সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) : গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য -সংবাদ
বাংলাদেশ তথা বিশ্বের কাছে জননন্দিত সরকারী স্বীকৃতি প্রাপ্ত কক্সবাজার সি-বিচ। বিশ্বের অনেক দেশের পর্যটক প্রিয় বঙ্গোপসাগরের মোহনায় সাগর উত্তাল ঢেউ দেখতে ছুটে আসে এই সমুদ্র সৈকতে। এই সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে কক্সবাজার জেলা শহরে গঠে উঠেছে পর্যটন জোন। এই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের ছাপ কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইতোমধ্যে সীতাকুন্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। এই প্রস্তাবের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও সীতাকুন্ড উপজেলা প্রশাসন যৌথ উদ্যোগে রাস্তা প্রশস্তকরণ ও রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। হোটেল-মোটেল জোন করতে জায়গা অধিগ্রহণ ও খাস জায়গা শনাক্তের কাজ শুরু করেছে। সরেজমিন ও পর্যটন প্রিয়দের কাছ থেকে জানা যায়, গুলিয়াখালী সি বিচ দিগন্ত জুড়ে সোনালি রঙয়ের মাঝে, স্তব্ধ নিঃশ্বাস দূরে ঠেলে ফিরে আসি বারে বার। ছুঁয়ে যাই, আবার-ও হারাই। আমারি জন্যে সহস্র সূর্য দেবে একই আলো চিরকাল!! কবিতার মতোই অপরূপ গুলিয়াখালী সৈকতের সোনালি গোধুলি। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর সীতাকুন্ড উপজেলাধীন মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত। বাহারী রঙের বৃক্ষ আর আর সবুজের সমারোহ পরিবেশকে আরো সৌন্দর্য মন্ডিত করেছে। বিশাল আয়তনের এই পর্যটন স্থান দেখতে দূর দূরান্ত থেকে অধীর আগ্রহে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন। একদিকে দিগন্ত জোড়া জলরাশি আর অন্যদিকে কেওড়া বন। আছে সবুজ গালিচার বিস্তৃত ঘাস। তার মাঝে বয়ে চলেছে আঁকাবাঁকা খাল। জোয়ারের পানিতে সবুজ ঘাসের ফাঁকে নালাগুলো কানায় কানায় ভরে ওঠে। এরই মাঝে রয়েছে ছোট ছোট লাল আকৃতির কাঁকড়া। জোয়ার চলে গেলে ফিরে যায় আগের অবস্থায়। মৃদু বাতাস আর গাছের পাতার ফিসফিসানিতে তৃপ্ত দুপুর, স্নিগ্ধ বিকেল কিংবা বিষন্ন সন্ধ্যাটি যে কাউকে রাঙিয়ে তুলবে বর্ণিল আলোক ছটায়। খাল ধরে এগিয়ে গেলে মিলবে সমুদ্রের অপার সৌন্দর্য উপভোগের এক অভাবনীয় মুহূর্ত। চোখের সামনে অনন্য সুন্দরের এক সৈকত। গুলিয়াখালী বিচকে সাজাতে কোন কার্পণ্য করেনি প্রকৃতি। সবকিছু মিলে এ যেন প্রকৃতির অন্যরকম ‘আশীর্বাদ’। এই সৈকতের একপাশে রয়েছে সাগরের জলরাশি, অন্যপাশে কেওড়া বন। দেখা মিলবে সোয়াম্প ফরেস্ট আর ম্যানগ্রোভ বনের অন্য রকম মিলিত রূপ। গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতকে পর্যটনের আওতায় আনতে নেয়া হচ্ছে মহাপরিকল্পনা। রাস্তার প্রশস্তকরণ-সংস্কার, হোটেল-মোটেল গড়ে তুলতে ভূমি জরিপের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে প্রস্তাবনা। স্থানীয়দের কাছে সৈকতটি মুরাদপুর সি-বিচ নামে পরিচিত। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড বাজার থেকে দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া না লাগলেও এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দলবেঁধে অনেক দর্শনার্থী ছুটে আসছেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের এই সৈকতে। সংশ্নিষ্টদের মতে, দ্রুত সরকারি উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে গুলিয়াখালী বিচ হতে পারে দেশের পর্যটনের অন্যতম একটি স্থান। আর তা সম্ভব হলে দেশের পর্যটন খাতে অনেক বড় অবদান রাখা যাবে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইতোমধ্যে আমরা গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের জন্য রাস্তা প্রশস্তকরণ, হোটেল-মোটেল জোনের জন্য খাস জায়গা অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছি। পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে। খুব কাছ থেকে পাহাড়ি ঝর্ণা ও সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ উপভোগ করতে পারবে পর্যটকরা। পর্যটকের ভিড় জমতে থাকায় গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতকে পর্যটনে রুপ দিতে নেয়া হয়েছে নানা পরিকল্পনা। ধীরে ধীরে পরিকল্পনা গ্রহণ করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ছাপ কমাতে গুলিয়াখালী বিচকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রুপ দেয়া হবে। সীতাকুন্ডে পর্যটকদের আকৃষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ, এখানে গুলিয়া সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক, সু-উচ্চ চন্দ্রনাথ ধাম, ভাটিয়ারি গলফ ক্লাব সংলগ্ন ভাটিয়ারি লেক, সহস্র্র ধারা ঝর্ণাসহ অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে।
সীতাকুন্ড (চট্টগ্রাম) : গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের নয়নাভিরাম প্রাকৃতিক দৃশ্য -সংবাদ
শনিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২১
বাংলাদেশ তথা বিশ্বের কাছে জননন্দিত সরকারী স্বীকৃতি প্রাপ্ত কক্সবাজার সি-বিচ। বিশ্বের অনেক দেশের পর্যটক প্রিয় বঙ্গোপসাগরের মোহনায় সাগর উত্তাল ঢেউ দেখতে ছুটে আসে এই সমুদ্র সৈকতে। এই সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে কক্সবাজার জেলা শহরে গঠে উঠেছে পর্যটন জোন। এই কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ভ্রমণ পিপাসু পর্যটকদের ছাপ কমাতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইতোমধ্যে সীতাকুন্ড উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতকে সরকারিভাবে স্বীকৃতি দেয়ার প্রস্তাব করেছেন। এই প্রস্তাবের অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও সীতাকুন্ড উপজেলা প্রশাসন যৌথ উদ্যোগে রাস্তা প্রশস্তকরণ ও রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু করেছেন। হোটেল-মোটেল জোন করতে জায়গা অধিগ্রহণ ও খাস জায়গা শনাক্তের কাজ শুরু করেছে। সরেজমিন ও পর্যটন প্রিয়দের কাছ থেকে জানা যায়, গুলিয়াখালী সি বিচ দিগন্ত জুড়ে সোনালি রঙয়ের মাঝে, স্তব্ধ নিঃশ্বাস দূরে ঠেলে ফিরে আসি বারে বার। ছুঁয়ে যাই, আবার-ও হারাই। আমারি জন্যে সহস্র সূর্য দেবে একই আলো চিরকাল!! কবিতার মতোই অপরূপ গুলিয়াখালী সৈকতের সোনালি গোধুলি। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যে ভরপুর সীতাকুন্ড উপজেলাধীন মুরাদপুর ইউনিয়নের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকত। বাহারী রঙের বৃক্ষ আর আর সবুজের সমারোহ পরিবেশকে আরো সৌন্দর্য মন্ডিত করেছে। বিশাল আয়তনের এই পর্যটন স্থান দেখতে দূর দূরান্ত থেকে অধীর আগ্রহে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন। একদিকে দিগন্ত জোড়া জলরাশি আর অন্যদিকে কেওড়া বন। আছে সবুজ গালিচার বিস্তৃত ঘাস। তার মাঝে বয়ে চলেছে আঁকাবাঁকা খাল। জোয়ারের পানিতে সবুজ ঘাসের ফাঁকে নালাগুলো কানায় কানায় ভরে ওঠে। এরই মাঝে রয়েছে ছোট ছোট লাল আকৃতির কাঁকড়া। জোয়ার চলে গেলে ফিরে যায় আগের অবস্থায়। মৃদু বাতাস আর গাছের পাতার ফিসফিসানিতে তৃপ্ত দুপুর, স্নিগ্ধ বিকেল কিংবা বিষন্ন সন্ধ্যাটি যে কাউকে রাঙিয়ে তুলবে বর্ণিল আলোক ছটায়। খাল ধরে এগিয়ে গেলে মিলবে সমুদ্রের অপার সৌন্দর্য উপভোগের এক অভাবনীয় মুহূর্ত। চোখের সামনে অনন্য সুন্দরের এক সৈকত। গুলিয়াখালী বিচকে সাজাতে কোন কার্পণ্য করেনি প্রকৃতি। সবকিছু মিলে এ যেন প্রকৃতির অন্যরকম ‘আশীর্বাদ’। এই সৈকতের একপাশে রয়েছে সাগরের জলরাশি, অন্যপাশে কেওড়া বন। দেখা মিলবে সোয়াম্প ফরেস্ট আর ম্যানগ্রোভ বনের অন্য রকম মিলিত রূপ। গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতকে পর্যটনের আওতায় আনতে নেয়া হচ্ছে মহাপরিকল্পনা। রাস্তার প্রশস্তকরণ-সংস্কার, হোটেল-মোটেল গড়ে তুলতে ভূমি জরিপের মাধ্যমে দেয়া হয়েছে প্রস্তাবনা। স্থানীয়দের কাছে সৈকতটি মুরাদপুর সি-বিচ নামে পরিচিত। চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড বাজার থেকে দূরত্ব মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। আধুনিকতার কোনো ছোঁয়া না লাগলেও এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে দলবেঁধে অনেক দর্শনার্থী ছুটে আসছেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের এই সৈকতে। সংশ্নিষ্টদের মতে, দ্রুত সরকারি উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতা পেলে গুলিয়াখালী বিচ হতে পারে দেশের পর্যটনের অন্যতম একটি স্থান। আর তা সম্ভব হলে দেশের পর্যটন খাতে অনেক বড় অবদান রাখা যাবে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ইতোমধ্যে আমরা গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতের জন্য রাস্তা প্রশস্তকরণ, হোটেল-মোটেল জোনের জন্য খাস জায়গা অধিগ্রহণের কাজ শুরু করেছি। পর্যটনের অপার সম্ভাবনা রয়েছে গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতকে ঘিরে। খুব কাছ থেকে পাহাড়ি ঝর্ণা ও সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গ উপভোগ করতে পারবে পর্যটকরা। পর্যটকের ভিড় জমতে থাকায় গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতকে পর্যটনে রুপ দিতে নেয়া হয়েছে নানা পরিকল্পনা। ধীরে ধীরে পরিকল্পনা গ্রহণ করে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের ছাপ কমাতে গুলিয়াখালী বিচকে বিশ্বমানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে রুপ দেয়া হবে। সীতাকুন্ডে পর্যটকদের আকৃষ্ট হওয়ার অন্যতম কারণ, এখানে গুলিয়া সমুদ্র সৈকতের পাশাপাশি, বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্ক, সু-উচ্চ চন্দ্রনাথ ধাম, ভাটিয়ারি গলফ ক্লাব সংলগ্ন ভাটিয়ারি লেক, সহস্র্র ধারা ঝর্ণাসহ অসংখ্য দর্শনীয় স্থান রয়েছে।