ডিবি কার্যালয়ে ইমন, র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদ
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তথ্য ও সস্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের ফোনালাপের বিষয়ে চিত্রনায়ক ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাব। তার আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন ইমন।
ওই ফোনালাপটি প্রায় দুই বছর আগের, ২০২০ সালের মার্চে। তবে এ বিষয়টি তারা কাউকেই জানাননি। ইমন দাবি করছেন, চিত্রনায়িকা মাহির সঙ্গে মন্ত্রী মুরাদের কী কথা হয়েছে তা তিনি জানতেন না।
আর মাহি বলেছেন তিনি ‘একটা পরিস্থিতির শিকার’। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা এবং বলছেন তার ‘অনেক কিছু বলার আছে’।
মাহিকে তুলে নেয়া এবং ধর্ষণের যে হুমকি দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী মুরাদ, তার পরিপ্রেক্ষিতে পরে কিছু ঘটেছিল কিনা- সে বিষয়ে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে চিত্রনায়ক ইমনকে র্যাব কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ওই ফোনালাপ কিভাবে ফাঁস হলো, তাতে ইমনের কোন ভূমিকা আছে কি-না- সে বিষয়েও ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সংবাদকে জানিয়েছেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
‘নিরাপত্তার’ কথা ভেবে ডিবি অফিসে ইমন
ইমন বলছেন, নিজের ইচ্ছায় ডিবি অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। প্রথমে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে তিনি ডিবি কার্যালয়ে যান। পরে মঙ্গলবার দুপুর ফের ডিবি কার্যালয়ে যান এই চিত্রনায়ক।
ডিবি কার্যালয় থেকে ফিরে মঙ্গলবার সংবাদকে ইমন বলেন, ‘আমাকে ডাকা হয়নি, আমি নিজে থেকেই ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। আমাকে ডিবি কার্যালয় থেকে বলা হয়েছিল যে কোন ধরনের সমস্যা হলে তাদের জানাতে। ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর দিনভর আমার নাম্বারে অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসা শুরু হয়েছে। নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সেখানে গিয়েছিলাম। এ ছাড়া এই মাসের শেষদিকে আমার নতুন ছবির দাওয়াত দিতে আবার ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলাম।’
ইমন আরও বলেন, ‘কল রেকর্ড যখন ফাঁস হওয়ার পর থেকে সারাদিন এ নিয়ে আমাকে কথা বলতে হয়েছে। আমি নিজের অবস্থান সবাইকে পরিষ্কার করলেও, অনেক সহকর্মী আমাকে ভুল বোঝেন। কেউ কেউ আবার আমাকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে পোস্টও দেন। এসব আমাকে খুবই বিব্রত করেছে, কষ্ট দিয়েছে। বিপর্যস্ত আমি, তাই হারুন ভাইয়ের (যুগ্ম কমিশনার, ডিবি) সঙ্গে কথা বলতে রাতেই তার অফিসে দেখা করতে যাই। আমার অবস্থান তার কাছে পরিষ্কার করি। এরপর এসব বিষয়ে আমার কী করণীয়, সে ব্যাপারে পরামর্শও চেয়েছি। তিনিও আমাকে সেই পরামর্শ দিয়েছেন। এরপর চা খেয়ে আমি চলে আসি।’
ইমন জানিয়েছেন, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের তাদের ফোনালাপ দুই বছর আগের (২০২০ সালের মার্চে)। এতদিন এই ঘটনা কেন তিনি প্রকাশ করেননি এমন প্রশ্নে চিত্রনায়ক ইমন বলেন, ‘উনি প্রথমেই বলেছেন, ‘তুই ফোন ধরস নাই কেন?’ আগের দিন ফোন ধরিনি বলে রেগেছিলেন। বাকি আলাপ তো সবাই শুনেছেন। এই কথা কি কাউকে জানানোর কথা? ফোনে মাহির সঙ্গে কী আলাপ হয়েছে সেটা জানতাম না। সেটা আমি জেনেছি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর। এই বিষয়টা আগে জানলে সবাইকে জানাতাম।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছার কথা জানালেন মাহি
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি এখন ওমরাহ? করতে সৌদি আরবে আছেন। সোমবার রাতে মক্কা থেকে এক ফেইসবুক লাইভে সেই কথোপকথনের সত্যতা জানিয়েছেন মাহি।
এবার সেই বিষয়ে নিজের ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মাহিয়া মাহি। ফেইসবুক পোস্টে ওমরাহ থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।
মঙ্গলবার বিকেলে ফেইসবুক পোস্টে মাহি লিখেছেন, ‘ওমরাহ থেকে ফিরেই আমার প্রথম এবং একমাত্র চাওয়া আমি আমাদের সবার অভিভাবক, আমাদের মমতাময়ী মা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ৩০ সেকেন্ডের জন্য হলেও দেখা করতে চাই। অনেক কিছু বলার আছে। এই মনোবাসনা নিয়েই আমি মক্কা ত্যাগ করবো। আমার বিশ্বাস এই চাওয়া ব্যর্থ হবে না।’
এর আগে সোমবার রাতে মক্কা থেকে এক ফেইসবুক লাইভে মাহি বলেন, ‘আমি কষ্ট পেয়েছি, যার মাধ্যমে কষ্ট পেয়েছি, কোন না কোনভাবে তিনি তার রেজাল্টটা পেয়েছেন।
‘আমার কোন দোষ ছিল না, আমি একটা পরিস্থিতির শিকার ছিলাম,’ বলেন মাহি।
সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে গাজীপুরের ব্যবসায়ী রাকিব সরকারের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন মাহি। তাকে নিয়ে ২৪ নভেম্বর ওমরাহ করতে গেছেন তিনি।
ডিবি কার্যালয়ে ইমন, র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদ
মঙ্গলবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২১
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সঙ্গে তথ্য ও সস্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের ফোনালাপের বিষয়ে চিত্রনায়ক ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র্যাব। তার আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে গিয়েছিলেন ইমন।
ওই ফোনালাপটি প্রায় দুই বছর আগের, ২০২০ সালের মার্চে। তবে এ বিষয়টি তারা কাউকেই জানাননি। ইমন দাবি করছেন, চিত্রনায়িকা মাহির সঙ্গে মন্ত্রী মুরাদের কী কথা হয়েছে তা তিনি জানতেন না।
আর মাহি বলেছেন তিনি ‘একটা পরিস্থিতির শিকার’। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা এবং বলছেন তার ‘অনেক কিছু বলার আছে’।
মাহিকে তুলে নেয়া এবং ধর্ষণের যে হুমকি দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী মুরাদ, তার পরিপ্রেক্ষিতে পরে কিছু ঘটেছিল কিনা- সে বিষয়ে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) বিকেলে চিত্রনায়ক ইমনকে র্যাব কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
ওই ফোনালাপ কিভাবে ফাঁস হলো, তাতে ইমনের কোন ভূমিকা আছে কি-না- সে বিষয়েও ইমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে সংবাদকে জানিয়েছেন র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
‘নিরাপত্তার’ কথা ভেবে ডিবি অফিসে ইমন
ইমন বলছেন, নিজের ইচ্ছায় ডিবি অফিসে গিয়েছিলেন তিনি। প্রথমে সোমবার (৬ ডিসেম্বর) রাতে তিনি ডিবি কার্যালয়ে যান। পরে মঙ্গলবার দুপুর ফের ডিবি কার্যালয়ে যান এই চিত্রনায়ক।
ডিবি কার্যালয় থেকে ফিরে মঙ্গলবার সংবাদকে ইমন বলেন, ‘আমাকে ডাকা হয়নি, আমি নিজে থেকেই ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলাম। আমাকে ডিবি কার্যালয় থেকে বলা হয়েছিল যে কোন ধরনের সমস্যা হলে তাদের জানাতে। ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর দিনভর আমার নাম্বারে অপরিচিত নাম্বার থেকে ফোন আসা শুরু হয়েছে। নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবেই সেখানে গিয়েছিলাম। এ ছাড়া এই মাসের শেষদিকে আমার নতুন ছবির দাওয়াত দিতে আবার ডিবি কার্যালয়ে গিয়েছিলাম।’
ইমন আরও বলেন, ‘কল রেকর্ড যখন ফাঁস হওয়ার পর থেকে সারাদিন এ নিয়ে আমাকে কথা বলতে হয়েছে। আমি নিজের অবস্থান সবাইকে পরিষ্কার করলেও, অনেক সহকর্মী আমাকে ভুল বোঝেন। কেউ কেউ আবার আমাকে ইঙ্গিত করে ফেসবুকে পোস্টও দেন। এসব আমাকে খুবই বিব্রত করেছে, কষ্ট দিয়েছে। বিপর্যস্ত আমি, তাই হারুন ভাইয়ের (যুগ্ম কমিশনার, ডিবি) সঙ্গে কথা বলতে রাতেই তার অফিসে দেখা করতে যাই। আমার অবস্থান তার কাছে পরিষ্কার করি। এরপর এসব বিষয়ে আমার কী করণীয়, সে ব্যাপারে পরামর্শও চেয়েছি। তিনিও আমাকে সেই পরামর্শ দিয়েছেন। এরপর চা খেয়ে আমি চলে আসি।’
ইমন জানিয়েছেন, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের তাদের ফোনালাপ দুই বছর আগের (২০২০ সালের মার্চে)। এতদিন এই ঘটনা কেন তিনি প্রকাশ করেননি এমন প্রশ্নে চিত্রনায়ক ইমন বলেন, ‘উনি প্রথমেই বলেছেন, ‘তুই ফোন ধরস নাই কেন?’ আগের দিন ফোন ধরিনি বলে রেগেছিলেন। বাকি আলাপ তো সবাই শুনেছেন। এই কথা কি কাউকে জানানোর কথা? ফোনে মাহির সঙ্গে কী আলাপ হয়েছে সেটা জানতাম না। সেটা আমি জেনেছি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর। এই বিষয়টা আগে জানলে সবাইকে জানাতাম।’
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছার কথা জানালেন মাহি
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি এখন ওমরাহ? করতে সৌদি আরবে আছেন। সোমবার রাতে মক্কা থেকে এক ফেইসবুক লাইভে সেই কথোপকথনের সত্যতা জানিয়েছেন মাহি।
এবার সেই বিষয়ে নিজের ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন মাহিয়া মাহি। ফেইসবুক পোস্টে ওমরাহ থেকে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন এই চিত্রনায়িকা।
মঙ্গলবার বিকেলে ফেইসবুক পোস্টে মাহি লিখেছেন, ‘ওমরাহ থেকে ফিরেই আমার প্রথম এবং একমাত্র চাওয়া আমি আমাদের সবার অভিভাবক, আমাদের মমতাময়ী মা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ৩০ সেকেন্ডের জন্য হলেও দেখা করতে চাই। অনেক কিছু বলার আছে। এই মনোবাসনা নিয়েই আমি মক্কা ত্যাগ করবো। আমার বিশ্বাস এই চাওয়া ব্যর্থ হবে না।’
এর আগে সোমবার রাতে মক্কা থেকে এক ফেইসবুক লাইভে মাহি বলেন, ‘আমি কষ্ট পেয়েছি, যার মাধ্যমে কষ্ট পেয়েছি, কোন না কোনভাবে তিনি তার রেজাল্টটা পেয়েছেন।
‘আমার কোন দোষ ছিল না, আমি একটা পরিস্থিতির শিকার ছিলাম,’ বলেন মাহি।
সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে গাজীপুরের ব্যবসায়ী রাকিব সরকারের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছেন মাহি। তাকে নিয়ে ২৪ নভেম্বর ওমরাহ করতে গেছেন তিনি।