অবশেষে পাওয়া গেল ‘তোমরা একতারা বাজাইওনা, দোতরা বাজাইনা...’ গানের গীতিকার এবং সুরকারকে। নব্বই দশকের শুরুর দিকে কণ্ঠশিল্পী কুমার বিশ্বজিৎ’র একক অ্যালবাম ‘দীর্ঘশ্বাস’ প্রকাশিত হয়। এই অ্যালবামের ‘পাগল বল’, ‘আনন্দ আশ্রম’, ‘কোন কোন রাত’ এবং ‘একতারা’ গানটি জনপ্রিয়তা পায়। ‘একতারা’ গানটি প্রকাশের সময় তাতে গীতিকার এবং সুরকার হিসেবে সংগ্রহ লিখে প্রকাশ করা হয়। তবে একতারা’ গানের গীতিকার এবং সুরকারকে মনে মনে খুঁজছিলেন কুমার বিশ্বজিৎ। অবশেষে সংগীতশিল্পী সমরজিৎ’র চেষ্টায় গানের গীতিকার এবং সুরকারকে খুঁজে পাওয়া গেল। সমরজিতের পরিচিত কলকাতার অধীর দাসের মাধ্যমে একতারা গানের সুরকার কিশোর চ্যাটার্জির সন্ধান পাওয়া গেছে। সুরকার কিশোরের সঙ্গে কুমার বিশ্বজিৎ’র দেখা হলো ১৬ মার্চ শুক্রবার সন্ধ্যায় কুমার বিশ্বজিতের বাসায়। কুমার বিশ্বজিতের নিমন্ত্রণে কিশোর গানটির স্বত্ব দিতে ঢাকায় আসেন। এ গানটি লিখেছেন লক্ষ্মী কান্ত রায়। কিশোর সুর করার পর দূরদর্শনে আশির দশকের শুরুতে একবার একটি শিশু গানটি গেয়েছিল। কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘অনেক আগে থেকেই আমি এ গানের গীতিকার সুরকারকে খোঁজার চেষ্টা করেছি। কারণ গানের সুরকার, গীতিকারের নাম ব্যবহার করা এটা তাদেরই প্রাপ্য, অধিকার। দীর্ঘদিন পর এভাবে সুরকারকেও খুঁজে পাওয়ার ঘটনা সত্যিই বিরল। কিশোর দা’র প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা তিনি আমার ডাকে সাড়া দিয়ে ঢাকায় এসেছেন, আমাকে সময় দিয়েছেন। আমাকে নতুন গানও দিয়েছেন।

এখন আমি একতারা গানটি নিয়ে কপিরাইট আইনে যাবো। দেশের বিভিন্ন সাইটে গানটি প্রকাশ করা আছে। তাদের প্রতি আমার অনুরোধ নিজ দায়িত্বে গানটি নামিয়ে ফেলার জন্য।’ কলকাতার নৈহাটির সন্তান কিশোর চ্যটার্জি বলেন, ‘কিশোর দা’র এ গানটি যখন শুধু বাংলাদেশেরই নয় সারা বিশ্বে বেশ জনপ্রিয়তা পায় তখন থেকেই তার সঙ্গে আমি যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমার কোন উপায় ছিল না। অবশেষে দাদার সঙ্গে দেখা হলো। একতারা গান পেল পূর্ণতা।’