২০ গ্রামের নারী ও শিশুরা স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত
তৃণমূল পর্যায়ে বিনামূল্যে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে অবকাঠামো নির্মিত হলেও দুই বছরেও চালু হয়নি শেরপুর উপজেলার সুঘাট ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জয়লা জুয়ান গ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগের ৯১ শতাংশ জমিতে ২০১৯ সালে নির্মিত হয় ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি। প্রায় সাতকোটি টাকা ব্যয়ে তিনতলা মূল ভবন, চিকিৎসকদের আবাসিক ভবন নির্মাণ এবং ১০টি শয্যাসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি থাকলেও আজও চালু হয়নি মা ও শিশু কল্যাণটি। যার ফলে আশপাশের ২০ গ্রামের নারী ও শিশুরা কাক্সিক্ষত জরুরী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি চালু না হলেও মাঝে মাঝে সেখানে একজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও ফার্মাসিস্ট বসছেন। পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মাহবুবা আনাম জানান, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি এখনও চালু হয়নি। আমরা নিয়মিত এখান থেকে আগতদের পরামর্শ ও ওষুধপত্র বিতরণ করছি। এটি চালু হলে গর্ভবতী নারী, প্রসবকালীন সেবা, প্রসূতি নারী ও নবজাতকসহ ১৫ বছরের কম বয়সী কন্যা শিশুরা বিনামূল্যে সেবা পাবে।
উপজেলার জয়লাজুয়ান গ্রামের মোজদার আলী, জহুরুল ইসলাম জানান, ওই জায়গায় বহু আগে নির্মিত ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ছিল। সেটি ভেঙ্গে নতুন হাসপাতাল করায় আমরা অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু দুই বছরেও এটি চালু হয়নি। তাই আমরা কোন সেবা পাচ্ছি না। মা ও শিশুর চিকিৎসার জন্য আমাদের ১৫ কিলোমিটার দূরে শহরেই যেতে হচ্ছে।
উপজেলার গুয়াগাছি গ্রামের সদরুল ইসলাম জানান, কেন্দ্রটি চালু হলেও গর্ভবতী নারীদের চেকআপ, প্রসব থেকে শুরু করে শিশুদের বিনামূল্যে সেবা মিলত, কিন্তু আজও সেটি চালু হয়নি। কবে হবে তা আমরা জানি না।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সেলিমা আখতার জানান, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি নির্মাণ করে ২০১৯ সালের ২৬ জুন বগুড়া পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালককে হস্তান্তর করেছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ না দেয়ায় এখনও সেটি চালু হয়নি। কেন্দ্রটি চালু হলেও গ্রামের মানুষেরা স্বাভাবিক প্রসব থেকে শুরু করে সিজারিয়ান অপারেশনসহ মা ও শিশুর নানাবিধ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।
শেরপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জুলেখা খানম জানান, সুঘাটে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটির দৃষ্টিনন্দন দুটি ভবন নির্মিত হয়েছে। যন্ত্রপাতিও আছে। কিন্তু জনবল নিয়োগ না হওয়ায় কেন্দ্রটি চালু হচ্ছে না। আমরা আমাদের দুইজন স্টাফ দিয়ে সীমিত আকারে সেবা দিচ্ছি। কেন্দ্রটি দ্রুত চালু করতে আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান লিঙ্কন জানান, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিতে দুইজন এমবিবিএস ডাক্তারসহ ১৪ জন স্টাফ থাকবেন যারা মা ও শিশুর অতিপ্রয়োজনীয় সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে ১০ শয্যা বিশিষ্ট কেন্দ্রটি চালু হচ্ছে না।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ময়নুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে দ্রুত মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি চালুর ব্যাপারে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
২০ গ্রামের নারী ও শিশুরা স্বাস্থ্যসেবা বঞ্চিত
শনিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২১
তৃণমূল পর্যায়ে বিনামূল্যে মা ও শিশুর স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রায় সাত কোটি টাকা ব্যয়ে অবকাঠামো নির্মিত হলেও দুই বছরেও চালু হয়নি শেরপুর উপজেলার সুঘাট ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শেরপুর উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের জয়লা জুয়ান গ্রামে স্বাস্থ্য বিভাগের ৯১ শতাংশ জমিতে ২০১৯ সালে নির্মিত হয় ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি। প্রায় সাতকোটি টাকা ব্যয়ে তিনতলা মূল ভবন, চিকিৎসকদের আবাসিক ভবন নির্মাণ এবং ১০টি শয্যাসহ অন্যান্য সরঞ্জামাদি থাকলেও আজও চালু হয়নি মা ও শিশু কল্যাণটি। যার ফলে আশপাশের ২০ গ্রামের নারী ও শিশুরা কাক্সিক্ষত জরুরী স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি চালু না হলেও মাঝে মাঝে সেখানে একজন পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা ও ফার্মাসিস্ট বসছেন। পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা মাহবুবা আনাম জানান, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি এখনও চালু হয়নি। আমরা নিয়মিত এখান থেকে আগতদের পরামর্শ ও ওষুধপত্র বিতরণ করছি। এটি চালু হলে গর্ভবতী নারী, প্রসবকালীন সেবা, প্রসূতি নারী ও নবজাতকসহ ১৫ বছরের কম বয়সী কন্যা শিশুরা বিনামূল্যে সেবা পাবে।
উপজেলার জয়লাজুয়ান গ্রামের মোজদার আলী, জহুরুল ইসলাম জানান, ওই জায়গায় বহু আগে নির্মিত ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ছিল। সেটি ভেঙ্গে নতুন হাসপাতাল করায় আমরা অনেক খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু দুই বছরেও এটি চালু হয়নি। তাই আমরা কোন সেবা পাচ্ছি না। মা ও শিশুর চিকিৎসার জন্য আমাদের ১৫ কিলোমিটার দূরে শহরেই যেতে হচ্ছে।
উপজেলার গুয়াগাছি গ্রামের সদরুল ইসলাম জানান, কেন্দ্রটি চালু হলেও গর্ভবতী নারীদের চেকআপ, প্রসব থেকে শুরু করে শিশুদের বিনামূল্যে সেবা মিলত, কিন্তু আজও সেটি চালু হয়নি। কবে হবে তা আমরা জানি না।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডা. সেলিমা আখতার জানান, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি নির্মাণ করে ২০১৯ সালের ২৬ জুন বগুড়া পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালককে হস্তান্তর করেছেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ না দেয়ায় এখনও সেটি চালু হয়নি। কেন্দ্রটি চালু হলেও গ্রামের মানুষেরা স্বাভাবিক প্রসব থেকে শুরু করে সিজারিয়ান অপারেশনসহ মা ও শিশুর নানাবিধ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।
শেরপুর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জুলেখা খানম জানান, সুঘাটে ১০ শয্যা বিশিষ্ট মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটির দৃষ্টিনন্দন দুটি ভবন নির্মিত হয়েছে। যন্ত্রপাতিও আছে। কিন্তু জনবল নিয়োগ না হওয়ায় কেন্দ্রটি চালু হচ্ছে না। আমরা আমাদের দুইজন স্টাফ দিয়ে সীমিত আকারে সেবা দিচ্ছি। কেন্দ্রটি দ্রুত চালু করতে আমরা উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাজিদ হাসান লিঙ্কন জানান, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিতে দুইজন এমবিবিএস ডাক্তারসহ ১৪ জন স্টাফ থাকবেন যারা মা ও শিশুর অতিপ্রয়োজনীয় সেবায় নিয়োজিত থাকবেন। কিন্তু নানা জটিলতার কারণে ১০ শয্যা বিশিষ্ট কেন্দ্রটি চালু হচ্ছে না।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ময়নুল ইসলাম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে দ্রুত মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটি চালুর ব্যাপারে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।