নওগাঁর বদলগাছীতে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙ্গে পড়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য নির্মিত দুটি ঘরের দেয়াল। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় দেয়াল দুটি ভেঙ্গে পড়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (১০ জুন) উপজেলার সদর ইউনিয়নের জিয়ল গ্রামে সরেজমিনে ঘুরে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এসময় ঘর নির্মাণে ইট, মোটা বালি, বিট বালি ও ভীত খননে শ্রমিকদের পারিশ্রমিকের জন্য টাকা দিতে হয়েছে বলে জানান উপকারভোগীরা।
জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়নে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় শেষ পর্যায়ে ৮টি ঘরের বরাদ্দ আসে। এ ৮টি ঘরের মধ্যে দু’টি বরাদ্দ দেয়া হয় জিয়ল গ্রামের প্রয়াত. জগেন্দ্র নাথ পাহানের ছেলে বিকাশ পাহান ও আকাশ পাহানকে।
গ্রামবাসীরা জানান, ঘর নির্মাণে ১নং ইট ব্যবহারের কথা থাকলেও দেয়া হচ্ছে ৩নং ইট। মসলা তৈরিতে নিম্নমানের স্থানীয় ভিটি বালুর সঙ্গে সিমেন্টের পরিমাণ দেয়া হচ্ছে কম। ফলে নির্মাণাধীন অবস্থায় ভেঙ্গে পড়ে ঘরের দেয়াল। আকাশ পাহান বলেন, ঠিকাদার ও মিস্ত্রীরা দু’টি ঘরের জন্য ৮ হাজার ৩নং ইট ও নিম্নমানের বিট বালু আনেন। এছাড়া ২ হাজার ইট ও ১ গাড়ী ভালো মোটা বালু ও ১ গাড়ী ভিটি বালু আমাদের নিজের অর্থে কিনতে হয়। ঘরের ভিত কাটতে শ্রমিকের খরচ আমাদেরকেই দিতে হয়েছে। নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ও সিমেন্ট কম দেয়ায় নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই দেয়াল ভেঙ্গে পড়েছে।
বিকাশ পাহান জানান, পাশের উপজলোর সুমন নামের এক মিস্ত্রি ঘর দুটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। সহযোগী মিস্ত্রি ছিলেন স্থানীয় কৃষ্ণ পাহান। এ বিষয়ে সুমন মিস্ত্রির সহযোগী স্থানীয় কৃষ্ণ পাহান জানান, ঘর নির্মাণে ৩নং ইট, স্থানীয় ভিটি বালু, সিমেন্টের ভাগ কম দিয়ে গাঁথুনী করায় দেয়াল ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া আকাশ পাহানের ঘরের গাঁথুনী নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে করায় কয়েকদিন আগে তার ঘরের পশ্চিম দেওয়াল হেলে গিয়ে ফাঁটলের সৃষ্টি হয়েছিল। পরে তা মেরামত করা হয় বলে তিনি জানান।
উপজেলার পিআইও মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘর নির্মাণে বরাদ্দের বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলপনা ইয়াসমিন বলেন, আপনি যা পারেন লিখেন। দুর্নীতি করলে আমিই করছি ,উন্নয়ন করলেও আমিই করছি।
বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১
নওগাঁর বদলগাছীতে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই ভেঙ্গে পড়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জন্য নির্মিত দুটি ঘরের দেয়াল। নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করায় দেয়াল দুটি ভেঙ্গে পড়েছে বলে জানা গেছে।
বুধবার (১০ জুন) উপজেলার সদর ইউনিয়নের জিয়ল গ্রামে সরেজমিনে ঘুরে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এসময় ঘর নির্মাণে ইট, মোটা বালি, বিট বালি ও ভীত খননে শ্রমিকদের পারিশ্রমিকের জন্য টাকা দিতে হয়েছে বলে জানান উপকারভোগীরা।
জানা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমতলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদের জীবনমান উন্নয়নে গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় উপজেলায় শেষ পর্যায়ে ৮টি ঘরের বরাদ্দ আসে। এ ৮টি ঘরের মধ্যে দু’টি বরাদ্দ দেয়া হয় জিয়ল গ্রামের প্রয়াত. জগেন্দ্র নাথ পাহানের ছেলে বিকাশ পাহান ও আকাশ পাহানকে।
গ্রামবাসীরা জানান, ঘর নির্মাণে ১নং ইট ব্যবহারের কথা থাকলেও দেয়া হচ্ছে ৩নং ইট। মসলা তৈরিতে নিম্নমানের স্থানীয় ভিটি বালুর সঙ্গে সিমেন্টের পরিমাণ দেয়া হচ্ছে কম। ফলে নির্মাণাধীন অবস্থায় ভেঙ্গে পড়ে ঘরের দেয়াল। আকাশ পাহান বলেন, ঠিকাদার ও মিস্ত্রীরা দু’টি ঘরের জন্য ৮ হাজার ৩নং ইট ও নিম্নমানের বিট বালু আনেন। এছাড়া ২ হাজার ইট ও ১ গাড়ী ভালো মোটা বালু ও ১ গাড়ী ভিটি বালু আমাদের নিজের অর্থে কিনতে হয়। ঘরের ভিত কাটতে শ্রমিকের খরচ আমাদেরকেই দিতে হয়েছে। নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রী ও সিমেন্ট কম দেয়ায় নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই দেয়াল ভেঙ্গে পড়েছে।
বিকাশ পাহান জানান, পাশের উপজলোর সুমন নামের এক মিস্ত্রি ঘর দুটির নির্মাণ কাজ শুরু করেন। সহযোগী মিস্ত্রি ছিলেন স্থানীয় কৃষ্ণ পাহান। এ বিষয়ে সুমন মিস্ত্রির সহযোগী স্থানীয় কৃষ্ণ পাহান জানান, ঘর নির্মাণে ৩নং ইট, স্থানীয় ভিটি বালু, সিমেন্টের ভাগ কম দিয়ে গাঁথুনী করায় দেয়াল ভেঙ্গে গেছে। এছাড়া আকাশ পাহানের ঘরের গাঁথুনী নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে করায় কয়েকদিন আগে তার ঘরের পশ্চিম দেওয়াল হেলে গিয়ে ফাঁটলের সৃষ্টি হয়েছিল। পরে তা মেরামত করা হয় বলে তিনি জানান।
উপজেলার পিআইও মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘর নির্মাণে বরাদ্দের বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলপনা ইয়াসমিন বলেন, আপনি যা পারেন লিখেন। দুর্নীতি করলে আমিই করছি ,উন্নয়ন করলেও আমিই করছি।