রাজধানীতে এবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ময়লার গাড়ি ধাক্কায় নিহত হলেন দৈনিক সংবাদের কম্পিটার বিভাগের কর্মী আহসান কবির খান (৫০)।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর পান্থপথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে বুধবার দুপুরে গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লার গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান মৃত্যুর ঘটনায় আন্দোলন চলাকালেই এ দুর্ঘটনা ঘটলো।
জানা গেছে আহসান কবির খান আজ মগবাজার থেকে রাইড শেয়ারিং ‘পাঠাও’ এর মোটরসাইকেলের করে মিরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। বেলা আড়াইটার দিকে পান্থপথ শাপলা ফার্নিচার দোকানের সামনে পৌঁছালে ডিএনসিসির একটি ময়লা বহনকারী ডাম্পিং ট্রাক পিছন দিক থেকে তাকে বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। ময়লার গাড়ির চাকা নিহত কবির খানের মাথার উপর দিয়ে উঠে যায়। তবে ঘটনার পর তাকে বহনকারী পাঠাও চালক ভয়ে পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। এই ঘটনায় ঘাতক ময়লার গাড়িটি জব্দ করেছে পুলিশ। তবে এর চালক পালিয়ে গেছে। তাকে ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
এদিকে, ঘাতক ময়লার গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ইতোমধ্যে ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলামের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নিহতের পরিবারের কোনও সহযোগিতার প্রয়োজন হলে তা করা হবে।
নিহতের মামাতো ভাই মিজানুর রহমান জানান, ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেরজুত গ্রামের আবদুল মান্নান খানের ছেলে নিহত কবির। এক ছেলে এক মেয়েসহ স্ত্রী নাদিরা পারভিন রেখাকে নিয়ে বড় মগবাজার সোনালীবাগ চান বেকারী গলির ৫৩ নম্বর বাসায় থাকতেন। রাজধানীর ফয়জুর রহমান আইডিয়াল ইনস্টিটিউটের ৯ম শ্রেণিতে পড়ে তার ছেলে সাদবান শাহরিয়ার কাইফ (১৫) ও ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে মেয়ে সাফরিন কবির দিয়া (১০)।
মিজানুর রহমান আরো জানান, তিনি দীর্ঘ দিন প্রথম আলোর পেস্টিং বিভাগে কাজ করতেন। সাত বছর আগে চাকরী ছেড়ে দিয়ে প্রিন্টিং ব্যবসা শুরু করেন। চলতি মাসে জাতীয় দৈনিক সংবাদে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। একইসঙ্গে পেইজ মেকআপের কাজ করতেন।
নিহতের স্ত্রী নাদিরা পারভিন রেখা বলেন, কবির মোটরসাইকেল চালাতে পারেন না। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বাসা থেকে বের হন। এরপর সেখান থেকে যান মিরপুরে। দুপুরের তারা খবর পান, কবিরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে কবিরকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এ ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন স্ত্রী।
কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান জানান, পাঠাও এর মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন আহসান কবির। পান্থপথে ডিএনসিসির একটি ময়লা বহনকারী ডাম্পিং ট্রাক পিছন দিক থেকে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে আহমেদ কবির নিচে পড়ে গেলে ময়লার ট্রাকটির চাকা তার মাথার উপর দিয়ে উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো জানান, এই দুর্ঘটনা দেখে তাকে বহনকারী পাঠাও এর মোটরসাইকেল চালক দ্রুত মোটরসাইকেলটি নিয়ে চলে গেছে। তবে ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এর চালক পালিয়ে গেছে। তাকে ধরতে অভিযান চলছে। প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার গুলিস্তানে ডিএসসিসি ময়লার গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান নিহত হন। এ নিয়ে রাজধানী বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। তারা সহপাঠী নিহতের বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবি জানিয়ে আসছেন।
বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
রাজধানীতে এবার ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) ময়লার গাড়ি ধাক্কায় নিহত হলেন দৈনিক সংবাদের কম্পিটার বিভাগের কর্মী আহসান কবির খান (৫০)।
বৃহস্পতিবার (২৫ নভেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে রাজধানীর পান্থপথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে বুধবার দুপুরে গুলিস্তানে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) একটি ময়লার গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান মৃত্যুর ঘটনায় আন্দোলন চলাকালেই এ দুর্ঘটনা ঘটলো।
জানা গেছে আহসান কবির খান আজ মগবাজার থেকে রাইড শেয়ারিং ‘পাঠাও’ এর মোটরসাইকেলের করে মিরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। বেলা আড়াইটার দিকে পান্থপথ শাপলা ফার্নিচার দোকানের সামনে পৌঁছালে ডিএনসিসির একটি ময়লা বহনকারী ডাম্পিং ট্রাক পিছন দিক থেকে তাকে বহনকারী মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। ময়লার গাড়ির চাকা নিহত কবির খানের মাথার উপর দিয়ে উঠে যায়। তবে ঘটনার পর তাকে বহনকারী পাঠাও চালক ভয়ে পালিয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা। এই ঘটনায় ঘাতক ময়লার গাড়িটি জব্দ করেছে পুলিশ। তবে এর চালক পালিয়ে গেছে। তাকে ধরতে অভিযান চলছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
এদিকে, ঘাতক ময়লার গাড়ির চালকের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে ডিএনসিসি মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেছেন, ইতোমধ্যে ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এস এম শরিফ-উল ইসলামের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এছাড়া নিহতের পরিবারের কোনও সহযোগিতার প্রয়োজন হলে তা করা হবে।
নিহতের মামাতো ভাই মিজানুর রহমান জানান, ঝালকাঠি সদর উপজেলার শেরজুত গ্রামের আবদুল মান্নান খানের ছেলে নিহত কবির। এক ছেলে এক মেয়েসহ স্ত্রী নাদিরা পারভিন রেখাকে নিয়ে বড় মগবাজার সোনালীবাগ চান বেকারী গলির ৫৩ নম্বর বাসায় থাকতেন। রাজধানীর ফয়জুর রহমান আইডিয়াল ইনস্টিটিউটের ৯ম শ্রেণিতে পড়ে তার ছেলে সাদবান শাহরিয়ার কাইফ (১৫) ও ৪র্থ শ্রেণিতে পড়ে মেয়ে সাফরিন কবির দিয়া (১০)।
মিজানুর রহমান আরো জানান, তিনি দীর্ঘ দিন প্রথম আলোর পেস্টিং বিভাগে কাজ করতেন। সাত বছর আগে চাকরী ছেড়ে দিয়ে প্রিন্টিং ব্যবসা শুরু করেন। চলতি মাসে জাতীয় দৈনিক সংবাদে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে চাকরিতে যোগ দেন। একইসঙ্গে পেইজ মেকআপের কাজ করতেন।
নিহতের স্ত্রী নাদিরা পারভিন রেখা বলেন, কবির মোটরসাইকেল চালাতে পারেন না। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বাসা থেকে বের হন। এরপর সেখান থেকে যান মিরপুরে। দুপুরের তারা খবর পান, কবিরকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। পরে হাসপাতালে গিয়ে কবিরকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান। এ ঘটনায় জড়িতদের উপযুক্ত বিচার দাবি করেন স্ত্রী।
কলাবাগান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আ ফ ম আসাদুজ্জামান জানান, পাঠাও এর মোটরসাইকেলে করে যাচ্ছিলেন আহসান কবির। পান্থপথে ডিএনসিসির একটি ময়লা বহনকারী ডাম্পিং ট্রাক পিছন দিক থেকে মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে আহমেদ কবির নিচে পড়ে গেলে ময়লার ট্রাকটির চাকা তার মাথার উপর দিয়ে উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
তিনি আরো জানান, এই দুর্ঘটনা দেখে তাকে বহনকারী পাঠাও এর মোটরসাইকেল চালক দ্রুত মোটরসাইকেলটি নিয়ে চলে গেছে। তবে ঘাতক ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। এর চালক পালিয়ে গেছে। তাকে ধরতে অভিযান চলছে। প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার গুলিস্তানে ডিএসসিসি ময়লার গাড়ির ধাক্কায় নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসান নিহত হন। এ নিয়ে রাজধানী বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা। তারা সহপাঠী নিহতের বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবি জানিয়ে আসছেন।