মানহানির দুই মামলায় চার্জ শুনানি পেছালো
অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া জন্মদিন পালন ও মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে মানহানির দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছালো। আদালত এ জন্য আগামী ২৫ অক্টোবর নতুন দিন ধার্য করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মামলার চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল।
এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ জন্য তার পক্ষে সময় আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির এ তারিখ ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম। এজাহারে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন পালনের খবর ১৯৯৭ সালের ১৯ ও ২২ আগস্ট দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। এসব প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, খালেদা জিয়ার এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট উল্লেখ করা হয়। তার বিয়ের কাবিনে জন্মদিন লেখা হয়েছে ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট। ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন পালন করে আসছেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগ তোলা মামলায় বলা হয়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি রাজাকার-আলবদর নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেন।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে তেজগাঁও থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মশিউর রহমান অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার অন্য আসামি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মৃত বলে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এদিকে, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। শারীরিক অবস্থার ফলোআপ করাতে গত ১২ অক্টোবর বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, চেয়ারপারসনের অসুস্থতার চিকিৎসা দেশে করানো সম্ভব নয়।
মানহানির দুই মামলায় চার্জ শুনানি পেছালো
বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর ২০২১
অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া জন্মদিন পালন ও মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগে মানহানির দুই মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছালো। আদালত এ জন্য আগামী ২৫ অক্টোবর নতুন দিন ধার্য করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) ঢাকার অ্যাডিশনাল চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে মামলার চার্জ শুনানির জন্য ধার্য ছিল।
এদিন খালেদা জিয়া অসুস্থ থাকায় আদালতে হাজির হতে পারেননি। এ জন্য তার পক্ষে সময় আবেদন করেন অ্যাডভোকেট মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে চার্জ শুনানির এ তারিখ ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ভুয়া জন্মদিন পালনের অভিযোগে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গাজী জহিরুল ইসলাম। এজাহারে বলা হয়, খালেদা জিয়ার একাধিক জন্মদিন পালনের খবর ১৯৯৭ সালের ১৯ ও ২২ আগস্ট দুটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত হয়েছে। এসব প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে, খালেদা জিয়ার এসএসসি পরীক্ষার মার্কশিট অনুযায়ী জন্ম তারিখ ১৯৪৬ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। ১৯৯১ সালে তিনি প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে একটি দৈনিকে তার জীবনী নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জন্মদিন ১৯৪৫ সালের ১৯ আগস্ট উল্লেখ করা হয়। তার বিয়ের কাবিনে জন্মদিন লেখা হয়েছে ১৯৪৪ সালের ৪ আগস্ট। ১৯৯৬ সাল থেকে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে জন্মদিন পালন করে আসছেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধকে ‘কলঙ্কিত’ করার অভিযোগ তোলা মামলায় বলা হয়, ২০০১ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট বেঁধে নির্বাচিত হয়ে সরকারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন বিএনপি চেয়ারপারসন। তিনি রাজাকার-আলবদর নেতাকর্মীদের মন্ত্রী-এমপি বানিয়ে তাদের বাড়ি-গাড়িতে স্বাধীন বাংলাদেশের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা তুলে দেন।
২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জিয়াউর রহমান ও খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে এই মানহানির মামলা করেন জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। আদালত ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে তেজগাঁও থানার ওসিকে নির্দেশ দেন।
২০১৭ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর তেজগাঁও থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মশিউর রহমান অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে জানিয়ে প্রতিবেদন দাখিল করেন। মামলার অন্য আসামি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান মৃত বলে তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
এদিকে, রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। শারীরিক অবস্থার ফলোআপ করাতে গত ১২ অক্টোবর বিকেলে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেন, চেয়ারপারসনের অসুস্থতার চিকিৎসা দেশে করানো সম্ভব নয়।