নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় পরীক্ষা কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়প একজনকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েচে। তারা হলেন চাটখিল কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম ও একই উপজেলার সোমপাড়া ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক প্রশান্ত কুমার।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম মোসা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথম পরীক্ষার দিন এ আদেশ দেয় হয় এবং আজ সকালে ইউএনওর কার্যালয় থেকে চাটখিল কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষকে অব্যাহতির বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে মফিজুল ইসলাম অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ পরিস্থিতিতে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শক্রমে কেন্দ্রসচিবের দায়িত্ব থেকে তাকে অপসারণ করা হয়।
একই সাথে চাটখিল কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলামকে আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওই দায়িত্বে মল্লিকা দীঘিরপাড় ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল মান্নানকে কেন্দ্রসচিবের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মফিজুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘসময় করেনার কারণে পাঠদান বন্ধ থাকায় পরীক্ষাসংক্রান্ত বৈঠকে পরীক্ষা সহজভাবে নেওয়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। কিন্তু এর অর্থ এ নয়, পরীক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা দেওয়া হবে। এ ছাড়া কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তা কেন্দ্রে অবস্থানকালে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা কোনো ব্যক্তির স্মার্টফোন ব্যবহারের অনুমতি নেই। এ কারণে তিনি ওই কর্মকর্তাকে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। তবে এ সময় কোনো অশোভন আচরণের ঘটনা ঘটেনি।
অপরদিকে, চাটখিল উপজেলার সোমপাড়া ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করে দেওয়ার অভিযোগে প্রশান্ত কুমার নামের এক শিক্ষককে আট হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপহেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) এ এস এম মোসা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ অর্থদন্ড দেয়। একই সঙ্গে ওই শিক্ষককে পরীক্ষা কমিটির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র বলছে, গতকাল পদার্থবিজ্ঞানের পরীক্ষা চলাকালে প্রশান্ত কুমার এক পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করার সময় কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ইউএনও বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এরপর তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই শিক্ষককে আট হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয় এবং পরীক্ষা কমিটির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
শুক্রবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২১
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় পরীক্ষা কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগে দুই শিক্ষককে অব্যাহতি দিয়প একজনকে ৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েচে। তারা হলেন চাটখিল কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলাম ও একই উপজেলার সোমপাড়া ডিগ্রি কলেজে প্রভাষক প্রশান্ত কুমার।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এস এম মোসা বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, এর আগে বৃহস্পতিবার প্রথম পরীক্ষার দিন এ আদেশ দেয় হয় এবং আজ সকালে ইউএনওর কার্যালয় থেকে চাটখিল কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষকে অব্যাহতির বিষয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে মফিজুল ইসলাম অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ পরিস্থিতিতে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে পরামর্শক্রমে কেন্দ্রসচিবের দায়িত্ব থেকে তাকে অপসারণ করা হয়।
একই সাথে চাটখিল কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মফিজুল ইসলামকে আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রের কেন্দ্রসচিবের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে ওই দায়িত্বে মল্লিকা দীঘিরপাড় ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল মান্নানকে কেন্দ্রসচিবের দায়িত্বে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মফিজুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘসময় করেনার কারণে পাঠদান বন্ধ থাকায় পরীক্ষাসংক্রান্ত বৈঠকে পরীক্ষা সহজভাবে নেওয়ার বিষয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। কিন্তু এর অর্থ এ নয়, পরীক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা দেওয়া হবে। এ ছাড়া কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত ওই কর্মকর্তা কেন্দ্রে অবস্থানকালে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন। পরীক্ষার দায়িত্বে থাকা কোনো ব্যক্তির স্মার্টফোন ব্যবহারের অনুমতি নেই। এ কারণে তিনি ওই কর্মকর্তাকে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেছেন। তবে এ সময় কোনো অশোভন আচরণের ঘটনা ঘটেনি।
অপরদিকে, চাটখিল উপজেলার সোমপাড়া ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রে এক পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করে দেওয়ার অভিযোগে প্রশান্ত কুমার নামের এক শিক্ষককে আট হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার উপহেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) এ এস এম মোসা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এ অর্থদন্ড দেয়। একই সঙ্গে ওই শিক্ষককে পরীক্ষা কমিটির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র বলছে, গতকাল পদার্থবিজ্ঞানের পরীক্ষা চলাকালে প্রশান্ত কুমার এক পরীক্ষার্থীর ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করার সময় কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে ইউএনও বিষয়টি হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এরপর তাৎক্ষণিক ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ওই শিক্ষককে আট হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয় এবং পরীক্ষা কমিটির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।