প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদ খান। তিনি ছিলেন কটিয়াদী থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমান্ডার। ৭১ এর রণাঙ্গনে এ অঞ্চলে একজন চৌকষ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি। ২৭ বছর আগে স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে মারা যান। এরপর থেকেই অভাব-অনটনে দিন কাটে পরিবারটির। বর্তমানে তার বিধবা স্ত্রী মিনা আক্তার (৬৯) ও প্রতিবন্ধী মেয়ে কল্পনা আক্তার (৪৩) একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। মুজিববর্ষে সরকারের কাছ থেকে একটি ঘর পাওয়ার বুক ভরা আশা নিয়ে অপেক্ষায় আছে তারা।
জানা যায়, কটিয়াদী পৌর এলাকার পুরাতন শহীদ মিনার সংলগ্ন সরকারি মাঠের এককোনে অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে প্রায় ১৪-১৫টি পরিবার বসবাস করে। এরমধ্যে একটি জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদ খানের বিধবা স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী মেয়ে।
মিনা আক্তার বলেন, ২৭ বছর আগে আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করে। দুই ছেলে কটিয়াদীর বাইরে থাকে, আর ছোট মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বর্তমানে বড় মেয়ে কল্পনাকে নিয়ে সরকারি জায়গায় অস্থায়ীভাবে একটি ছোট ঘর তুলে বসবাস করছি। মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতার টাকা দিয়ে কোন রকমে সংসার চলছে। আমার ঘর নেই ও দূরাবস্থার কথা মুক্তিযোদ্ধাসহ সকলেই জানে। তারপরও আজ পর্যন্ত একটি সরকারি বরাদ্দের ঘর পাওয়া হলো না আমার। প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডারের কাছে একটি ঘরের জন্য আবেদন করেও ঘর না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। মেয়ে কল্পনা বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রতিবন্ধী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে থাকার জন্য একটা ঘর চাই।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কামান্ডার তুলসী কান্তি রাউত ও সাবেক উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার মো. ইসরাইল বলেন, নিজস্ব জায়গা না থাকায় ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় পরিবারটিকে ঘর বরাদ্দ দেয়া যাচ্ছে না। কিভাবে অতি দ্রুত তাদের একটি ঘর দেয়া যায় সে ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান বলেন, প্রয়াত ওয়াহিদ খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার পরিবার ঘরহীন অবস্থায় আছে এটা আমার জন্য বেদনাদায়ক।
বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১
প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদ খান। তিনি ছিলেন কটিয়াদী থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমান্ডার। ৭১ এর রণাঙ্গনে এ অঞ্চলে একজন চৌকষ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি। ২৭ বছর আগে স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে মারা যান। এরপর থেকেই অভাব-অনটনে দিন কাটে পরিবারটির। বর্তমানে তার বিধবা স্ত্রী মিনা আক্তার (৬৯) ও প্রতিবন্ধী মেয়ে কল্পনা আক্তার (৪৩) একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। মুজিববর্ষে সরকারের কাছ থেকে একটি ঘর পাওয়ার বুক ভরা আশা নিয়ে অপেক্ষায় আছে তারা।
জানা যায়, কটিয়াদী পৌর এলাকার পুরাতন শহীদ মিনার সংলগ্ন সরকারি মাঠের এককোনে অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে প্রায় ১৪-১৫টি পরিবার বসবাস করে। এরমধ্যে একটি জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদ খানের বিধবা স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী মেয়ে।
মিনা আক্তার বলেন, ২৭ বছর আগে আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করে। দুই ছেলে কটিয়াদীর বাইরে থাকে, আর ছোট মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বর্তমানে বড় মেয়ে কল্পনাকে নিয়ে সরকারি জায়গায় অস্থায়ীভাবে একটি ছোট ঘর তুলে বসবাস করছি। মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতার টাকা দিয়ে কোন রকমে সংসার চলছে। আমার ঘর নেই ও দূরাবস্থার কথা মুক্তিযোদ্ধাসহ সকলেই জানে। তারপরও আজ পর্যন্ত একটি সরকারি বরাদ্দের ঘর পাওয়া হলো না আমার। প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডারের কাছে একটি ঘরের জন্য আবেদন করেও ঘর না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। মেয়ে কল্পনা বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রতিবন্ধী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে থাকার জন্য একটা ঘর চাই।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কামান্ডার তুলসী কান্তি রাউত ও সাবেক উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার মো. ইসরাইল বলেন, নিজস্ব জায়গা না থাকায় ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় পরিবারটিকে ঘর বরাদ্দ দেয়া যাচ্ছে না। কিভাবে অতি দ্রুত তাদের একটি ঘর দেয়া যায় সে ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা চেষ্টা করছি।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান বলেন, প্রয়াত ওয়াহিদ খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার পরিবার ঘরহীন অবস্থায় আছে এটা আমার জন্য বেদনাদায়ক।