ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারচর এলাকায় পদ্মানদীর ভাঙ্গণে কয়েকটি পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভিটে ছাড়া হয়েছেন সাতটি পরিবার। কারও প্রথমবার বাড়ি ভাঙ্গনের কবলে আবার, কারও বাড়ি একাধিকবার ভাঙ্গণের কবলে। এর আগে গত ৫ বছরে ভাঙ্গণের কবলে পড়ে বসত ভিটা ও ফসলি জমি হারিয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার।
কুশিয়ারচর এলাকার বারেক গাজী, নায়েব আলী, সেলিম, নাসির উদ্দিন গেদু, তালেব, শের আলী, রহমানের, মজিবর ও ফয়েজ উদ্দিনের বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ইদ্রিসের বাড়ির তিনটি ঘর, বারেক গাজীর বাড়ির দুইটি ঘরসহ সাতটি পরিবারের ঘর-বাড়ি নদীতে।
কুশিয়ারচর গ্রামের নদী ভাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্ত রহমানের স্ত্রী বলেন, ’আগেও নদীতে বাড়ি ভেঙ্গেছে, আবারও গাঙ্গে পানি বাড়লে বাড়ি ভাইঙ্গা গেল। এহোন কনে থাকুম। দুই দিন ওইলো অন্যের জায়গায় ঘর তুলছি’।
বারেক গাজীর স্ত্রী বলেন, ’পদ্মা ভাঙ্গণের কবল থেকে বাঁচতে চাই। দুইটি ঘর ভেঙ্গে অন্যের জায়গায় উঠাইছি’। কত দিন থাকতে পারুম তা কইতে পারি না।
আরোজ প্রামাণিকের স্ত্রী বলেন, ’পূর্বে বাগমারা এলাকায় বাড়ি ছিলো, পদ্মার ভাঙ্গনের পর কুশিয়ারচরে বাড়ি করি। সে বাড়িও ভেঙ্গে যাচ্ছে। তিনটি ঘর ভেঙ্গে অন্যত্র তুলেছি। এভাবে ভাঙতে থাকলে যেহানে ঘর তুলছি ওইহানেও কত দিন থাকতে পারুম জানি না।
ফয়েজ উদ্দীন স্ত্রী জানান, ’পদ্মার ভাঙ্গনে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি’।
ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদ গায়েন জানান, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙ্গনরোধে কাজ শুরু না হলে আরও অনেক বাড়িঘর পদ্মায় বিলীন হয়ে যাবে।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইউনুস গাজী বলেন, আমার ইউনিয়নের ১৩ টি মৌজার ১২ টি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। একটি মৌজা রয়েছে। ভাঙ্গন এলাকায় স্থায়ী বন্দোবস্ত করার জন্য অনুরোধ করছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাইন উদ্দিন মুঠোফোনে সংবাদকে জানান, ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে উপকূলীয় অঞ্চলে বরাদ্দ দিলেও মানিকগঞ্জে কোন বরাদ্দ নেই। হরিরামপুরের কাঞ্চনপুর ইউনিয়নে ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ৪০০ মিটার কাজের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে। এছাড়া বর্ষার সময় আপদকালীন কাজ হিসেবে ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।
রোববার, ৩০ মে ২০২১
ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে পদ্মায় পানি বৃদ্ধির কারণে মানিকগঞ্জের হরিরামপুরের কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের কুশিয়ারচর এলাকায় পদ্মানদীর ভাঙ্গণে কয়েকটি পরিবার দিশেহারা হয়ে পড়েছে। ঘুর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে ভিটে ছাড়া হয়েছেন সাতটি পরিবার। কারও প্রথমবার বাড়ি ভাঙ্গনের কবলে আবার, কারও বাড়ি একাধিকবার ভাঙ্গণের কবলে। এর আগে গত ৫ বছরে ভাঙ্গণের কবলে পড়ে বসত ভিটা ও ফসলি জমি হারিয়েছে প্রায় শতাধিক পরিবার।
কুশিয়ারচর এলাকার বারেক গাজী, নায়েব আলী, সেলিম, নাসির উদ্দিন গেদু, তালেব, শের আলী, রহমানের, মজিবর ও ফয়েজ উদ্দিনের বসত ভিটা নদী গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ইদ্রিসের বাড়ির তিনটি ঘর, বারেক গাজীর বাড়ির দুইটি ঘরসহ সাতটি পরিবারের ঘর-বাড়ি নদীতে।
কুশিয়ারচর গ্রামের নদী ভাঙ্গণে ক্ষতিগ্রস্ত রহমানের স্ত্রী বলেন, ’আগেও নদীতে বাড়ি ভেঙ্গেছে, আবারও গাঙ্গে পানি বাড়লে বাড়ি ভাইঙ্গা গেল। এহোন কনে থাকুম। দুই দিন ওইলো অন্যের জায়গায় ঘর তুলছি’।
বারেক গাজীর স্ত্রী বলেন, ’পদ্মা ভাঙ্গণের কবল থেকে বাঁচতে চাই। দুইটি ঘর ভেঙ্গে অন্যের জায়গায় উঠাইছি’। কত দিন থাকতে পারুম তা কইতে পারি না।
আরোজ প্রামাণিকের স্ত্রী বলেন, ’পূর্বে বাগমারা এলাকায় বাড়ি ছিলো, পদ্মার ভাঙ্গনের পর কুশিয়ারচরে বাড়ি করি। সে বাড়িও ভেঙ্গে যাচ্ছে। তিনটি ঘর ভেঙ্গে অন্যত্র তুলেছি। এভাবে ভাঙতে থাকলে যেহানে ঘর তুলছি ওইহানেও কত দিন থাকতে পারুম জানি না।
ফয়েজ উদ্দীন স্ত্রী জানান, ’পদ্মার ভাঙ্গনে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি’।
ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আজাদ গায়েন জানান, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙ্গনরোধে কাজ শুরু না হলে আরও অনেক বাড়িঘর পদ্মায় বিলীন হয়ে যাবে।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ইউনুস গাজী বলেন, আমার ইউনিয়নের ১৩ টি মৌজার ১২ টি পদ্মায় বিলীন হয়ে গেছে। একটি মৌজা রয়েছে। ভাঙ্গন এলাকায় স্থায়ী বন্দোবস্ত করার জন্য অনুরোধ করছি।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মাইন উদ্দিন মুঠোফোনে সংবাদকে জানান, ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে উপকূলীয় অঞ্চলে বরাদ্দ দিলেও মানিকগঞ্জে কোন বরাদ্দ নেই। হরিরামপুরের কাঞ্চনপুর ইউনিয়নে ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ৪০০ মিটার কাজের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। শিগগিরই কাজ শুরু হবে। এছাড়া বর্ষার সময় আপদকালীন কাজ হিসেবে ব্যাগ ফেলার ব্যবস্থা করা হবে।