পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার চাঞ্চল্যকর ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক সেলিম হোসেন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে পাবনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত জানান পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সাঁথিয়া উপজেলার ছোন্দহ এলাকার আবু সাঈদ মোল্লার ছেলে রাসেল হোসেন, বহালবাড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামের সোলেমান শেখের ছেলে রানা শেখ, একই এলাকার আল আমিনের স্ত্রী শীলা খাতুন, ওয়াজেদ সরদারের ছেলে হোসেন আলী ও আতাইকুলার গ্রামের মৃত রায়হান উদ্দিনের ছেলে ছিনতাইকৃত অটোরিকশার ক্রেতা দেলোয়ার হোসেন। পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তারকৃত সবাই নিহত ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক সেলিম হোসেনের পূর্বপরিচিত। নিহত সেলিম গ্রেপ্তারকৃত শীলা খাতুনকে মাঝে মধ্যে উত্যক্ত করতো এবং কুপ্রস্তাব দিত।
বিষয়টি শীলা তার স্বামী আল আমিনকে জানালে গ্রেপ্তারকৃতরাসহ কয়েকজন গত ৯ জুন দুপুরে আল আমিনের বাড়িতে বসে অটোরিকশা চালক সেলিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুয়ায়ী আসামিরা ৯ জুন বিকেলে রিজার্ভ ভাড়ার কথা বলে পূর্বপরিচিত অটোরিকশা চালক সেলিমকে মাহমুদপুর বাজারে আসতে বলে।
সেলিম আসলে আসামিরা অটোরিকশা নিয়ে বিভিন্নস্থানে ঘুরাঘুরি শেষে বহালবাড়ীয়ার কালুকাটা নির্জন স্থানে পৌঁছে সেখানে সেলিমসহ আসামি চারজন গাঁজা সেবন করে। রাত ৯টার দিকে ইজিবাইক চালক সেলিম নেশাগ্রস্ত হয়ে পরলে আসামিরা সেলিমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে।
হত্যার পর রাতেই তারা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাটি আতাইকুলা বাজারের ভাংরি ব্যবসায়ী দেলোয়ারের কাছে সাড়ে ৩১ হাজার টাকায় বিক্রি করে টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়ে বিভিন্নস্থানে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ১২ জুন ঢাকার ধামরাই নওগাঁ বাজারের বক্কারের ইট ভাটা থেকে রাসেল ও রানাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যর উপর ভিত্তি করে শীলা খাতুন, হোসেন আলীকে আটক করে ও আতাইকুলা বাজারের ভাংরি ব্যবসায়ী দেলোয়ারের দোকানে অভিযান চালিয়ে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাটি উদ্ধার করে ও দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করে। আটককৃতদের সেলিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার, ১৬ জুন ২০২১
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার চাঞ্চল্যকর ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক সেলিম হোসেন হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে ঘটনার সঙ্গে জড়িত এক নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৬ জুন) দুপুরে পাবনার পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত জানান পুলিশ সুপার মহিবুল ইসলাম খান।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সাঁথিয়া উপজেলার ছোন্দহ এলাকার আবু সাঈদ মোল্লার ছেলে রাসেল হোসেন, বহালবাড়িয়া পূর্বপাড়া গ্রামের সোলেমান শেখের ছেলে রানা শেখ, একই এলাকার আল আমিনের স্ত্রী শীলা খাতুন, ওয়াজেদ সরদারের ছেলে হোসেন আলী ও আতাইকুলার গ্রামের মৃত রায়হান উদ্দিনের ছেলে ছিনতাইকৃত অটোরিকশার ক্রেতা দেলোয়ার হোসেন। পুলিশ সুপার জানান, গ্রেপ্তারকৃত সবাই নিহত ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক চালক সেলিম হোসেনের পূর্বপরিচিত। নিহত সেলিম গ্রেপ্তারকৃত শীলা খাতুনকে মাঝে মধ্যে উত্যক্ত করতো এবং কুপ্রস্তাব দিত।
বিষয়টি শীলা তার স্বামী আল আমিনকে জানালে গ্রেপ্তারকৃতরাসহ কয়েকজন গত ৯ জুন দুপুরে আল আমিনের বাড়িতে বসে অটোরিকশা চালক সেলিমকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুয়ায়ী আসামিরা ৯ জুন বিকেলে রিজার্ভ ভাড়ার কথা বলে পূর্বপরিচিত অটোরিকশা চালক সেলিমকে মাহমুদপুর বাজারে আসতে বলে।
সেলিম আসলে আসামিরা অটোরিকশা নিয়ে বিভিন্নস্থানে ঘুরাঘুরি শেষে বহালবাড়ীয়ার কালুকাটা নির্জন স্থানে পৌঁছে সেখানে সেলিমসহ আসামি চারজন গাঁজা সেবন করে। রাত ৯টার দিকে ইজিবাইক চালক সেলিম নেশাগ্রস্ত হয়ে পরলে আসামিরা সেলিমকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যা করে।
হত্যার পর রাতেই তারা ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাটি আতাইকুলা বাজারের ভাংরি ব্যবসায়ী দেলোয়ারের কাছে সাড়ে ৩১ হাজার টাকায় বিক্রি করে টাকা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়ে বিভিন্নস্থানে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পর পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ১২ জুন ঢাকার ধামরাই নওগাঁ বাজারের বক্কারের ইট ভাটা থেকে রাসেল ও রানাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্যর উপর ভিত্তি করে শীলা খাতুন, হোসেন আলীকে আটক করে ও আতাইকুলা বাজারের ভাংরি ব্যবসায়ী দেলোয়ারের দোকানে অভিযান চালিয়ে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাটি উদ্ধার করে ও দেলোয়ারকে গ্রেপ্তার করে। আটককৃতদের সেলিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।