ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ঘর উদ্বোধনের আগেই পিলার ও ফ্লোর ফেটে ভেঙে গেছে। আর এসব ঘরের তালিকা প্রনয়ন নিয়েও রয়েছে বিতর্ক।
ইউএনও অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২০২১ইং অর্থ বছরে আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ভুমিহীনদের জন্য ৯০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নে ১০টি, সরিষাতে-১৪টি, আঠারবাড়ীতে-১০টি, মাইজবাগে-৯টি, মগটুলায়-৪টি, রাজিবপুরের চরপাড়ায়-৭টি, লাটিয়ামারীতে ১৫টি, বান্ডারী বাজারের ১২টি, উচাখিলা ইউপিতে ৪টি, তারুন্দিয়া ইউনিয়নে ৫টি ঘর নির্মাণ করা হয় যা উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মানের ব্যয় হয়েছে ১লাখ ৯১ হাজার টাকা।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ঘর গুলো নির্মাণে নিম্নমানের কাঠ, ইট ও টিন ব্যবহার করায় উদ্বাধনের আগেই ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের একাধিক ঘরের পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। কাঁচা কাঠ ব্যবহার করায় ঘরের আড়া, খুরর জয়েন্ট গুলো ফেটে ফাঁকা হয়ে গেছে। এছাড়া সরিষা ইউনিয়নের ঘর গুলোতে ফাঁটল ও ফ্লোর উঠে গেছে। এসব ঘর বিতরণের তালিকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার অর্ধশতক লোকের অভিযোগ স্থানীয় লোকজন আবেদন করার পরও তাদের নাম বাদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন, পৌর শহরের লোকজনকে তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এতে স্থানীয় লোকজনের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের আবু সাঈদের স্ত্রী সাহেরা খাতুন, নূর ইসলামের স্ত্রী রাশেদা খাতুন ও তারা মিয়া জানান, ভুমি অফিসের তহসিলদার আবুল বাশার ও তার সহকারী হুমায়ূন, সাইফুল তাদেরকে ঘরের তালিকায় নাম আছে এমনটি জানিয়ে তাদেরকে ঘরে থাকতে বলায় প্রায় ২০দিন ধরে এখানে বসবাস করছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা ভুমি অফিসের লোকজন তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে অন্যদের থাকতে দিয়েছেন।
তহসিলদার আবুল বাশার জানান, তারা আবেদন করে ছিলো, কিন্তু ঘরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাদের আনিত অভিযোগটি ঠিক নয়।
এব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভুমি অনামিকা নজরুল বলেন, তালিকা ভুক্তদের ঘর দেওয়া হয়েছে। কে বা কার নির্দেশে তারা ঘরে উঠে ছিলো সেটি আমার জানা নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, যথাযথ ভাবেই ঘর গুলো করা হয়েছে। এক, দুটি ছোট কাটো সমস্যা থাকতে পারে। এগুলো মেরামত করেই উদ্বোধন করা হবে। ঘরের জন্য আবেদন করেছেন অনেকেই। বরাদ্দ কম থাকায় সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয়নি।
শুক্রবার, ১৮ জুন ২০২১
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় নির্মিত ঘর উদ্বোধনের আগেই পিলার ও ফ্লোর ফেটে ভেঙে গেছে। আর এসব ঘরের তালিকা প্রনয়ন নিয়েও রয়েছে বিতর্ক।
ইউএনও অফিস সূত্রে জানা যায়, ২০২০-২০২১ইং অর্থ বছরে আশ্রায়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ভুমিহীনদের জন্য ৯০টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নে ১০টি, সরিষাতে-১৪টি, আঠারবাড়ীতে-১০টি, মাইজবাগে-৯টি, মগটুলায়-৪টি, রাজিবপুরের চরপাড়ায়-৭টি, লাটিয়ামারীতে ১৫টি, বান্ডারী বাজারের ১২টি, উচাখিলা ইউপিতে ৪টি, তারুন্দিয়া ইউনিয়নে ৫টি ঘর নির্মাণ করা হয় যা উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। প্রতিটি ঘর নির্মানের ব্যয় হয়েছে ১লাখ ৯১ হাজার টাকা।
সরেজমিন গিয়ে জানা যায়, ঘর গুলো নির্মাণে নিম্নমানের কাঠ, ইট ও টিন ব্যবহার করায় উদ্বাধনের আগেই ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের একাধিক ঘরের পিলারে ফাটল দেখা দিয়েছে। কাঁচা কাঠ ব্যবহার করায় ঘরের আড়া, খুরর জয়েন্ট গুলো ফেটে ফাঁকা হয়ে গেছে। এছাড়া সরিষা ইউনিয়নের ঘর গুলোতে ফাঁটল ও ফ্লোর উঠে গেছে। এসব ঘর বিতরণের তালিকা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এলাকার অর্ধশতক লোকের অভিযোগ স্থানীয় লোকজন আবেদন করার পরও তাদের নাম বাদ দিয়ে পার্শ্ববর্তী ইউনিয়ন, পৌর শহরের লোকজনকে তালিকায় অর্ন্তভূক্ত করা হয়েছে। এতে স্থানীয় লোকজনের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
ঈশ্বরগঞ্জ ইউনিয়নের আবু সাঈদের স্ত্রী সাহেরা খাতুন, নূর ইসলামের স্ত্রী রাশেদা খাতুন ও তারা মিয়া জানান, ভুমি অফিসের তহসিলদার আবুল বাশার ও তার সহকারী হুমায়ূন, সাইফুল তাদেরকে ঘরের তালিকায় নাম আছে এমনটি জানিয়ে তাদেরকে ঘরে থাকতে বলায় প্রায় ২০দিন ধরে এখানে বসবাস করছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা ভুমি অফিসের লোকজন তাদেরকে ঘর থেকে বের করে দিয়ে অন্যদের থাকতে দিয়েছেন।
তহসিলদার আবুল বাশার জানান, তারা আবেদন করে ছিলো, কিন্তু ঘরে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তাদের আনিত অভিযোগটি ঠিক নয়।
এব্যাপারে সহকারী কমিশনার ভুমি অনামিকা নজরুল বলেন, তালিকা ভুক্তদের ঘর দেওয়া হয়েছে। কে বা কার নির্দেশে তারা ঘরে উঠে ছিলো সেটি আমার জানা নেই।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকির হোসেন বলেন, যথাযথ ভাবেই ঘর গুলো করা হয়েছে। এক, দুটি ছোট কাটো সমস্যা থাকতে পারে। এগুলো মেরামত করেই উদ্বোধন করা হবে। ঘরের জন্য আবেদন করেছেন অনেকেই। বরাদ্দ কম থাকায় সবাইকে দেওয়া সম্ভব হয়নি।