আশুলিয়ার ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে অবস্থিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) ২৫ নভেম্বর শেষ হলো দুই দিনব্যাপী (২৪ ও ২৫ নভেম্বর) ‘জেএমসি মিডিয়াবাজ’ শীর্ষক আলোচনা। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগ (জেএমসি)। বিশ্ববিদ্যলয়ের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক অমিতাভ রেজা, জিটিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ব্র্যাকের হেড অফ মিডিয়া অ্যান্ড এক্সটার্নাল রিলেশন্স রাফে সাদনান আদেল, ডিজিটাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ নুরুন্নবী চৌধুরী হাছিব। আলোচনা পরিচালনা করেন দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান। দিনব্যাপী আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয় জেএমসি মিডিয়াবাজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার না শিখলে ডায়নোসরের মতো একদিন বিলুপ্ত হয়ে যেতে হবে। প্রযুক্তি কতটা দরকারী তা এই করোনার সময় সবাই উপলব্ধি করেছে। প্রযুক্তি বদলে দিয়েছে সাংবাদিকতার ধরন। বিশেষ করে ইন্টারনেটের যুগে প্রবেশ করার পর সাংবাদিকতা ক্ষেত্রে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। ইন্টারনেট আসার পর সাংবাদিকতা শুধু রেডিও, টেলিভিশন আর কাগজের পত্রিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এই বদলে যাওয়া সাংবাদিকতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হলে মাল্টিটাসকিং দক্ষতা অর্জন করতে শিক্ষার্থীদেও আহ্বান জানান তিনি। মোস্তাফা জব্বার বলেন, ইন্টারনেট আমাদেরকে কোথায় নিয়ে যাবে তা এখনই অনুমান করা যাচ্ছে না। এজন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, মা, মাটি ও মাতৃভাষার সঙ্গে কখনো আপোষ করা চলে না। যত প্রতিকূল পরিস্থিতিই আসুক না কেন, এই তিন জায়গায় আপোস না করার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে তিনি অনুরোধ করেন।
চলচ্চিত্র পরিচালক অমিতাভ রেজা বলেন, আমাদের ইতিহাস আমাদেরকেই বলতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের ইতিহাস নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি করছে অন্যরা। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, তরুণ প্রজন্ম অনেক মেধাবী। তারা আমাদেরকে এই লজ্জার হাত থেকে মুক্তি দেবে নিশ্চয়। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজের গল্পটা নিজেকেই বলতে হবে। কীভাবে বলবেন সেটা আপনাকেই ঠিক করে নিতে হবে। আপনি আপনার মতো করে আপনার গল্প বলবেন। সেটাই হবে আপনার নিজস্ব চলচ্চিত্রের ভাষা।
এর আগে গতকাল ২৪ নভেম্বর উদ্বোধনী আলোচনার মাধ্যমে জেএমসি মিডিয়াবাজের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। উদ্বোধনী আলোচনায় সেশন চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগের উপদেষ্টা ও দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান। আলোচনায় অংশ নেন মালোয়েশিয়ার স্কুল অফ কমিউনিকেশনের সহযোগী অধ্যাপক জুলিয়ানা আব্দুল ওয়াহাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুর রহমান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাজী এম আনিছুল ইসলাম এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের চেয়ারপারসন ড. শেখ মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ‘স্ট্রিমিং টিভি অ্যান্ড নিউ ভিউয়িং কালচার’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জুলিয়ানা আব্দুল ওয়াহাব। অধ্যাপক মফিজুর রহমান উপস্থাপন করেন ‘মিডিয়া কনভারজেশন অ্যান্ড কালচার’ শীর্ষক প্রবন্ধ, কাজী এম আনিছুল ইসলাম উপস্থাপন করেন ‘অ্যাপ্লিকেশন ইন জার্নালিজম: প্ল্যাটফর্ম অর ফর্ম’ শীর্ষক প্রবন্ধ এবং ড. শেখ মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম ‘ইমপ্যাক্ট অব সোশ্যল মিডিয়া ইন মেইনস্ট্রিম জার্নালিজম’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়াও অনলাইনে ‘ডিকোডিং মিডিয়া কনভারজেন্স: পোস্ট প্যান্ডেমিক’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর উজ্জ্বল কে. চৌধুরী, সচিব, গ্লোবাল মিডিয়া এডুকেশন কাউন্সিল (সাবেক উপ-উপাচার্য, অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি), টেকনোলজিক্যাল কনভারজেন্স ইন সিনেমা শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আবীর শ্রেষ্ঠ, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কর্মী, মিডিয়া কনভারজেন্স এবং ইয়ুথ এনগেজমেন্ট শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেখ আদনান ফাহাদ, চেয়ারপারসন, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।
বৃহস্পতিবার, ২৫ নভেম্বর ২০২১
আশুলিয়ার ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে অবস্থিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে (ডিআইইউ) ২৫ নভেম্বর শেষ হলো দুই দিনব্যাপী (২৪ ও ২৫ নভেম্বর) ‘জেএমসি মিডিয়াবাজ’ শীর্ষক আলোচনা। অনুষ্ঠানটির আয়োজক ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগ (জেএমসি)। বিশ্ববিদ্যলয়ের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স হলে এর সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র পরিচালক অমিতাভ রেজা, জিটিভির প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, ব্র্যাকের হেড অফ মিডিয়া অ্যান্ড এক্সটার্নাল রিলেশন্স রাফে সাদনান আদেল, ডিজিটাল মিডিয়া বিশেষজ্ঞ নুরুন্নবী চৌধুরী হাছিব। আলোচনা পরিচালনা করেন দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান। দিনব্যাপী আলোচনা শেষে শিক্ষার্থীদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে শেষ হয় জেএমসি মিডিয়াবাজ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহার না শিখলে ডায়নোসরের মতো একদিন বিলুপ্ত হয়ে যেতে হবে। প্রযুক্তি কতটা দরকারী তা এই করোনার সময় সবাই উপলব্ধি করেছে। প্রযুক্তি বদলে দিয়েছে সাংবাদিকতার ধরন। বিশেষ করে ইন্টারনেটের যুগে প্রবেশ করার পর সাংবাদিকতা ক্ষেত্রে বিপ্লব সাধিত হয়েছে। ইন্টারনেট আসার পর সাংবাদিকতা শুধু রেডিও, টেলিভিশন আর কাগজের পত্রিকার মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এই বদলে যাওয়া সাংবাদিকতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে হলে মাল্টিটাসকিং দক্ষতা অর্জন করতে শিক্ষার্থীদেও আহ্বান জানান তিনি। মোস্তাফা জব্বার বলেন, ইন্টারনেট আমাদেরকে কোথায় নিয়ে যাবে তা এখনই অনুমান করা যাচ্ছে না। এজন্য নিজেকে প্রস্তুত রাখতে হবে। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আরও বলেন, মা, মাটি ও মাতৃভাষার সঙ্গে কখনো আপোষ করা চলে না। যত প্রতিকূল পরিস্থিতিই আসুক না কেন, এই তিন জায়গায় আপোস না করার জন্য শিক্ষার্থীদেরকে তিনি অনুরোধ করেন।
চলচ্চিত্র পরিচালক অমিতাভ রেজা বলেন, আমাদের ইতিহাস আমাদেরকেই বলতে হবে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, আমাদের ইতিহাস নিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি করছে অন্যরা। এটা আমাদের জন্য লজ্জার। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, তরুণ প্রজন্ম অনেক মেধাবী। তারা আমাদেরকে এই লজ্জার হাত থেকে মুক্তি দেবে নিশ্চয়। তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, নিজের গল্পটা নিজেকেই বলতে হবে। কীভাবে বলবেন সেটা আপনাকেই ঠিক করে নিতে হবে। আপনি আপনার মতো করে আপনার গল্প বলবেন। সেটাই হবে আপনার নিজস্ব চলচ্চিত্রের ভাষা।
এর আগে গতকাল ২৪ নভেম্বর উদ্বোধনী আলোচনার মাধ্যমে জেএমসি মিডিয়াবাজের কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। উদ্বোধনী আলোচনায় সেশন চেয়ার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা, মিডিয়া এবং যোগাযোগ বিভাগের উপদেষ্টা ও দৈনিক আজকের পত্রিকার সম্পাদক অধ্যাপক ড. গোলাম রহমান। আলোচনায় অংশ নেন মালোয়েশিয়ার স্কুল অফ কমিউনিকেশনের সহযোগী অধ্যাপক জুলিয়ানা আব্দুল ওয়াহাব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক মফিজুর রহমান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণ যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কাজী এম আনিছুল ইসলাম এবং গ্রিন ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও মিডিয়া কমিউনিকেশন বিভাগের চেয়ারপারসন ড. শেখ মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ‘স্ট্রিমিং টিভি অ্যান্ড নিউ ভিউয়িং কালচার’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জুলিয়ানা আব্দুল ওয়াহাব। অধ্যাপক মফিজুর রহমান উপস্থাপন করেন ‘মিডিয়া কনভারজেশন অ্যান্ড কালচার’ শীর্ষক প্রবন্ধ, কাজী এম আনিছুল ইসলাম উপস্থাপন করেন ‘অ্যাপ্লিকেশন ইন জার্নালিজম: প্ল্যাটফর্ম অর ফর্ম’ শীর্ষক প্রবন্ধ এবং ড. শেখ মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম ‘ইমপ্যাক্ট অব সোশ্যল মিডিয়া ইন মেইনস্ট্রিম জার্নালিজম’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এছাড়াও অনলাইনে ‘ডিকোডিং মিডিয়া কনভারজেন্স: পোস্ট প্যান্ডেমিক’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর উজ্জ্বল কে. চৌধুরী, সচিব, গ্লোবাল মিডিয়া এডুকেশন কাউন্সিল (সাবেক উপ-উপাচার্য, অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি), টেকনোলজিক্যাল কনভারজেন্স ইন সিনেমা শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আবীর শ্রেষ্ঠ, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও কর্মী, মিডিয়া কনভারজেন্স এবং ইয়ুথ এনগেজমেন্ট শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শেখ আদনান ফাহাদ, চেয়ারপারসন, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়।