নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামার কথা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের দুই নম্বর রেলগেইটে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এই অভিযোগ তোলেন তিনি। এই সময় নৌকার মনোনয়ন পাওয়ায় ফুলের নৌকা দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
বক্ত্যবে সিটি নির্বাচনে নৌকার জন্য মনোনীত প্রার্থী আইভী বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে নৌকা দিয়েছেন। এই নৌকা নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, দাঙ্গা-হাঙ্গামার কথা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জকে অস্থির করার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও বলেন, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থী দিয়ে কীভাবে নির্বাচনকে বানচাল করা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মনোবল মনোবল ভেঙে দিয়ে নেতাদের অস্থির করার জন্য এইসব করা হচ্ছে। আইভী বলেন, ‘দয়া করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা চিন্তা করে দেখুন। ভেবে দেখুন, উনি যেই প্রার্থী দিয়েছেন তার বিরোধীতা করবেন নাকি নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখবেন। বেশি বাড়াবাড়ি ভালো না। একজন প্রতিমন্ত্রীর অবস্থা কী হয়েছে তা আপনারা দেখেছেন। এই ধরনের ন্যাক্কারজনক কোনো ঘটনা এখানে ঘটুক তা আমি চাই না।’
নাম উল্লেখ না করে দলীয় কয়েকজন নেতার প্রতি আক্ষেপ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বলেন, দল গতবারও তাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। এইবারও দলীয় নেতারা তার পক্ষেই কাজ করছেন। আইভী বলেন, ‘যারা নৌকার পক্ষে কাজ করার এই সুযোগটা নিতে পারলো না, আমি মনে করি তারা দলের প্রতি আস্থা প্রকাশ করলেন না।’
‘নারায়ণগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে নৌকাকে দাবিয়ে রেখে লাঙ্গলকে জেতানো হয়েছে’ বলেও অভিযোগ তোলেন সরকারদলীয় সিটি মেয়র। তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য হয়েও লাঙ্গলকে পাস করানো হয়েছে। বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউপিতে মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজিম উদ্দিনকে নাটকীয়ভাবে পরাজিত করানো হয়েছে বলেও অভিযোগ আইভীর। তিনি বলেন, ‘অতীতেও নৌকার ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা হয়েছে। পুরোনো কথা বলতে চাই না।’
সিটি নির্বাচনে বিভেদ ভুলে ‘নৌকায় ওঠার’ আহ্বান জানিয়ে আইভী বলেন, ‘দলের প্রতি সবসময় আস্থাশীল ছিলাম, আমৃত্যু থাকবো। সকলের সহযোগিতা চাই। আপনাদের সহযোগিতায় নৌকার বিজয় চাই। শেখ হাসিনাকে হারিয়ে আমরা যেন দিশেহারা না হয়ে যাই। একসাথে নৌকায় উঠি, নৌকাকে জিতিয়ে আনি।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দিপু, তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী, আড়াইহাজার পৌরসভার মেয়র সুন্দর আলী, রূপগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি নীলা, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল কাদির, আদিনাথ বসু, আসাদুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আইভী ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগের তিনজন নেতা নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তারা তিনজনই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন। নৌকার জন্য মনোনীত হওয়ার পর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ পৃথক দু’টি সভা করে দলীয় প্রার্থী আইভীকে সমর্থন দিলেও মনোনয়ন বঞ্চিত তিন নেতা অনুপস্থিত ছিলেন। ছিলেন না সাংসদ শামীম ওসমানের অনুসারী অন্য নেতারাও।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্র বলছে, সাংসদ শামীম ওসমান ও সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরোধ অনেক পুরোনো। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের একটি অংশকে এখনও নেতৃত্ব দেন শামীম ওসমান। এই অংশটি আইভীকে নৌকার মনোনয়ন না দেওয়ার জন্যও বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আওয়াজ তুলেছিলেন।
বুধবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ‘বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে এবং দাঙ্গা-হাঙ্গামার কথা হচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে শহরের দুই নম্বর রেলগেইটে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে এই অভিযোগ তোলেন তিনি। এই সময় নৌকার মনোনয়ন পাওয়ায় ফুলের নৌকা দিয়ে তাকে শুভেচ্ছা জানায় জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।
বক্ত্যবে সিটি নির্বাচনে নৌকার জন্য মনোনীত প্রার্থী আইভী বলেন, আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে নৌকা দিয়েছেন। এই নৌকা নিয়ে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে, দাঙ্গা-হাঙ্গামার কথা হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জকে অস্থির করার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি আরও বলেন, হেফাজতে ইসলামসহ বিভিন্ন দলের প্রার্থী দিয়ে কীভাবে নির্বাচনকে বানচাল করা যায় সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের মনোবল মনোবল ভেঙে দিয়ে নেতাদের অস্থির করার জন্য এইসব করা হচ্ছে। আইভী বলেন, ‘দয়া করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা চিন্তা করে দেখুন। ভেবে দেখুন, উনি যেই প্রার্থী দিয়েছেন তার বিরোধীতা করবেন নাকি নিজেদের অস্তিত্ব বজায় রাখবেন। বেশি বাড়াবাড়ি ভালো না। একজন প্রতিমন্ত্রীর অবস্থা কী হয়েছে তা আপনারা দেখেছেন। এই ধরনের ন্যাক্কারজনক কোনো ঘটনা এখানে ঘটুক তা আমি চাই না।’
নাম উল্লেখ না করে দলীয় কয়েকজন নেতার প্রতি আক্ষেপ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বলেন, দল গতবারও তাকে মনোনয়ন দিয়েছিলেন। এইবারও দলীয় নেতারা তার পক্ষেই কাজ করছেন। আইভী বলেন, ‘যারা নৌকার পক্ষে কাজ করার এই সুযোগটা নিতে পারলো না, আমি মনে করি তারা দলের প্রতি আস্থা প্রকাশ করলেন না।’
‘নারায়ণগঞ্জে ইউপি নির্বাচনে নৌকাকে দাবিয়ে রেখে লাঙ্গলকে জেতানো হয়েছে’ বলেও অভিযোগ তোলেন সরকারদলীয় সিটি মেয়র। তিনি বলেন, জেলা আওয়ামী লীগের পদধারী নেতা এবং আওয়ামী লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য হয়েও লাঙ্গলকে পাস করানো হয়েছে। বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউপিতে মধ্যরাতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী কাজিম উদ্দিনকে নাটকীয়ভাবে পরাজিত করানো হয়েছে বলেও অভিযোগ আইভীর। তিনি বলেন, ‘অতীতেও নৌকার ব্যালট বাক্স ছিনতাই করা হয়েছে। পুরোনো কথা বলতে চাই না।’
সিটি নির্বাচনে বিভেদ ভুলে ‘নৌকায় ওঠার’ আহ্বান জানিয়ে আইভী বলেন, ‘দলের প্রতি সবসময় আস্থাশীল ছিলাম, আমৃত্যু থাকবো। সকলের সহযোগিতা চাই। আপনাদের সহযোগিতায় নৌকার বিজয় চাই। শেখ হাসিনাকে হারিয়ে আমরা যেন দিশেহারা না হয়ে যাই। একসাথে নৌকায় উঠি, নৌকাকে জিতিয়ে আনি।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাইয়ের সভাপতিত্বে এই সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য আনিসুর রহমান দিপু, তারাব পৌরসভার মেয়র হাছিনা গাজী, আড়াইহাজার পৌরসভার মেয়র সুন্দর আলী, রূপগঞ্জ উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি নীলা, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল কাদির, আদিনাথ বসু, আসাদুজ্জামান, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আইভী ছাড়াও স্থানীয় আওয়ামী লীগের তিনজন নেতা নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। তারা তিনজনই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের ঘনিষ্ঠজন। নৌকার জন্য মনোনীত হওয়ার পর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ পৃথক দু’টি সভা করে দলীয় প্রার্থী আইভীকে সমর্থন দিলেও মনোনয়ন বঞ্চিত তিন নেতা অনুপস্থিত ছিলেন। ছিলেন না সাংসদ শামীম ওসমানের অনুসারী অন্য নেতারাও।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ সূত্র বলছে, সাংসদ শামীম ওসমান ও সিটি মেয়র ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভীর বিরোধ অনেক পুরোনো। নারায়ণগঞ্জে আওয়ামী লীগের একটি অংশকে এখনও নেতৃত্ব দেন শামীম ওসমান। এই অংশটি আইভীকে নৌকার মনোনয়ন না দেওয়ার জন্যও বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আওয়াজ তুলেছিলেন।