ভোলার চরফ্যাসনের ঢালচরের দক্ষিনে সাগর মোহনায় ট্রলিং জাহাজের ধাক্কায় মাছ ধরা ট্রলার ডুবির ৪ দিন পরও নিখোঁজ ২০ জেলের হদিস মেলেনি। দূর্ঘটনাস্থল থেকে হাফেজ আহমেদ খন্দকার নামের এক জেলে বেঁচে ফিরলেও অপর নিখোঁজ ২০ জেলের জীবন নিয়ে রয়েছে অজানা আশংস্কা।
নিখোঁজ জেলেদের নিয়ে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। বাড়ি বাড়ি চলছে বিলাপ। জেলে পরিবার গুলো জীবিত বা মৃত ফিরে পেতে চায় নিখোঁজ স্বজনদেরকে। কোস্টগার্ড ও স্বজনরা আলাদাভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করলেও নিখোঁজদের কোন সন্ধান করতে পারেনি। উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রয়া জানিয়েছে নিখোঁজদের স্বজনরা। জীবিত না পেলে স্বজনের মরদেহ হলেও ফেরত পেতে চায় নিখোঁজ জেলেদের স্ত্রী- সন্তানরা।
জীবিত বেঁচে ফেরা হাফিজ আহমেদ বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে বেপরোয়া নৌযান চালিয়ে জেলেদের জীবন বিপন্ন করার অভিযোগে এফবি এস আর এল -৫ নামের ট্রলিং জাহাজের কর্তৃপক্ষকসহ অজ্ঞাতনামা আসামী করে দক্ষিণ আইচা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশ দায়ের করা মামলাটি তদন্তের জন্য ভোলার মির্জাকালু নৌ-পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হস্তান্তর করেছেন বলে গতকাল বুধবার বিকালে দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মো. সাখাওয়াত হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারে বাদী হাফেজ আহামেদ দাবী করেন, ঘটনার রাতে তারা মাছ ধরার কাজে সাগরে ছিলেন। আবহাওয়ার সংকেত শুনে তারা(জেলেরা) তীরে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি এবং অপর জেলেরা ট্রলারের ওপরে দাড়িয়ে ছিলেন। এসময়ে বিপরিত দিক থেকে আসা এফবি এস আর এল -৫ নামের ট্রলিং জাহাজ( মাছ ধরার ষ্টিল বডির বিশেষ জাহাজ) তাদের ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে মুহুর্তের মধ্যে ট্রলারে থাকা জেলেরা গভীর সাগরে ছিটকে পরে। দূর্ঘটনার কবল থেকে তাদের উদ্ধারে আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের সামছল কোম্পানির মালিকানাধীন ট্রলারের মাঝি আলাউদ্দিন এগিয়ে এলে ওই ট্রলিং জাহাজটি তাদেরকে ধাওয়া করলে ট্রলারের মাঝি আলাউদ্দিন সাগরে ভাসমান জেলেদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন। তীব্র ¯্রােতের টানে সাগরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভেসে যায় অপর জেলেরা। তিনি তাদের ট্রলার থেকে ভেঙে যাওয়া একটি কাঠের ফালা ধরে সাগরে ভাসতে থাকেন। রাতভর সাগরে ভেসে থাকার পর সকালে মহিপুর ঘাটের একটি মাছ ধরা ট্রলার তাকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসেন। এঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ট্রলিং জাহাজের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
ভোলার মির্জাকালু নৌ- পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই রুহুল আমিন জানান,জেলে হাফেজের দায়ের করা মামলাটি তদন্ত চলছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চর মনিকার কোষ্টগাডের কন্ট্রিজেনন্ট কমান্ডার হারুন অর রশিদ জানান, নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কোষ্টগার্ডের একাধিক টিম কাজ করছেন। তাদের উদ্ধার অভিযান অব্যহত রয়েছে।
বুধবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২১
ভোলার চরফ্যাসনের ঢালচরের দক্ষিনে সাগর মোহনায় ট্রলিং জাহাজের ধাক্কায় মাছ ধরা ট্রলার ডুবির ৪ দিন পরও নিখোঁজ ২০ জেলের হদিস মেলেনি। দূর্ঘটনাস্থল থেকে হাফেজ আহমেদ খন্দকার নামের এক জেলে বেঁচে ফিরলেও অপর নিখোঁজ ২০ জেলের জীবন নিয়ে রয়েছে অজানা আশংস্কা।
নিখোঁজ জেলেদের নিয়ে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। বাড়ি বাড়ি চলছে বিলাপ। জেলে পরিবার গুলো জীবিত বা মৃত ফিরে পেতে চায় নিখোঁজ স্বজনদেরকে। কোস্টগার্ড ও স্বজনরা আলাদাভাবে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করলেও নিখোঁজদের কোন সন্ধান করতে পারেনি। উদ্ধার তৎপরতা নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রয়া জানিয়েছে নিখোঁজদের স্বজনরা। জীবিত না পেলে স্বজনের মরদেহ হলেও ফেরত পেতে চায় নিখোঁজ জেলেদের স্ত্রী- সন্তানরা।
জীবিত বেঁচে ফেরা হাফিজ আহমেদ বাদী হয়ে মঙ্গলবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে বেপরোয়া নৌযান চালিয়ে জেলেদের জীবন বিপন্ন করার অভিযোগে এফবি এস আর এল -৫ নামের ট্রলিং জাহাজের কর্তৃপক্ষকসহ অজ্ঞাতনামা আসামী করে দক্ষিণ আইচা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। দক্ষিণ আইচা থানা পুলিশ দায়ের করা মামলাটি তদন্তের জন্য ভোলার মির্জাকালু নৌ-পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে হস্তান্তর করেছেন বলে গতকাল বুধবার বিকালে দক্ষিণ আইচা থানার ওসি মো. সাখাওয়াত হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
এজাহারে বাদী হাফেজ আহামেদ দাবী করেন, ঘটনার রাতে তারা মাছ ধরার কাজে সাগরে ছিলেন। আবহাওয়ার সংকেত শুনে তারা(জেলেরা) তীরে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি এবং অপর জেলেরা ট্রলারের ওপরে দাড়িয়ে ছিলেন। এসময়ে বিপরিত দিক থেকে আসা এফবি এস আর এল -৫ নামের ট্রলিং জাহাজ( মাছ ধরার ষ্টিল বডির বিশেষ জাহাজ) তাদের ট্রলারটিকে ধাক্কা দিলে মুহুর্তের মধ্যে ট্রলারে থাকা জেলেরা গভীর সাগরে ছিটকে পরে। দূর্ঘটনার কবল থেকে তাদের উদ্ধারে আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের সামছল কোম্পানির মালিকানাধীন ট্রলারের মাঝি আলাউদ্দিন এগিয়ে এলে ওই ট্রলিং জাহাজটি তাদেরকে ধাওয়া করলে ট্রলারের মাঝি আলাউদ্দিন সাগরে ভাসমান জেলেদের উদ্ধার করতে ব্যর্থ হন। তীব্র ¯্রােতের টানে সাগরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভেসে যায় অপর জেলেরা। তিনি তাদের ট্রলার থেকে ভেঙে যাওয়া একটি কাঠের ফালা ধরে সাগরে ভাসতে থাকেন। রাতভর সাগরে ভেসে থাকার পর সকালে মহিপুর ঘাটের একটি মাছ ধরা ট্রলার তাকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে আসেন। এঘটনায় তিনি বাদী হয়ে ট্রলিং জাহাজের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন।
ভোলার মির্জাকালু নৌ- পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস আই রুহুল আমিন জানান,জেলে হাফেজের দায়ের করা মামলাটি তদন্ত চলছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চর মনিকার কোষ্টগাডের কন্ট্রিজেনন্ট কমান্ডার হারুন অর রশিদ জানান, নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে কোষ্টগার্ডের একাধিক টিম কাজ করছেন। তাদের উদ্ধার অভিযান অব্যহত রয়েছে।