সারাদেশে করোনায় মৃত্যু ১৩ হাজার পার
মাসখানেক আগেও দেশে করোনা সংক্রমণে ঢাকা বিভাগ ছিল শীর্ষে। ঢাকায় এ ভাইরাসে মৃত্যু ও রোগী শনাক্ত কমছে। তবে, ভারতীয় ধরন ‘ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট’ শনাক্ত হওয়ার পর সীমান্তের জেলাগুলোতে প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। অন্য জেলাগুলোতেও ধরনটি ছড়িয়ে পড়ছে। চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের দিক থেকে ঢাকাকে ছাড়িয়ে গেছে রাজশাহী। শুক্রবার (১১ জুন) থেকেই রাজশাহী মহানগর এলাকায় ৭ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে।
এদিকে, দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৩ জন। এদের নিয়ে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে দেশে সরকারি হিসাবে মারা গেলেন মোট ১৩ হাজার ৩২ জন।
স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর সংক্রমণরোধে কঠোর লকডাউনের পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সীমান্তবর্তী জেলাসহ অনেক জেলায় করোনার গুরুতর রোগীদের চিকিৎসাসেবা পর্যাপ্ত না থাকায় ধীরে ধীরে মৃত্যুহারও বাড়ছে বলেও জানান তারা। এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে সর্বমোট ১৮ হাজার ৫৩৫টি নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ৪৫৪ রোগী শনাক্ত হয়। দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে খুলনায় সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ঢাকা বিভাগে সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৬ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়। রংপুরে ২৬ শতাংশ, ময়মনসিংহে ১৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ, ময়মনসিংহ ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ, চট্টগ্রাম ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ, বরিশালে ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৮ হাজার ৫৩৬টি নমুনায় ৪৮০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে দুই হাজার ৩৬৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৭০ জন, রাজশাহী বিভাগে তিন হাজার ৯৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৮২ জন, রংপুর বিভাগে ৫০৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১৩১ জন শনাক্ত হয়। এছাড়া খুলনা বিভাগে এক হাজার ৭২৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৯৯ জন, বরিশাল বিভাগে ৩২৩টি নমুনা পরীক্ষায় ২৭টি এবং সিলেট বিভাগে ৫০৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৭১ রোগী শনাক্ত হয়।
একক জেলা হিসেবে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৩৩৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৪ ঘণ্টায়। এই সময়ে ঢাকা জেলায় ২৮৫ জন, খুলনা জেলায় ১৫৬ জন, চট্টগ্রাম জেলায় ১২৯ জন, যশোর জেলায় ১২৮ জন, সাতক্ষীরা জেলায় ১১১ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
যেসব জেলায় অর্ধশতের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে, সেগুলো হলো- কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, যশোর, খুলনা ও বাগেরহাটে। এছাড়া কমসংখ্যক নমুনা পরীক্ষায় বেশি রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট এবং খাগড়াছড়ি জেলায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সংক্রমণের বিস্তার রোধে লকডাউনের মধ্যেই গত ১১ মে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা ১২ হাজার পেরিয়েছিল। তার সঙ্গে আরও এক হাজার নাম যুক্ত হলো এ মাসেই।
মাঝে কিছুদিন দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমে এলেও জুনের শুরু থেকে তা ৩০ থেকে ৪০-এর ঘরে ঘোরাফেরা করছে। একদিনে আরও ২ হাজার ৪৫৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৮ লাখ ২২ হাজার ৮৪৯ জন হয়েছে। সরকারি হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ২ হাজার ২৮৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন; এ পর্যন্ত সুস্থ মোট হয়েছেন ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯১৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩০ ও নারী ১৩ জন। মৃতদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৬ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৬ জন এবং বাসায় একজন মারা যান।
২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ, আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৯ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৮ শতাংশ।
বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুসারে ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রাম ১০ জন, খুলনা সাতজন, বরিশাল দুইজন, রংপুর চারজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়। এ সময়ে সিলেট বিভাগে কোন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি।
২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজার ৩২ জনে দাঁড়ালো। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আড়াই মাস পর গত বছরের ১০ জুন মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়ায়। তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল।
রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে শুক্রবার প্রশাসন শুক্রবার সকাল থেকে চলমান বিধিনিষেধ জোরদার করার পাশাপাশি নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে বাইকিং করে সবাইকে জানানোসহ বিধিনিষেধ না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও সতর্ক করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহীতে শুক্রবার থেকে সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার ১১ জুন বিকেল ৫টা থেকে ১৭ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত রাজশাহী সার্কেট হাউসে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জরুরি বৈঠকে এ লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেন, জেলায় পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ও মৃত্যু হার বিশ্লেষণ করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। লকডাউনের সময় গণপরিবহন ও দোকানপাটসহ বন্ধ থাকবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ থেকে কোন যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না, রাজশাহী থেকেও কোন যানবাহন জেলার বাইরে যাবে না। তবে রোগী ও অন্য জরুরি সেবাদানকারীর ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
এদিকে রাজশাহীতে ঈদের পর থেকে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। ৪ জুন রাজশাহী মেডিকেলে সর্বোচ্চ ১৬ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৬ জনই ছিলেন রাজশাহীর বাসিন্দা। এই জেলায় করোনা শনাক্তের হারও কয়েক দিন ৫০ শতাংশের কাছাকাছি উঠেছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে রাজশাহীর আটজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয়জন ও নাটোরের একজন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তারা মারা যান বলে জানান হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস।
ডা. সাইফুল জানান, গত ১১দিনে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ১১ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১০৮ জন। এর মধ্যে ৬৩ জনই মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল জানান, ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন ৪৩ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ২২, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১১, নওগাঁ সাত, নাটোর একজন, পাবনা একজন ও মেহেরপুর একজন। একই সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডের ২৭১ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছেন ২৯৭ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ১৪২, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১১০, নওগাঁর ২৪, নাটোরের ১৫, পাবনার ৩, কুষ্টিয়ার ৩ জন। আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১৮ জন।
খুলনা প্রতিনিধি জানান: খুলনা বিভাগে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। বিশেষ করে বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর ও কুষ্টিয়ায় অদৃশ্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। বিভাগে মৃতের সংখ্যা ৭০০ এবং শনাক্তের সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় শনাক্ত হয়েছে ৫৯৯ জনের, যা সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
শুক্রবার দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রাশেদা বলেন, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৮৯ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০১-এ। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩২ হাজার ৭৩৬ জন।
তিনি আরও বলেন, বিভাগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে খুলনা জেলা। খুলনায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ২৫৭ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৬০৫ জন। এদিকে খুলনা জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার থেকে জেলাব্যাপী একসপ্তাহের নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান: সীমান্ত জেলার কারণে দিনাজপুরে সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়ে চলেছে। সবচেয়ে ঝুঁঁকিপূর্ণ এলাকা হচ্ছে সদর উপজেলা। এজন্য সদরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে শনাক্তকারীদের বাড়িতে লাল পতাকা উড়িয়ে লকডাউন করে দেয়া হচ্ছে। সতর্ক করা হচ্ছে সবাইকে।
দিনাজপুরে কোভিড-১৯ সংক্রমণসংক্রান্ত নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে সদর উপজেলায় আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩৮ জনে। আর ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন আরও ৪৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে জেলায় শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬ হাজার ১৮৮ জনে। শুক্রবার শনাক্তের হার দেখানো হয় ২৯ দশমিক ৯৩%। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৫ জন।
নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান : নোয়াখালীতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪০৩টি নমুনা পরীক্ষা করে এ ফল পাওয়া গেছে। এতে করোনা আক্রান্তের হার ২৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত নয় হাজার ৪৭৩ জন। মোট আক্রান্তের হার ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৫ জন। যদিও বেসরকারিভাবে মৃত্যু দু’শতাধিক। সরকারি হিসেবে আক্রান্তের হার ১০ দশমিক ৩৫ ও মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩২ ভাগ। শুক্রবার সকালে নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নওগাঁ প্রতিনিধি জানান : নওগাঁয় করোনা পরিস্থিতির তেমন একটা উন্নতি নেই। ২৪ ঘণ্টায় ৩৪২টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়ে নতুন করে মৃত্যুর কোন ঘটনা নেই।
সারাদেশে করোনায় মৃত্যু ১৩ হাজার পার
শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১
মাসখানেক আগেও দেশে করোনা সংক্রমণে ঢাকা বিভাগ ছিল শীর্ষে। ঢাকায় এ ভাইরাসে মৃত্যু ও রোগী শনাক্ত কমছে। তবে, ভারতীয় ধরন ‘ডেলটা ভ্যারিয়েন্ট’ শনাক্ত হওয়ার পর সীমান্তের জেলাগুলোতে প্রতিদিন আক্রান্ত ও মৃত্যু বেড়েই চলেছে। অন্য জেলাগুলোতেও ধরনটি ছড়িয়ে পড়ছে। চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা শনাক্তের দিক থেকে ঢাকাকে ছাড়িয়ে গেছে রাজশাহী। শুক্রবার (১১ জুন) থেকেই রাজশাহী মহানগর এলাকায় ৭ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে।
এদিকে, দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৪৩ জন। এদের নিয়ে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে দেশে সরকারি হিসাবে মারা গেলেন মোট ১৩ হাজার ৩২ জন।
স্বাস্থ্য ও রোগতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সীমান্তবর্তী জেলাগুলোর সংক্রমণরোধে কঠোর লকডাউনের পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সীমান্তবর্তী জেলাসহ অনেক জেলায় করোনার গুরুতর রোগীদের চিকিৎসাসেবা পর্যাপ্ত না থাকায় ধীরে ধীরে মৃত্যুহারও বাড়ছে বলেও জানান তারা। এদিকে, ২৪ ঘণ্টায় রাজধানীসহ সারাদেশে সর্বমোট ১৮ হাজার ৫৩৫টি নমুনা পরীক্ষায় দুই হাজার ৪৫৪ রোগী শনাক্ত হয়। দেশের আটটি বিভাগের মধ্যে খুলনায় সর্বোচ্চ ৩৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ঢাকা বিভাগে সর্বনিম্ন ৫ দশমিক ৬ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়। রংপুরে ২৬ শতাংশ, ময়মনসিংহে ১৮ দশমিক ৪৬ শতাংশ, রাজশাহীতে ১৭ দশমিক ৩২ শতাংশ, ময়মনসিংহ ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ, চট্টগ্রাম ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ, বরিশালে ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ রোগী শনাক্ত হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুসারে, ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগে ৮ হাজার ৫৩৬টি নমুনায় ৪৮০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে দুই হাজার ৩৬৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৩৭০ জন, রাজশাহী বিভাগে তিন হাজার ৯৩৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৬৮২ জন, রংপুর বিভাগে ৫০৩টি নমুনা পরীক্ষায় ১৩১ জন শনাক্ত হয়। এছাড়া খুলনা বিভাগে এক হাজার ৭২৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৯৯ জন, বরিশাল বিভাগে ৩২৩টি নমুনা পরীক্ষায় ২৭টি এবং সিলেট বিভাগে ৫০৯টি নমুনা পরীক্ষায় ৭১ রোগী শনাক্ত হয়।
একক জেলা হিসেবে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ৩৩৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ২৪ ঘণ্টায়। এই সময়ে ঢাকা জেলায় ২৮৫ জন, খুলনা জেলায় ১৫৬ জন, চট্টগ্রাম জেলায় ১২৯ জন, যশোর জেলায় ১২৮ জন, সাতক্ষীরা জেলায় ১১১ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
যেসব জেলায় অর্ধশতের বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে, সেগুলো হলো- কক্সবাজার, নোয়াখালী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, নওগাঁ, জয়পুরহাট, যশোর, খুলনা ও বাগেরহাটে। এছাড়া কমসংখ্যক নমুনা পরীক্ষায় বেশি রোগী শনাক্ত হয় চুয়াডাঙ্গা, পঞ্চগড়, নীলফামারী, লালমনিরহাট এবং খাগড়াছড়ি জেলায়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সংক্রমণের বিস্তার রোধে লকডাউনের মধ্যেই গত ১১ মে দেশে করোনাভাইরাসে মৃতের মোট সংখ্যা ১২ হাজার পেরিয়েছিল। তার সঙ্গে আরও এক হাজার নাম যুক্ত হলো এ মাসেই।
মাঝে কিছুদিন দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা কিছুটা কমে এলেও জুনের শুরু থেকে তা ৩০ থেকে ৪০-এর ঘরে ঘোরাফেরা করছে। একদিনে আরও ২ হাজার ৪৫৪ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়ায় দেশে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে ৮ লাখ ২২ হাজার ৮৪৯ জন হয়েছে। সরকারি হিসাবে আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও ২ হাজার ২৮৬ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন; এ পর্যন্ত সুস্থ মোট হয়েছেন ৭ লাখ ৬১ হাজার ৯১৬ জন। তাদের মধ্যে পুরুষ ৩০ ও নারী ১৩ জন। মৃতদের মধ্যে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৩৬ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৬ জন এবং বাসায় একজন মারা যান।
২৪ ঘণ্টায় করোনা রোগী শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ, আর এখন পর্যন্ত শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩৯ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৯২ দশমিক ৫৯ শতাংশ আর মৃত্যুর হার এক দশমিক ৫৮ শতাংশ।
বিভাগীয় পরিসংখ্যান অনুসারে ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে রাজশাহীতে সর্বোচ্চ ১১ জনের মৃত্যু হয়। এছাড়া ঢাকা বিভাগে আটজন, চট্টগ্রাম ১০ জন, খুলনা সাতজন, বরিশাল দুইজন, রংপুর চারজন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে একজনের মৃত্যু হয়। এ সময়ে সিলেট বিভাগে কোন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়নি।
২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম রোগীর মৃত্যু হয়। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা ১৩ হাজার ৩২ জনে দাঁড়ালো। প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর গত বছরের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আড়াই মাস পর গত বছরের ১০ জুন মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ছাড়ায়। তা সাড়ে সাত লাখ পেরিয়ে যায় গত ২৭ এপ্রিল।
রাজশাহী প্রতিনিধি জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে ১৭ জুন মধ্যরাত পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এদিকে লকডাউন বাস্তবায়নে শুক্রবার প্রশাসন শুক্রবার সকাল থেকে চলমান বিধিনিষেধ জোরদার করার পাশাপাশি নানা ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে। এর অংশ হিসেবে বাইকিং করে সবাইকে জানানোসহ বিধিনিষেধ না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও সতর্ক করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় রাজশাহীতে শুক্রবার থেকে সাতদিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। শুক্রবার ১১ জুন বিকেল ৫টা থেকে ১৭ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন ঘোষণা করে প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১০ জুন) রাত সাড়ে ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত রাজশাহী সার্কেট হাউসে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জরুরি বৈঠকে এ লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়। পরে এ বিষয়ে ব্রিফ করেন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার হুমায়ুন কবীর।
তিনি বলেন, জেলায় পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ও মৃত্যু হার বিশ্লেষণ করে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। লকডাউনের সময় গণপরিবহন ও দোকানপাটসহ বন্ধ থাকবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ থেকে কোন যানবাহন প্রবেশ করতে পারবে না, রাজশাহী থেকেও কোন যানবাহন জেলার বাইরে যাবে না। তবে রোগী ও অন্য জরুরি সেবাদানকারীর ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
এদিকে রাজশাহীতে ঈদের পর থেকে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। সেই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর হারও। ৪ জুন রাজশাহী মেডিকেলে সর্বোচ্চ ১৬ জনের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে ৬ জনই ছিলেন রাজশাহীর বাসিন্দা। এই জেলায় করোনা শনাক্তের হারও কয়েক দিন ৫০ শতাংশের কাছাকাছি উঠেছে।
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ২৪ আরও ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে রাজশাহীর আটজন, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছয়জন ও নাটোরের একজন। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত বিভিন্ন সময় তারা মারা যান বলে জানান হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস।
ডা. সাইফুল জানান, গত ১১দিনে (১ জুন সকাল ৬টা থেকে ১১ জুন সকাল ৬টা পর্যন্ত) এ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে মারা গেছেন ১০৮ জন। এর মধ্যে ৬৩ জনই মারা গেছেন করোনা শনাক্ত হওয়ার পর। বাকিরা উপসর্গ নিয়ে মারা যান।
উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল জানান, ২৪ ঘণ্টায় করোনা ইউনিটে ভর্তি হয়েছেন ৪৩ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ২২, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১১, নওগাঁ সাত, নাটোর একজন, পাবনা একজন ও মেহেরপুর একজন। একই সময় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৫ জন।
তিনি জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত করোনা ওয়ার্ডের ২৭১ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি রয়েছেন ২৯৭ জন। এর মধ্যে রাজশাহীর ১৪২, চাঁপাইনবাবগঞ্জের ১১০, নওগাঁর ২৪, নাটোরের ১৫, পাবনার ৩, কুষ্টিয়ার ৩ জন। আইসিইউতে ভর্তি রয়েছেন ১৮ জন।
খুলনা প্রতিনিধি জানান: খুলনা বিভাগে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও। বিশেষ করে বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে খুলনা, বাগেরহাট, সাতক্ষীরা, যশোর ও কুষ্টিয়ায় অদৃশ্য এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। বিভাগে মৃতের সংখ্যা ৭০০ এবং শনাক্তের সংখ্যা ৩৮ হাজার ছাড়িয়েছে। ২৪ ঘণ্টায় বিভাগে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় শনাক্ত হয়েছে ৫৯৯ জনের, যা সংক্রমণের শুরু থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ।
শুক্রবার দুপুরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রাশেদা সুলতানা এ তথ্য জানিয়েছেন।
রাশেদা বলেন, করোনা সংক্রমণের শুরু থেকে শুক্রবার সকাল পর্যন্ত খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় মোট শনাক্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ৬৮৯ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭০১-এ। আর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৩২ হাজার ৭৩৬ জন।
তিনি আরও বলেন, বিভাগে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে খুলনা জেলা। খুলনায় এ পর্যন্ত শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ২৫৭ জন। আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৯২ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯ হাজার ৬০৫ জন। এদিকে খুলনা জেলায় করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার থেকে জেলাব্যাপী একসপ্তাহের নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হেলাল হোসেন।
দিনাজপুর প্রতিনিধি জানান: সীমান্ত জেলার কারণে দিনাজপুরে সংক্রমণের হার দ্রুত বেড়ে চলেছে। সবচেয়ে ঝুঁঁকিপূর্ণ এলাকা হচ্ছে সদর উপজেলা। এজন্য সদরকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে শনাক্তকারীদের বাড়িতে লাল পতাকা উড়িয়ে লকডাউন করে দেয়া হচ্ছে। সতর্ক করা হচ্ছে সবাইকে।
দিনাজপুরে কোভিড-১৯ সংক্রমণসংক্রান্ত নিয়মিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল কুদ্দুছ জানান, শুক্রবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে সদর উপজেলায় আরও ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৩৮ জনে। আর ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ১৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করে নতুন আরও ৪৪ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। এ নিয়ে জেলায় শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৬ হাজার ১৮৮ জনে। শুক্রবার শনাক্তের হার দেখানো হয় ২৯ দশমিক ৯৩%। ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ১৫ জন।
নোয়াখালী প্রতিনিধি জানান : নোয়াখালীতে ২৪ ঘণ্টায় আরও ৯৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। ৪০৩টি নমুনা পরীক্ষা করে এ ফল পাওয়া গেছে। এতে করোনা আক্রান্তের হার ২৩ দশমিক ৮২ শতাংশ। এ নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্ত নয় হাজার ৪৭৩ জন। মোট আক্রান্তের হার ১০ দশমিক ৩৫ শতাংশ। মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২৫ জন। যদিও বেসরকারিভাবে মৃত্যু দু’শতাধিক। সরকারি হিসেবে আক্রান্তের হার ১০ দশমিক ৩৫ ও মৃত্যুর হার এক দশমিক ৩২ ভাগ। শুক্রবার সকালে নোয়াখালীর সিভিল সার্জন ডা. মাসুম ইফতেখার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নওগাঁ প্রতিনিধি জানান : নওগাঁয় করোনা পরিস্থিতির তেমন একটা উন্নতি নেই। ২৪ ঘণ্টায় ৩৪২টি নমুনা পরীক্ষায় নতুন করে ৬৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। নমুনার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। আগের দিন শনাক্তের হার ছিল ২৫ দশমিক ২৬ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়ে নতুন করে মৃত্যুর কোন ঘটনা নেই।