alt

সারাদেশ

মাদারীপুরে সাংসদ ও আ.লীগ সভাপতির সমর্থদের মধ্যে সংঘর্ষে, পুলিশসহ আহত ১৫, দুটি ব্যাংক ভাঙচুর

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের মার্কেট ভাংচুর

জেলা বার্তা পরিবেশক, মাদারীপুর : শনিবার, ১২ জুন ২০২১

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সাংসদ শাজাহান খান ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।

http://sangbad.net.bd/images/2021/June/12Jun21/news/madaripur.jpg

শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সদর উপজেলার কলাবাড়ি ও ঘটকচর এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুটি ব্যাংক, অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল, বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও বসতঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। এদিকে মহাসড়কের পাশে সংঘর্ষ হওয়ায় ব্যাহত হয় যানবাহন চলাচল। দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ চলায় প্রায় আধা ঘন্টা বন্ধ থাকে যানবাহন চলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি রাজৈরে এক অনুষ্ঠানে সাংসদ শাজাহান খান ও তার বাবা মুক্তিযুদ্ধর সংগঠক আছমত আলী খানকে নিয়ে বক্তব্য দেয় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা। এরই প্রতিবাদে গত এক সপ্তাহ ধরে সাংসদ সমর্থিত নেতাকর্মীরা জেলা সদর ও রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ করে আসছিল। উল্টো দিকে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও সাংসদ শাজাহান খান ও তার সমর্থকদের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে সভা সেমিনার করে আসছিল জেলা আওয়ামী লীগ। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কলাবাড়ি এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভের আয়োজন করে শাজাহান খান সমর্থিত কর্মীরা। একই সময় ওই স্থানে শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার সমর্থকরা প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এতে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশের উপস্থিতিতেই উভয়পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপরেই উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তিন পুলিশসহ আহত হয় অন্তত ১৫ জন। এ সময় সাংসদ সমর্থিত উত্তেজিত নেতাকর্মীরা ঘটকচর বাসস্ট্যান্ডের পাশের সরদার মার্কেটে ভাঙচুর ও হামলা চালায়। এতে ওই মার্কেটে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের ঘটকচর শাখা, রেখা বিউটি পার্লার, একটি হোটেলে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়াও মার্কেটের প্রায় ৭টি ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বিক্ষুদ্ধরা। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি থমথমে থাকায় পুরো এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রাখা হয়েছে।

http://sangbad.net.bd/images/2021/June/12Jun21/news/madaripur2.jpg

ভাঙচুরের শিকার সরদার মার্কেটের স্বত্বাধিকারী ও কেন্দুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দুয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সোহরাব হোসেন সরদার বলেন, ‘জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল খান, এমপি পুত্র আসিবুর রহমান খান কেন্দুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জয়নাল মাতুব্বরের লোকজন নিয়ে আমার নিজস্ব মার্কেটে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এমন কোন দোকানপাঠ নেই যে তার তান্ডব না চালিয়েছে। দুটি ব্যাংক, মসজিদ-মাদ্রাসা পর্যন্ত তারা রক্ষা করে নাই। সিসি টিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা করবো। আমি এর কঠোর বিচার চাই।’

জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘আমি সাংসদ শাজাহান খানের বাবাকে নিয়ে যে কথা বলেছি। তার ভুল বা সঠিক কী ছিল সেই ব্যাখ্যা তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারতো। কিন্তু সাংসদ সেটা না করে আমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করেছে। তার সমর্থকদের দিয়ে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর শুরু করেছে। আজ যে হামলা ভাঙচুর হয়েছে তা সাংসদের পুত্র ও ভাতিজার নেতৃত্বে বিএনপির লোকজনদের দ্বারা হয়েছে। হামলায় একজন মুক্তিযোদ্ধার মার্কেট ও তার বসতঘর ভাঙচুর করেছে। এর দায়ভার সাংসদের নিতে হবে। তিনি কোন ভাবেই এই দায় এড়াতে পারবে না।’

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে সাংসদ শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমার বাবাকে নিয়ে যে কথা বলেছেন তা আমার ও মাদারীপুরবাসীর জন্য অপমানজনক। আমি রাজনৈতিক ভাবে এলাকার জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এর প্রতিবাদ করে যাবো। আমার ছেলে ও ভাতিজাসহ আমার পরিবারের স্বজনরা আজ তারই অংশ হিসেবে মানববন্ধনে যোগ দিতে কলাবাড়ি যায়। সেখানে তাদের লক্ষে করে প্রথমে ঢিল ছোঁড়া হয়। এরপরেই ঘটকচর এলাকায় আসার পরে আবারও তাদের লক্ষ করে ঢিল ছোঁড়া হয়। পরে সোহরাব সরদারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হলে আমার ছেলে ও ভাতিজারা তা প্রতিরোধ করে। সেখানে তারা কোন ভাঙচুর ও মারামারি করতে যায়নি।’

বিকেল ৫টায় মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তাফা রাসেল বলেন, ‘বিরাজমান দুপক্ষের বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দুপক্ষকে আমরা একত্রিত হতে দেইনি। ফলে মারামারি হয়নি। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও যাওয়ার সময় কিছু বিক্ষুদ্ধরা দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইটপাটকেল ছুড়ে ভাঙচুর করে। যা কয়েকটি সিসি টিভি দেখে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুপক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপে আমাদের তিনজন পুলিশ আহত আছেন। এ ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারিনি। থানায় অভিযোগও কোন পক্ষ করেনি।’

বিরামপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান: ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা, ১ ভুয়া নার্স আটক

ছবি

চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে জনগণকে ‘রুখে দাঁড়াতে’ বললেন আইন উপদেষ্টা

নন্দীগ্রামে বাসের চাপায় মটরসাইকেল আরোহী দুই ভাই নিহত

সিলেটে গর্ভবতী স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা, মৃত সন্তান প্রসব

বগুড়ায় ২ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

লালপুরে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে গুলি বর্ষণের ঘটনায় আটক ২

টঙ্গীতে মাহফুজ হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

ছবি

ঝিকরগাছায় ভিজিডির চালে ওজনে কম, বিতরণ বন্ধ

শ্রীমঙ্গলে টি টেস্টিং ও কোয়ালিটি কন্ট্রোল প্রশিক্ষণ

ছবি

ধনবাড়ীতে বাড়িঘর ভাঙচুর স্বর্ণালংকার ও শুঁটকি লুট

পদ্মায় বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

নৌকা তৈরিতেই ফিরছে আগৈলঝাড়ার অর্ধশতাধিক পরিবারের সচ্ছলতা

ছবি

দশমিনায় মাচায় ধুন্দল চাষে খরচ কম, লাভ দ্বিগুণ

বগুড়ায় অ্যান্টি-র‌্যাবিস ভ্যাকসিন না থাকায় দুর্ভোগ

সুন্দরগঞ্জে ডিলার নিয়োগে অনিয়মের প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

টঙ্গীবাড়ীতে বাল্কহেড চলাচল বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

ভালুকায় দুই শিশু সন্তান ও মাকে জবাই করে হত্যা

সংস্কার ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন নয় নাহিদ ইসলাম

ছবি

অবৈধভাবে ট্রলার বোঝাই ১৮ বস্তা চিংড়ি শুঁটকি জব্দ

কসবায় পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ, আহত ৬

চাটখিলে মুক্তিযোদ্ধার ঘর জবরদখল, প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ

ছবি

সাতক্ষীরার শিক্ষাঙ্গনে কোমর পানি, পাঠদান-পরীক্ষা ব্যাহত

ট্রলারসহ ভারতীয় জেলে আটক

হবিগঞ্জে-ট্রাক মোটরসাইকেল সংঘর্ষে নিহত ১ আহত ২

ছবি

সিরাজগঞ্জে এবার পাট চাষে বাম্পার ফলনের আশা

শহরকে যানজটমুক্ত করতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হবে : ডিসি

মাদারগঞ্জে কলেজছাত্রকে গলা কেটে হত্যা, গুরুতর আহত ১

ছবি

জিনারদীতে নরসিংদী কমিউটার ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন

কাঁঠালিয়ায় বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

ভোলাহাটে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস পালিত

ছবি

একটি সেতুতে পাল্টে গেল ১৫ গ্রামের মানুষের জীবন

ময়মনসিংহে নিখোঁজ দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার

পলাশে ইয়াবা টেবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার

ভারপ্রাপ্তের কারণে আটকে আছে শূন্যপদে নিয়োগ, দুর্ভোগে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা

ছবি

দশমিনায় জেলে পল্লীতে নীরবতা ও হতাশা, নদীতে ইলিশ মাছের আকাল

খাগড়াছড়ির শান্তি পরিবহন ও মোটর সংঘর্ষে নিহত ২

tab

সারাদেশ

মাদারীপুরে সাংসদ ও আ.লীগ সভাপতির সমর্থদের মধ্যে সংঘর্ষে, পুলিশসহ আহত ১৫, দুটি ব্যাংক ভাঙচুর

মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের মার্কেট ভাংচুর

জেলা বার্তা পরিবেশক, মাদারীপুর

শনিবার, ১২ জুন ২০২১

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও মাদারীপুর-২ আসনের সাংসদ শাজাহান খান ও মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।

http://sangbad.net.bd/images/2021/June/12Jun21/news/madaripur.jpg

শনিবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের সদর উপজেলার কলাবাড়ি ও ঘটকচর এলাকায় দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে দুটি ব্যাংক, অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল, বেশ কয়েকটি দোকানপাট ও বসতঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। এদিকে মহাসড়কের পাশে সংঘর্ষ হওয়ায় ব্যাহত হয় যানবাহন চলাচল। দুপক্ষের পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ চলায় প্রায় আধা ঘন্টা বন্ধ থাকে যানবাহন চলাচল। এতে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, সম্প্রতি রাজৈরে এক অনুষ্ঠানে সাংসদ শাজাহান খান ও তার বাবা মুক্তিযুদ্ধর সংগঠক আছমত আলী খানকে নিয়ে বক্তব্য দেয় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা। এরই প্রতিবাদে গত এক সপ্তাহ ধরে সাংসদ সমর্থিত নেতাকর্মীরা জেলা সদর ও রাজৈর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ করে আসছিল। উল্টো দিকে জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও সাংসদ শাজাহান খান ও তার সমর্থকদের কর্মকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে সভা সেমিনার করে আসছিল জেলা আওয়ামী লীগ। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকাল আওয়ামী লীগ সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার পদত্যাগ ও বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের কলাবাড়ি এলাকায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভের আয়োজন করে শাজাহান খান সমর্থিত কর্মীরা। একই সময় ওই স্থানে শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার সমর্থকরা প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে। এতে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। পুলিশের উপস্থিতিতেই উভয়পক্ষের মধ্যে ধস্তাধস্তি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে গেলে পুলিশ লাঠিচার্জ করে উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপরেই উভয়পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় তিন পুলিশসহ আহত হয় অন্তত ১৫ জন। এ সময় সাংসদ সমর্থিত উত্তেজিত নেতাকর্মীরা ঘটকচর বাসস্ট্যান্ডের পাশের সরদার মার্কেটে ভাঙচুর ও হামলা চালায়। এতে ওই মার্কেটে অবস্থিত বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও ইসলামী ব্যাংকের ঘটকচর শাখা, রেখা বিউটি পার্লার, একটি হোটেলে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়। এ ছাড়াও মার্কেটের প্রায় ৭টি ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে বিক্ষুদ্ধরা। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। বর্তমানে পরিস্থিতি থমথমে থাকায় পুরো এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রাখা হয়েছে।

http://sangbad.net.bd/images/2021/June/12Jun21/news/madaripur2.jpg

ভাঙচুরের শিকার সরদার মার্কেটের স্বত্বাধিকারী ও কেন্দুয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কেন্দুয়া ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সোহরাব হোসেন সরদার বলেন, ‘জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রুবেল খান, এমপি পুত্র আসিবুর রহমান খান কেন্দুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জয়নাল মাতুব্বরের লোকজন নিয়ে আমার নিজস্ব মার্কেটে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এমন কোন দোকানপাঠ নেই যে তার তান্ডব না চালিয়েছে। দুটি ব্যাংক, মসজিদ-মাদ্রাসা পর্যন্ত তারা রক্ষা করে নাই। সিসি টিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীদের বিরুদ্ধে মামলা করবো। আমি এর কঠোর বিচার চাই।’

জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লা বলেন, ‘আমি সাংসদ শাজাহান খানের বাবাকে নিয়ে যে কথা বলেছি। তার ভুল বা সঠিক কী ছিল সেই ব্যাখ্যা তিনি আমাকে জিজ্ঞাসা করতে পারতো। কিন্তু সাংসদ সেটা না করে আমার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সভা করেছে। তার সমর্থকদের দিয়ে বিক্ষোভ ও ভাঙচুর শুরু করেছে। আজ যে হামলা ভাঙচুর হয়েছে তা সাংসদের পুত্র ও ভাতিজার নেতৃত্বে বিএনপির লোকজনদের দ্বারা হয়েছে। হামলায় একজন মুক্তিযোদ্ধার মার্কেট ও তার বসতঘর ভাঙচুর করেছে। এর দায়ভার সাংসদের নিতে হবে। তিনি কোন ভাবেই এই দায় এড়াতে পারবে না।’

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে সাংসদ শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আমার বাবাকে নিয়ে যে কথা বলেছেন তা আমার ও মাদারীপুরবাসীর জন্য অপমানজনক। আমি রাজনৈতিক ভাবে এলাকার জনগণ ও মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে এর প্রতিবাদ করে যাবো। আমার ছেলে ও ভাতিজাসহ আমার পরিবারের স্বজনরা আজ তারই অংশ হিসেবে মানববন্ধনে যোগ দিতে কলাবাড়ি যায়। সেখানে তাদের লক্ষে করে প্রথমে ঢিল ছোঁড়া হয়। এরপরেই ঘটকচর এলাকায় আসার পরে আবারও তাদের লক্ষ করে ঢিল ছোঁড়া হয়। পরে সোহরাব সরদারের নেতৃত্বে হামলা চালানো হলে আমার ছেলে ও ভাতিজারা তা প্রতিরোধ করে। সেখানে তারা কোন ভাঙচুর ও মারামারি করতে যায়নি।’

বিকেল ৫টায় মাদারীপুরের পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তাফা রাসেল বলেন, ‘বিরাজমান দুপক্ষের বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। দুপক্ষকে আমরা একত্রিত হতে দেইনি। ফলে মারামারি হয়নি। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনলেও যাওয়ার সময় কিছু বিক্ষুদ্ধরা দোকানপাট, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ইটপাটকেল ছুড়ে ভাঙচুর করে। যা কয়েকটি সিসি টিভি দেখে শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুপক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপে আমাদের তিনজন পুলিশ আহত আছেন। এ ঘটনায় আমরা এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারিনি। থানায় অভিযোগও কোন পক্ষ করেনি।’

back to top