একদিকে অনাবৃষ্টি আরেকদিকে শিল্প প্রতিষ্ঠানে ভুগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করায় টিউবওয়েলে উঠছে না পানি। দুই সমস্যায় দুর্ভোগে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলার লাখো মানুষ। এই অঞ্চলে প্রতিবছর নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। ফলে খাবার পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করতে হচ্ছে ছড়া, খাল ও পুকুরের পানি দিয়ে।
উপজেলার বারৈয়ারঢালা, পন্থিছিলা, পৌরসদর, বাড়বকুন্ড, মুরাদপুর, বাশঁবাড়িয়া, কুমিরা, সোনাইছড়ী, ভাটিয়ারী, টোবাকো গেইট, সলিমপুর, ফৌজদারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় টিউবওয়েলে পানি উঠছেনা। জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের জন্য বিখ্যাত এই উপজেলা। আর এই শিল্পকে কেন্দ্র করে দেশের শীর্ষ স্থানীয় বেশ কয়েটি ইস্পাত কারখানা এই উপজেলায় গড়ে উঠেছে।
এছাড়া শিল্পাঞ্চল খ্যাত এই উপজেলায় প্রায় দুই শতাধিক শিল্প কারখানা রয়েছে। এসকল ইস্পাত কারখানায় প্রতিদিন পানির প্রয়োজন হয় ৫০ থেকে ৬০ লাখ লিটার।
পানি সংকটে উৎপাদন ব্যহৃত হচ্ছে। পানির অভাবে এই খরা মৌসূমে অনেক ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ব্যহৃত হচ্ছে ফসল উৎপাদন। পানির সমস্যা শুধু কৃষক বা সাধারণ মানুষ ভোগ করছে তা কিন্তু নয়। এই আঘাত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকেও পোহাতে হচ্ছে। অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান মাটির এক হাজার তিনশত ফুট গভীরে গিয়েও পানি পাচ্ছেনা। যার ফলে উৎপাদনে যেতে পারছে না।
বাড়বকুন্ড এলাকার বাসিন্দা নাছির আহম্মদ বলেন, আগে মোটর চললে আধা ঘন্টার মধ্যে ওয়াটার ট্যাংক ভরে যেত। এখন ৬-৮ ঘন্টা লাগছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জানান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আল আমীন বলেন, পানির একোয়াফারগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া, জলবায়ুর পরিবর্তন, পাহাড় থেকে নেমে আসা জিরি গুলো বন্ধ হওয়া, নির্বিচারে বৃক্ষ কর্তন, শিল্প কারখানাগুলো নির্দিষ্ট একটি জায়গা থেকে পানি উত্তোলনের ফলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সুপেয় পানির নির্ভরশীলতা কমিয়ে সাগরের পানি প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে ব্যবহারে উদ্যোগ গ্রহন করলে এই সমস্যা কেটে যাবে।
সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, উপজেলা জুড়ে ছোট-বড় দুই শতাধিক শিল্প কারখানা রয়েছে। প্রতিষ্ঠান মালিকরা বড় বড় পাইফের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করছে। যার ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা যদি ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার না করে উপরিভাগের পানি ব্যবহার করে এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পানি সরবরাহ করা গেলে এই সমস্যা কেটে যাবে।
রোববার, ০৯ মে ২০২১
একদিকে অনাবৃষ্টি আরেকদিকে শিল্প প্রতিষ্ঠানে ভুগর্ভস্থ পানি ব্যবহার করায় টিউবওয়েলে উঠছে না পানি। দুই সমস্যায় দুর্ভোগে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুন্ড উপজেলার লাখো মানুষ। এই অঞ্চলে প্রতিবছর নামছে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর। ফলে খাবার পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজ করতে হচ্ছে ছড়া, খাল ও পুকুরের পানি দিয়ে।
উপজেলার বারৈয়ারঢালা, পন্থিছিলা, পৌরসদর, বাড়বকুন্ড, মুরাদপুর, বাশঁবাড়িয়া, কুমিরা, সোনাইছড়ী, ভাটিয়ারী, টোবাকো গেইট, সলিমপুর, ফৌজদারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় টিউবওয়েলে পানি উঠছেনা। জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পের জন্য বিখ্যাত এই উপজেলা। আর এই শিল্পকে কেন্দ্র করে দেশের শীর্ষ স্থানীয় বেশ কয়েটি ইস্পাত কারখানা এই উপজেলায় গড়ে উঠেছে।
এছাড়া শিল্পাঞ্চল খ্যাত এই উপজেলায় প্রায় দুই শতাধিক শিল্প কারখানা রয়েছে। এসকল ইস্পাত কারখানায় প্রতিদিন পানির প্রয়োজন হয় ৫০ থেকে ৬০ লাখ লিটার।
পানি সংকটে উৎপাদন ব্যহৃত হচ্ছে। পানির অভাবে এই খরা মৌসূমে অনেক ফসলের মাঠ ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। ব্যহৃত হচ্ছে ফসল উৎপাদন। পানির সমস্যা শুধু কৃষক বা সাধারণ মানুষ ভোগ করছে তা কিন্তু নয়। এই আঘাত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোকেও পোহাতে হচ্ছে। অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠান মাটির এক হাজার তিনশত ফুট গভীরে গিয়েও পানি পাচ্ছেনা। যার ফলে উৎপাদনে যেতে পারছে না।
বাড়বকুন্ড এলাকার বাসিন্দা নাছির আহম্মদ বলেন, আগে মোটর চললে আধা ঘন্টার মধ্যে ওয়াটার ট্যাংক ভরে যেত। এখন ৬-৮ ঘন্টা লাগছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করায় এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি জানান।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বনবিদ্যা ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রফেসর ড. মো. আল আমীন বলেন, পানির একোয়াফারগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়া, জলবায়ুর পরিবর্তন, পাহাড় থেকে নেমে আসা জিরি গুলো বন্ধ হওয়া, নির্বিচারে বৃক্ষ কর্তন, শিল্প কারখানাগুলো নির্দিষ্ট একটি জায়গা থেকে পানি উত্তোলনের ফলে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সুপেয় পানির নির্ভরশীলতা কমিয়ে সাগরের পানি প্রক্রিয়াজাতের মাধ্যমে ব্যবহারে উদ্যোগ গ্রহন করলে এই সমস্যা কেটে যাবে।
সীতাকুন্ড উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিল্টন রায় বলেন, উপজেলা জুড়ে ছোট-বড় দুই শতাধিক শিল্প কারখানা রয়েছে। প্রতিষ্ঠান মালিকরা বড় বড় পাইফের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করছে। যার ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিকরা যদি ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার না করে উপরিভাগের পানি ব্যবহার করে এবং স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পানি সরবরাহ করা গেলে এই সমস্যা কেটে যাবে।