ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা, চেঁচরিরামপুর ও আমুয়া ইউনিয়নের ৬০ হাজার মানুষ বছরের পর বছর ধরে সুপেয় পানির অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এতে লেগেই আছে পানিবাহিত রোগ ব্যাধি। উপকূলীয় অঞ্চল কাঁঠালিয়া উপজেলার এই তিনটি ইউনিয়ন বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি হওয়ায় নলকূপে পানি ওঠে লবণাক্ত। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বরিশাল জোনালল্যাব একটি ইউনিয়নে পরীক্ষা চালিয়ে আড়াই হাজার থেকে ৩০০০ পিপিএম পর্যন্ত লবণাক্ততা শনাক্ত করে, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। ১০০০ থেকে ১৫০০ পিপিএম পর্যন্ত লবণাক্ত পানি মানবদেহে সহনশীল। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা বৃষ্টির মৌসুমে পানি ধরে রাখেন বড় ট্যাঙ্কিতে। সেই পানি শেষ হয়ে গেলে শুরু হয় সুপেয় পানির অভাব। দুর্গম এই এলাকার অল্প আয়ের মানুষ বছরের পর বছর ধরেই পুকুর ও ডেবার পানিতে ফিটকিরি অথবা ওষুধ দিয়ে পরিষ্কার করে পান করছেন। যাদের সামর্থ নেই, তারা নেনা পানি দিয়ে রান্না, থালাবাসন ধোয়া ও গোসলের কাজ সারছেন।
কাঁঠালিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জানায়, তিনটি ইউনিয়নে অগভীর নলকূপ রয়েছে ৯৬টি, এর মধ্যে অকেজ রয়েছে ৮টি। আশির দশক থেকে এ পর্যন্ত সরকারিভাবে পুকুর পারে পানির ফিল্টার (পিএসএফ) স্থাপন করা হয় ১৭২টি। এগুলোর প্রায় সবই অকেজো। পরে লবণাক্ত দূরীকরণ প্লান্ট স্থাপন করে ৪টি, তাও নষ্টের পথে। পানির সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
ইউএনও জানালেন, কাঁঠালিয়াবাসীকে সুপেয় পানি সরবরাহে সরকার পাইপ লাইন চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে এটা শহর থেকে গ্রামেও পৌঁছানো হবে ।
তিনটি ইউনিয়নে সুপেয় পানির স্থায়ী ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং এর বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
শনিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২১
ঝালকাঠির কাঁঠালিয়া উপজেলার পাটিখালঘাটা, চেঁচরিরামপুর ও আমুয়া ইউনিয়নের ৬০ হাজার মানুষ বছরের পর বছর ধরে সুপেয় পানির অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। এতে লেগেই আছে পানিবাহিত রোগ ব্যাধি। উপকূলীয় অঞ্চল কাঁঠালিয়া উপজেলার এই তিনটি ইউনিয়ন বঙ্গোপসাগরের কাছাকাছি হওয়ায় নলকূপে পানি ওঠে লবণাক্ত। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বরিশাল জোনালল্যাব একটি ইউনিয়নে পরীক্ষা চালিয়ে আড়াই হাজার থেকে ৩০০০ পিপিএম পর্যন্ত লবণাক্ততা শনাক্ত করে, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। ১০০০ থেকে ১৫০০ পিপিএম পর্যন্ত লবণাক্ত পানি মানবদেহে সহনশীল। তাই স্থানীয় বাসিন্দারা বৃষ্টির মৌসুমে পানি ধরে রাখেন বড় ট্যাঙ্কিতে। সেই পানি শেষ হয়ে গেলে শুরু হয় সুপেয় পানির অভাব। দুর্গম এই এলাকার অল্প আয়ের মানুষ বছরের পর বছর ধরেই পুকুর ও ডেবার পানিতে ফিটকিরি অথবা ওষুধ দিয়ে পরিষ্কার করে পান করছেন। যাদের সামর্থ নেই, তারা নেনা পানি দিয়ে রান্না, থালাবাসন ধোয়া ও গোসলের কাজ সারছেন।
কাঁঠালিয়া জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর জানায়, তিনটি ইউনিয়নে অগভীর নলকূপ রয়েছে ৯৬টি, এর মধ্যে অকেজ রয়েছে ৮টি। আশির দশক থেকে এ পর্যন্ত সরকারিভাবে পুকুর পারে পানির ফিল্টার (পিএসএফ) স্থাপন করা হয় ১৭২টি। এগুলোর প্রায় সবই অকেজো। পরে লবণাক্ত দূরীকরণ প্লান্ট স্থাপন করে ৪টি, তাও নষ্টের পথে। পানির সমস্যা সমাধানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
ইউএনও জানালেন, কাঁঠালিয়াবাসীকে সুপেয় পানি সরবরাহে সরকার পাইপ লাইন চালুর পরিকল্পনা নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে এটা শহর থেকে গ্রামেও পৌঁছানো হবে ।
তিনটি ইউনিয়নে সুপেয় পানির স্থায়ী ব্যবস্থায় দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা গ্রহণ এবং এর বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।