হেফাজতে ইসলামের গত ২৬ ও ২৮ মার্চ দেশব্যাপী ডাকা বিক্ষোভ ও হরতালে কিশোরগঞ্জে তাণ্ডবে অংশ নেওয়ার অভিযোগে এক হেফাজত নেতাকে মসজিদের ইমামতি ছাড়তে বলে দিয়েছে মসজিদ কমিটি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে ২৬ এবং ২৮ মার্চ বিক্ষোভ ও হরতাল ডেকে দেশব্যাপী হেফাজত ও জামাত-বিএনপির তাণ্ডবের সময় কিশোরগঞ্জেও তাণ্ডব হয়েছে। এখানে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, দোকানপাটে হামলা, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কর্মিদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাকর্মিসহ অনেকে আহত হয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে দু’টি আর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দু’টি মামলা হয়েছে। পুলিশ অনেককে গ্রেফতার করে কারাগারেও পাঠিয়েছে।
এসব কর্মসূচীতে সদর উপজেলার গাগলাইল জামে মসজিদের খতিব নেত্রকোনার কেন্দুয়া এলাকার বাসিন্দা মুফতি হাবিব উল্লাহ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে গাগলাইল এলাকা থেকেও বেশ কিছু হেফাজত কর্মি জেলা শহরে এসে তাণ্ডবে অংশ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, খতিব হাবিব উল্লাহ তার ফেসবুকে মামুনুল হকের ঘোড়ছওয়ার অবস্থায় ছবি দিয়ে তিনিও কারাগারে যাবেন এবং মামুনুলের খেদমত করবেন লিখেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোড়ন হলে ফেসবুক থেকে সেটি মুছে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে। হাবিব উল্লাহ ওই এলাকায় অনুসারীদের নিয়ে গভীর রাতে গোপন মিটিং করেন বলেও জানা গেছে। এসব ঘটনা জানার পর ঈদের পরদিন মসজিদ কমিটির সভাপতি স্থানীয় দানাপাটুলি ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন দুলালের নেতৃত্বে মসজিদ কমিটির সভা হয়েছে। সেখানে সার্বিক অভিযোগ খতিয়ে দেখে হাবিব উল্লাহকে এলাকা ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন দুলালকে প্রশ্ন করলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানান, কমিটির সবাই জিজ্ঞাবাদ করলে হাবিব উল্লাহ এক পর্যায়ে অভিযোগ স্বীকার করেছেন। হাবিব উল্লাহ এখানে প্রায় ৯ বছর ধরে ইমামতি করছেন। এর আগেও কয়েকবার নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে নিয়ে কমিটি কথা বলেছে বলে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। বরাবরই তিনি আর এসব করবেন না বলে কথা দেন। কিন্তু কথা খেলাপ করেন। ফলে কমিটির সদস্যরা এবার তাকে চলে যেতে বলেছেন। তবে এবার হাবিব উল্লাহ নিজ থেকেই চলে যাবেন বলে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ইমাম হাবিব উল্লাহর প্রতিক্রিয়া জানার জন্য তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
মঙ্গলবার, ১৮ মে ২০২১
হেফাজতে ইসলামের গত ২৬ ও ২৮ মার্চ দেশব্যাপী ডাকা বিক্ষোভ ও হরতালে কিশোরগঞ্জে তাণ্ডবে অংশ নেওয়ার অভিযোগে এক হেফাজত নেতাকে মসজিদের ইমামতি ছাড়তে বলে দিয়েছে মসজিদ কমিটি। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে ২৬ এবং ২৮ মার্চ বিক্ষোভ ও হরতাল ডেকে দেশব্যাপী হেফাজত ও জামাত-বিএনপির তাণ্ডবের সময় কিশোরগঞ্জেও তাণ্ডব হয়েছে। এখানে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, দোকানপাটে হামলা, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কর্মিদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাকর্মিসহ অনেকে আহত হয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে পুলিশের পক্ষ থেকে দু’টি আর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে দু’টি মামলা হয়েছে। পুলিশ অনেককে গ্রেফতার করে কারাগারেও পাঠিয়েছে।
এসব কর্মসূচীতে সদর উপজেলার গাগলাইল জামে মসজিদের খতিব নেত্রকোনার কেন্দুয়া এলাকার বাসিন্দা মুফতি হাবিব উল্লাহ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে গাগলাইল এলাকা থেকেও বেশ কিছু হেফাজত কর্মি জেলা শহরে এসে তাণ্ডবে অংশ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, খতিব হাবিব উল্লাহ তার ফেসবুকে মামুনুল হকের ঘোড়ছওয়ার অবস্থায় ছবি দিয়ে তিনিও কারাগারে যাবেন এবং মামুনুলের খেদমত করবেন লিখেছিলেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোড়ন হলে ফেসবুক থেকে সেটি মুছে ফেলা হয়েছে বলে জানা গেছে। হাবিব উল্লাহ ওই এলাকায় অনুসারীদের নিয়ে গভীর রাতে গোপন মিটিং করেন বলেও জানা গেছে। এসব ঘটনা জানার পর ঈদের পরদিন মসজিদ কমিটির সভাপতি স্থানীয় দানাপাটুলি ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন দুলালের নেতৃত্বে মসজিদ কমিটির সভা হয়েছে। সেখানে সার্বিক অভিযোগ খতিয়ে দেখে হাবিব উল্লাহকে এলাকা ত্যাগ করতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন দুলালকে প্রশ্ন করলে তিনি এ প্রতিনিধিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন এবং জানান, কমিটির সবাই জিজ্ঞাবাদ করলে হাবিব উল্লাহ এক পর্যায়ে অভিযোগ স্বীকার করেছেন। হাবিব উল্লাহ এখানে প্রায় ৯ বছর ধরে ইমামতি করছেন। এর আগেও কয়েকবার নানা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাকে নিয়ে কমিটি কথা বলেছে বলে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। বরাবরই তিনি আর এসব করবেন না বলে কথা দেন। কিন্তু কথা খেলাপ করেন। ফলে কমিটির সদস্যরা এবার তাকে চলে যেতে বলেছেন। তবে এবার হাবিব উল্লাহ নিজ থেকেই চলে যাবেন বলে চেয়ারম্যান জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে ইমাম হাবিব উল্লাহর প্রতিক্রিয়া জানার জন্য তার মোবাইলে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।