রাজধানীর মহাখালীতে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ছেলের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। এ দুর্ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজের ছেলে ইশরাক আহমেদ সাদিন ছাড়াও আহত হন গাড়িচালক মো. মহসিন। নিহত হন দুই তরুণ আয়মান ওমর (২০) ও ফাহমিদ আহমেদ রাইয়ান (২০)।
গতকাল (২৩ নভেম্বর) মঙ্গলবার ভোরের ওই ঘটনায় কাফরুল থানায় দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। সেখানে কী ঘটেছিল তা জানতে ইশরাকের সঙ্গে পুলিশের কথাও হয়েছে বলে জানান কাফরুল থানার পুলিশ কর্মকর্তারা। মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার এসআই আলমগীর জলিল বলেন, গতকাল দুর্ঘটনার পর ইশরাকের সঙ্গে তারা কথা বলতে পারেননি। তবে বুধবার (২৪ নভেম্বর) তার সঙ্গে পুলিশের প্রাথমিক কথা হয়েছে।
গতকাল ভোরে দুর্ঘটনার পরপরই সেখানে গিয়েছিলেন এসআই জলিল। তখন ইশরাককে সেখানে পাননি। জলিল বলেন, তিনি নিহত দুইজনের নিথর দেহ এবং চালক মহসিনকে দেখতে পান। চালক সামান্য আহত হয়েছিলেন। তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। মহসিন ও ইশরাকের কাছে ঘটনার একই রকম বর্ণনা পেয়েছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। তবে ওই গাড়িতে আরও যে তিন আরোহী ছিলেন, তাদের বিষয়ে কিছুই তিনি জানতে পারেননি। ওই রাস্তার একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা গেছে, ভোর ৫টা বাজার ৫ মিনিট আগে রাওয়া ক্লাব ভবনের সামনের রাস্তায় ফ্লাইওভারের নিচে গাড়িটি কয়েকবার পাক খেয়ে ফ্লাইওভারের গোড়ায় এসে থেমে যায়। তাতে গাড়ির চালকের মাথার ওপরে সানরুফ পুরোপুরি ভেঙে সামনের ছাদটি নিচে নেমে আসে। বিধ্বস্ত পাজেরো স্পোর্টস গাড়িটি এখন ত্রিপল দিয়ে ঢেকে কাফরুল থানার সামনে রাখা হয়েছে।
কাফরুল থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, গাড়িতে মোট ছয়জন আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন রাইয়ান। চালকের পাশের আসনে ছিলেন আয়মান। তারা দুইজনই মারা গেছেন। দ্বিতীয় সারিতে ছিলেন ইশরাকসহ তিনজন। আর পেছনে তৃতীয় সারিতে বসেছিলেন গাড়িটির মূল চালক মহসিন। গাড়িটি নিহত রাইয়ানের বাবা প্রয়াত ইলিয়াস আহমেদের নামে নিবন্ধন করা। আয়মান ও রাইয়ানের নিহত হওয়ার ঘটনায় তাদের দুই স্বজন কাফরুল থানায় পৃথক অপমৃত্যুর মামলা করেন।
আয়মানের মামা আবু তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়ার করা মামলায় বলা হয়েছে, গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার ভাগ্নে আয়মান ওমর নিহত হন। এই মৃত্যুর বিষয়ে আয়মানের বাবা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ওমর ফারুক ও তার মা শাহজাদি নাসিমার কোনো অভিযোগ বা সন্দেহ নেই। রাইয়ানের মামা হারুন খানের মামলাতেও কোনো অভিযোগ বা সন্দেহ না থাকার কথা বলা হয়েছে। দুই তরুণের লাশ বিনা ময়নাতদন্তে নিয়ে গেছে তাদের পরিবার। রাইয়ানের লাশ মঙ্গলবারই দাফন করা হয় বলে তার মামা হারুন খান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাইয়ান কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ঢাকায় এসে আটকা পড়েন তিনি। বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েন।
বুধবার, ২৪ নভেম্বর ২০২১
রাজধানীর মহাখালীতে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ছেলের সঙ্গে কথা বলেছে পুলিশ। এ দুর্ঘটনায় অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল আজিজের ছেলে ইশরাক আহমেদ সাদিন ছাড়াও আহত হন গাড়িচালক মো. মহসিন। নিহত হন দুই তরুণ আয়মান ওমর (২০) ও ফাহমিদ আহমেদ রাইয়ান (২০)।
গতকাল (২৩ নভেম্বর) মঙ্গলবার ভোরের ওই ঘটনায় কাফরুল থানায় দুটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। সেখানে কী ঘটেছিল তা জানতে ইশরাকের সঙ্গে পুলিশের কথাও হয়েছে বলে জানান কাফরুল থানার পুলিশ কর্মকর্তারা। মামলা দুটির তদন্ত কর্মকর্তা কাফরুল থানার এসআই আলমগীর জলিল বলেন, গতকাল দুর্ঘটনার পর ইশরাকের সঙ্গে তারা কথা বলতে পারেননি। তবে বুধবার (২৪ নভেম্বর) তার সঙ্গে পুলিশের প্রাথমিক কথা হয়েছে।
গতকাল ভোরে দুর্ঘটনার পরপরই সেখানে গিয়েছিলেন এসআই জলিল। তখন ইশরাককে সেখানে পাননি। জলিল বলেন, তিনি নিহত দুইজনের নিথর দেহ এবং চালক মহসিনকে দেখতে পান। চালক সামান্য আহত হয়েছিলেন। তখন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। মহসিন ও ইশরাকের কাছে ঘটনার একই রকম বর্ণনা পেয়েছেন বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা। তবে ওই গাড়িতে আরও যে তিন আরোহী ছিলেন, তাদের বিষয়ে কিছুই তিনি জানতে পারেননি। ওই রাস্তার একটি সিসি ক্যামেরার ভিডিওতে দেখা গেছে, ভোর ৫টা বাজার ৫ মিনিট আগে রাওয়া ক্লাব ভবনের সামনের রাস্তায় ফ্লাইওভারের নিচে গাড়িটি কয়েকবার পাক খেয়ে ফ্লাইওভারের গোড়ায় এসে থেমে যায়। তাতে গাড়ির চালকের মাথার ওপরে সানরুফ পুরোপুরি ভেঙে সামনের ছাদটি নিচে নেমে আসে। বিধ্বস্ত পাজেরো স্পোর্টস গাড়িটি এখন ত্রিপল দিয়ে ঢেকে কাফরুল থানার সামনে রাখা হয়েছে।
কাফরুল থানার ওসি হাফিজুর রহমান বলেন, গাড়িতে মোট ছয়জন আরোহী ছিলেন। দুর্ঘটনার সময় গাড়িটি চালাচ্ছিলেন রাইয়ান। চালকের পাশের আসনে ছিলেন আয়মান। তারা দুইজনই মারা গেছেন। দ্বিতীয় সারিতে ছিলেন ইশরাকসহ তিনজন। আর পেছনে তৃতীয় সারিতে বসেছিলেন গাড়িটির মূল চালক মহসিন। গাড়িটি নিহত রাইয়ানের বাবা প্রয়াত ইলিয়াস আহমেদের নামে নিবন্ধন করা। আয়মান ও রাইয়ানের নিহত হওয়ার ঘটনায় তাদের দুই স্বজন কাফরুল থানায় পৃথক অপমৃত্যুর মামলা করেন।
আয়মানের মামা আবু তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়ার করা মামলায় বলা হয়েছে, গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার ভাগ্নে আয়মান ওমর নিহত হন। এই মৃত্যুর বিষয়ে আয়মানের বাবা অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ওমর ফারুক ও তার মা শাহজাদি নাসিমার কোনো অভিযোগ বা সন্দেহ নেই। রাইয়ানের মামা হারুন খানের মামলাতেও কোনো অভিযোগ বা সন্দেহ না থাকার কথা বলা হয়েছে। দুই তরুণের লাশ বিনা ময়নাতদন্তে নিয়ে গেছে তাদের পরিবার। রাইয়ানের লাশ মঙ্গলবারই দাফন করা হয় বলে তার মামা হারুন খান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাইয়ান কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তেন। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে ঢাকায় এসে আটকা পড়েন তিনি। বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েন।