসিআর মেশিন স্থাপন করা হয়নি। রোগী, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
নরসিংদী জেলার একজন করোনা রোগী সংবাদকে জানান, গত ১ এপ্রিল তিনি করোনা পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন। গত ৫ এপ্রিল তার টেস্ট ফলাফল নেগেটিভ বলে মেসেজ পেয়েছেন। তার মতো অনেকেই দেরিতে রিপোর্ট পেয়েছেন বলে জানান। খোদ রাজধানীতে এখন চার থেকে পাঁচদিন পর রিপোর্ট (মেসেজ) পাচ্ছে। করোনা টেস্ট করতে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ থেকে ৪ দিন ঘুরেছেন বরিশালের কলেজ ছাত্র মো. আশিক। এমন বহু অভিযোগ রয়েছে। টেস্ট রিপোর্ট পেতে দেরির কারণে আক্রান্ত রোগীরা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। চিকিৎসা নিতেও বিলম্ব হচ্ছে।
কয়েকজন সিনিয়র মেডিকেল টেকনোলজিস্ট জানান, দেশজুড়ে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। টেস্টের জন্য বহু রোগী প্রতিদিন প্রতিটি হাসপাতালে নমুনা দেয়। এ সংখ্যা আগের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। রোগীর সংখ্যা হঠাৎ যেভাবে বাড়ছে সেভাবে মেশিন বা জনবল বাড়েনি। বরং পিসআর মেশিন অনেক স্থানে অতিরিক্ত চালানোর কারণে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। খোদ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতার ভবনে দুইটি পিসআর মেশিনের মধ্যে একটি গত দুই দিন ধরে নষ্ট।
বিশেষজ্ঞ টেকনোলজিস্ট বলেন, একটি পিসিআর মেশিনে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টায় ৯৪ থেকে ৯৬টি নমুনা টেস্ট করা যায়। এ হিসাবে ৫শ’ থেকে ৬শ’ নমুনা একটি মেশিনে টেস্ট করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আবার অনেক সময় অনভিজ্ঞ টেকনোলজিস্ট থাকার কারণে টেস্টে দেরি হচ্ছে। ফলে প্রতিনি বহু টেস্ট জমে যায়। সিরিয়াল অনুযায়ী এব টেস্ট করতে ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগতে পারে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা মো. আলমাস আলি খান মুঠোফোনে সংবাদকে বলেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অভাব ও পিসিআল মেশিন স্বল্পতা, টেস্ট রিপোর্ট তৈরির সময় নানা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জটিলতা তৈরি হয়। দেশে যে পরিমাণ ডাক্তার আছে সেই অনুপাতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নেই। তার মতে, দেশের বিভাগীয় শহর ও জেলা পর্যায়ে হাসপাতাল মেডিকেল কলেজগুলোতে কমপক্ষে ২০ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দরকার। বর্তমানে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আছে ৫ হাজার।
অন্যদিকে বেকার অ্যান্ড প্রাইভেট সার্ভিসের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, দেশে এখনও ২০ হাজারেরও বেশি বেকার মেডিকেল টেকনোলিজস্ট রয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে গত ১২ ডিসেম্বর ৮৮৯ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এখনও তাদের চূড়ান্ত নিয়োগ ঝুলে আছে। একজন ডাক্তারের বিপরীতে ৫ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দরকার।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার দেয়া তথ্য মতে, করোনাভাইরাস পরীক্ষার আরটি-পিসিআরে সরকারি পরীক্ষাগার ৫২টি। বেসরকারি ৩৯টি। জিন এক্সপার্ট সরকারি পরীক্ষাগার ৩২টি ও বেসরকারি ২টি। অ্যান্টিজেন সরকারি পরীক্ষাগার ৮২টি।
মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, দেশে এন্টিজেন্ট টেস্ট দ্রুত করানো যায়। এটার সংকট নেই। আধা ঘণ্টায় ফলাফল পাওয়া যায়। পিসিআর মেশিনের জন্য ল্যাব লাগে। এ সংখ্যা আরও বাড়ালে ভালো হয়। তিনি টেকনোলজিস্টের সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, টেকনোলজিস্ট আরও বাড়নো দরকার। তাহলে টেস্ট দ্রুত করা সম্ভব হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও ৩টি পিসিআর মেশিনের জন্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। বর্তমানে বেতার ভবনে দুইটি পিসিআর মেশিনের মধ্যে একটি সাময়িকভাবে নষ্ট। রোগীদের যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য বিকল্প ব্যবস্থায় টেস্ট করা হচ্ছে। রোগীদের সুবিধার্থে ১শ‘ বেড, ১০টি আইসিইউ ও ১০টি কেবিন বাড়ানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউ বিশেষজ্ঞ ও ডিন প্রফেসর ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সেজন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ হাজার রোগীর নমুনা টেস্ট করা দরকার খরচ কম হওয়ায় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেলসহ অন্যান্য সরকারি টেস্ট কেন্দ্রে ভিড় করছে রোগীরা।
লক্ষ্মীপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর জেলা হাসপাতালে পিসিআর মেশিন নেই। টেকনোলজিস্ট নেই। ভাইরোলজিস্ট নেই। যেখানে মেডিকেল কলেজ নেই সেখানে ভাইরোলজিস্ট নেই। অনেক জেলার উপজেলাগুলোতে নমুনা কালেকশন করা হলেও টেস্ট করতে অন্য জায়গায় (নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হয়। এজন্য টেস্ট রিপোর্ট পেতে দেরি হয়। জেলার প্রতিটি উপজেলায় জিন এক্সপার্ট মেশিন থাকলেও কোভিড পরীক্ষার কাটিজ না থাকায় সেটাও সম্ভব হচ্ছে।
মঙ্গলবার, ০৬ এপ্রিল ২০২১
সারাদেশে করোনাভাইরাস শনাক্তে পরীক্ষার পর রিপোর্ট (মেসেজ) পেতে অনেক দেরি হচ্ছে। এতে রোগীদের ভোগান্তি বাড়ছে। আরটি পিসিআর মেশিন স্বল্পতা ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টের অভাবে এ অবস্থায় সৃষ্টি হয়েছে। জেলা পর্যায়ে অনেক জেলায় ভাইরোলজিস্ট ও বিশেষজ্ঞ জনবলের অভাবে গত এক বছরেও পিসিআর মেশিন স্থাপন করা হয়নি। রোগী, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
নরসিংদী জেলার একজন করোনা রোগী সংবাদকে জানান, গত ১ এপ্রিল তিনি করোনা পরীক্ষার নমুনা দিয়েছেন। গত ৫ এপ্রিল তার টেস্ট ফলাফল নেগেটিভ বলে মেসেজ পেয়েছেন। তার মতো অনেকেই দেরিতে রিপোর্ট পেয়েছেন বলে জানান। খোদ রাজধানীতে এখন চার থেকে পাঁচদিন পর রিপোর্ট (মেসেজ) পাচ্ছে। করোনা টেস্ট করতে মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে ৩ থেকে ৪ দিন ঘুরেছেন বরিশালের কলেজ ছাত্র মো. আশিক। এমন বহু অভিযোগ রয়েছে। টেস্ট রিপোর্ট পেতে দেরির কারণে আক্রান্ত রোগীরা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। চিকিৎসা নিতেও বিলম্ব হচ্ছে।
কয়েকজন সিনিয়র মেডিকেল টেকনোলজিস্ট জানান, দেশজুড়ে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। টেস্টের জন্য বহু রোগী প্রতিদিন প্রতিটি হাসপাতালে নমুনা দেয়। এ সংখ্যা আগের চেয়ে দ্বিগুণ হয়েছে। রোগীর সংখ্যা হঠাৎ যেভাবে বাড়ছে সেভাবে মেশিন বা জনবল বাড়েনি। বরং পিসআর মেশিন অনেক স্থানে অতিরিক্ত চালানোর কারণে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। খোদ বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতার ভবনে দুইটি পিসআর মেশিনের মধ্যে একটি গত দুই দিন ধরে নষ্ট।
বিশেষজ্ঞ টেকনোলজিস্ট বলেন, একটি পিসিআর মেশিনে ৩ থেকে সাড়ে ৩ ঘণ্টায় ৯৪ থেকে ৯৬টি নমুনা টেস্ট করা যায়। এ হিসাবে ৫শ’ থেকে ৬শ’ নমুনা একটি মেশিনে টেস্ট করা কঠিন হয়ে পড়েছে। আবার অনেক সময় অনভিজ্ঞ টেকনোলজিস্ট থাকার কারণে টেস্টে দেরি হচ্ছে। ফলে প্রতিনি বহু টেস্ট জমে যায়। সিরিয়াল অনুযায়ী এব টেস্ট করতে ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগতে পারে।
মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের নেতা মো. আলমাস আলি খান মুঠোফোনে সংবাদকে বলেন, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অভাব ও পিসিআল মেশিন স্বল্পতা, টেস্ট রিপোর্ট তৈরির সময় নানা যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জটিলতা তৈরি হয়। দেশে যে পরিমাণ ডাক্তার আছে সেই অনুপাতে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নেই। তার মতে, দেশের বিভাগীয় শহর ও জেলা পর্যায়ে হাসপাতাল মেডিকেল কলেজগুলোতে কমপক্ষে ২০ হাজার মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দরকার। বর্তমানে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আছে ৫ হাজার।
অন্যদিকে বেকার অ্যান্ড প্রাইভেট সার্ভিসের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, দেশে এখনও ২০ হাজারেরও বেশি বেকার মেডিকেল টেকনোলিজস্ট রয়েছে। সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশে গত ১২ ডিসেম্বর ৮৮৯ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এরপর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মৌখিক পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। এখনও তাদের চূড়ান্ত নিয়োগ ঝুলে আছে। একজন ডাক্তারের বিপরীতে ৫ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট দরকার।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরার দেয়া তথ্য মতে, করোনাভাইরাস পরীক্ষার আরটি-পিসিআরে সরকারি পরীক্ষাগার ৫২টি। বেসরকারি ৩৯টি। জিন এক্সপার্ট সরকারি পরীক্ষাগার ৩২টি ও বেসরকারি ২টি। অ্যান্টিজেন সরকারি পরীক্ষাগার ৮২টি।
মহাখালী রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন বলেন, দেশে এন্টিজেন্ট টেস্ট দ্রুত করানো যায়। এটার সংকট নেই। আধা ঘণ্টায় ফলাফল পাওয়া যায়। পিসিআর মেশিনের জন্য ল্যাব লাগে। এ সংখ্যা আরও বাড়ালে ভালো হয়। তিনি টেকনোলজিস্টের সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, টেকনোলজিস্ট আরও বাড়নো দরকার। তাহলে টেস্ট দ্রুত করা সম্ভব হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও ৩টি পিসিআর মেশিনের জন্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। বর্তমানে বেতার ভবনে দুইটি পিসিআর মেশিনের মধ্যে একটি সাময়িকভাবে নষ্ট। রোগীদের যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য বিকল্প ব্যবস্থায় টেস্ট করা হচ্ছে। রোগীদের সুবিধার্থে ১শ‘ বেড, ১০টি আইসিইউ ও ১০টি কেবিন বাড়ানো হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিইউ বিশেষজ্ঞ ও ডিন প্রফেসর ডা. দেবব্রত বনিক বলেন, প্রতিদিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। সেজন্য প্রতিদিন কমপক্ষে ৫০ থেকে ৬০ হাজার রোগীর নমুনা টেস্ট করা দরকার খরচ কম হওয়ায় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বঙ্গবন্ধু মেডিকেলসহ অন্যান্য সরকারি টেস্ট কেন্দ্রে ভিড় করছে রোগীরা।
লক্ষ্মীপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর জেলা হাসপাতালে পিসিআর মেশিন নেই। টেকনোলজিস্ট নেই। ভাইরোলজিস্ট নেই। যেখানে মেডিকেল কলেজ নেই সেখানে ভাইরোলজিস্ট নেই। অনেক জেলার উপজেলাগুলোতে নমুনা কালেকশন করা হলেও টেস্ট করতে অন্য জায়গায় (নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাতে হয়। এজন্য টেস্ট রিপোর্ট পেতে দেরি হয়। জেলার প্রতিটি উপজেলায় জিন এক্সপার্ট মেশিন থাকলেও কোভিড পরীক্ষার কাটিজ না থাকায় সেটাও সম্ভব হচ্ছে।