ঘূর্ণিঝড় জোয়াদ দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হলেও জোয়ারের প্রভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ নতুন করে ভেঙে খুলনার কয়রা উপজেলার দুই গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
শনিবার রাতে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ায় উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাতিরঘেরী ও হরিহারপুর গ্রামের অন্তত ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম বলেন, জোয়াদের প্রভাবে ‘শাকবাড়িয়া’ নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। প্রবল স্রোত আর ঢেউয়ের ধাক্কায় শনিবার রাতে হরিহারপুর লঞ্চঘাটের পূর্বপাশ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ পুনরায় ভেঙে যায়।
চলতি বছরের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে একই স্থানে বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল জানিয়ে নুরুল বলেন, “তখন স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে ভেঙে যাওয়া পয়েন্টটি মেরামত করে। ওই স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার যথাসময়ে ‘সঠিকভাবে বাঁধ নির্মাণ না করায়’ আবার ভেঙে গেছে।”
গাতিরঘেরী গ্রামের গণেশ গাইন বলেন,“ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর প্রায় পাঁচ মাস পানিবন্দি ছিলাম। মাসখানেক আগে বাঁধ হওয়ায় মনে করেছিলাম বিধাতা হয়তো আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন। কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতিতে আবারও বাঁধ ভেঙে আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। জানি না এ দশা থেকে আবার কবে মুক্ত হব।
হরিহারপুর গ্রামের অনিমা মণ্ডল বলেন, “ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। ছয় মাস খুপরি ঘরে পরিবার নিয়ে বাস করেছি। বাঁধ হওয়ায় নতুন করে ঘর তৈরির স্বপ্ন দেখছিলাম। কিন্তু সেটা স্বপ্নই রয়ে গেল। আবারও পানিবন্দি হয়ে পড়েছি।”
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিভাগ-২) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মশিউল আবেদিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শাকবাড়িয়া নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হরিহারপুর লঞ্চঘাটের পূর্বপাশে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।
“ওই স্থানে ৪১০ মিটার পর্যন্ত টিউব দিয়ে রিং বাঁধ ও মাটি দিয়ে স্লোপ নির্মাণকাজের জন্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্স’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্য ওই এলাকার মানুষকে পানিবন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করা যাবে।”
এদিকে গাতিরঘেরী ও হরিহারপুর গ্রামের পানিবন্দি মানুষের জন্য ইতোমধ্যে খাদ্য সহায়তা ও কম্বল দেওয়া হয়েছে বলে কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাস জানান।
সোমবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২১
ঘূর্ণিঝড় জোয়াদ দুর্বল হয়ে লঘুচাপে পরিণত হলেও জোয়ারের প্রভাবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ নতুন করে ভেঙে খুলনার কয়রা উপজেলার দুই গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
শনিবার রাতে বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ায় উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাতিরঘেরী ও হরিহারপুর গ্রামের অন্তত ২০০ পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন।
উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম বলেন, জোয়াদের প্রভাবে ‘শাকবাড়িয়া’ নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়। প্রবল স্রোত আর ঢেউয়ের ধাক্কায় শনিবার রাতে হরিহারপুর লঞ্চঘাটের পূর্বপাশ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেড়িবাঁধ পুনরায় ভেঙে যায়।
চলতি বছরের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে একই স্থানে বাঁধ ভেঙে গিয়েছিল জানিয়ে নুরুল বলেন, “তখন স্থানীয় লোকজন স্বেচ্ছাশ্রমে ভেঙে যাওয়া পয়েন্টটি মেরামত করে। ওই স্থানে বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার যথাসময়ে ‘সঠিকভাবে বাঁধ নির্মাণ না করায়’ আবার ভেঙে গেছে।”
গাতিরঘেরী গ্রামের গণেশ গাইন বলেন,“ ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর প্রায় পাঁচ মাস পানিবন্দি ছিলাম। মাসখানেক আগে বাঁধ হওয়ায় মনে করেছিলাম বিধাতা হয়তো আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন। কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতিতে আবারও বাঁধ ভেঙে আমরা পানিবন্দি হয়ে পড়েছি। জানি না এ দশা থেকে আবার কবে মুক্ত হব।
হরিহারপুর গ্রামের অনিমা মণ্ডল বলেন, “ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। ছয় মাস খুপরি ঘরে পরিবার নিয়ে বাস করেছি। বাঁধ হওয়ায় নতুন করে ঘর তৈরির স্বপ্ন দেখছিলাম। কিন্তু সেটা স্বপ্নই রয়ে গেল। আবারও পানিবন্দি হয়ে পড়েছি।”
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিভাগ-২) উপ-সহকারী প্রকৌশলী মশিউল আবেদিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শাকবাড়িয়া নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হরিহারপুর লঞ্চঘাটের পূর্বপাশে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে।
“ওই স্থানে ৪১০ মিটার পর্যন্ত টিউব দিয়ে রিং বাঁধ ও মাটি দিয়ে স্লোপ নির্মাণকাজের জন্য প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্স’ নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্য ওই এলাকার মানুষকে পানিবন্দি অবস্থা থেকে মুক্ত করা যাবে।”
এদিকে গাতিরঘেরী ও হরিহারপুর গ্রামের পানিবন্দি মানুষের জন্য ইতোমধ্যে খাদ্য সহায়তা ও কম্বল দেওয়া হয়েছে বলে কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাস জানান।