alt

সারাদেশ

স্থায়ী ঠাঁই চায় মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী মেয়ে

প্রতিনিধি, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) : বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১

কটিয়াদি (কিশোরগঞ্জ) : প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদ খানের জরাজীর্ণ বাড়ি -সংবাদ

প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদ খান। তিনি ছিলেন কটিয়াদী থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমান্ডার। ৭১ এর রণাঙ্গনে এ অঞ্চলে একজন চৌকষ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি। ২৭ বছর আগে স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে মারা যান। এরপর থেকেই অভাব-অনটনে দিন কাটে পরিবারটির। বর্তমানে তার বিধবা স্ত্রী মিনা আক্তার (৬৯) ও প্রতিবন্ধী মেয়ে কল্পনা আক্তার (৪৩) একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। মুজিববর্ষে সরকারের কাছ থেকে একটি ঘর পাওয়ার বুক ভরা আশা নিয়ে অপেক্ষায় আছে তারা।

জানা যায়, কটিয়াদী পৌর এলাকার পুরাতন শহীদ মিনার সংলগ্ন সরকারি মাঠের এককোনে অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে প্রায় ১৪-১৫টি পরিবার বসবাস করে। এরমধ্যে একটি জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদ খানের বিধবা স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী মেয়ে।

মিনা আক্তার বলেন, ২৭ বছর আগে আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করে। দুই ছেলে কটিয়াদীর বাইরে থাকে, আর ছোট মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বর্তমানে বড় মেয়ে কল্পনাকে নিয়ে সরকারি জায়গায় অস্থায়ীভাবে একটি ছোট ঘর তুলে বসবাস করছি। মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতার টাকা দিয়ে কোন রকমে সংসার চলছে। আমার ঘর নেই ও দূরাবস্থার কথা মুক্তিযোদ্ধাসহ সকলেই জানে। তারপরও আজ পর্যন্ত একটি সরকারি বরাদ্দের ঘর পাওয়া হলো না আমার। প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডারের কাছে একটি ঘরের জন্য আবেদন করেও ঘর না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। মেয়ে কল্পনা বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রতিবন্ধী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে থাকার জন্য একটা ঘর চাই।

সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কামান্ডার তুলসী কান্তি রাউত ও সাবেক উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার মো. ইসরাইল বলেন, নিজস্ব জায়গা না থাকায় ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় পরিবারটিকে ঘর বরাদ্দ দেয়া যাচ্ছে না। কিভাবে অতি দ্রুত তাদের একটি ঘর দেয়া যায় সে ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান বলেন, প্রয়াত ওয়াহিদ খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার পরিবার ঘরহীন অবস্থায় আছে এটা আমার জন্য বেদনাদায়ক।

ছবি

কক্সবাজারে জলকেলি উৎসবের সমাপনীতে আলোকিত জীবনের প্রত্যাশা

ছবি

মায়ানমারের বিজিপির আরও ২৪ সদস্য বাংলাদেশে

ছবি

রাজশাহীতে মোটরসাইকেলে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ৩

ছবি

ইউএসএআইডি এবং সিমিট প্রতিনিধি দলের বারি পরিদর্শন

ছবি

পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনে নারীর ঝুলন্ত মরদেহ

ছবি

‘আনন্দে’ শুরুর পর সড়কের ঈদযাত্রা কেন ‘বিষাদে’

ছবি

ঘটনা চাপা দিতে ১৫০ বস্তা সিমেন্ট সরিয়ে ফেলার অভিযোগ

মীরসরাইয়ে শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি, ঘরের চাল ছিদ্র হয়ে গেছে

ছবি

মাধবপুরে বিরল প্রজাতির লজ্জাবতী বানর উদ্ধার

ছবি

টঙ্গীতে আগুনে পুড়ল ১২টি খাদ্য গুদাম

ছবি

জলকেলি উৎসবে মুখরিত কক্সবাজরের রাখাইন পল্লী

শেরপুরে বিনামূল্যে সার বীজ বিতরণ উদ্বোধন

কেশবপুরে সকাল-সন্ধ্যা বাজারের দখল নিয়ে দু’পক্ষ মুখোমুখি উচ্ছেদ আতঙ্কে অর্ধশতাধিক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী

ছবি

ভালুকায় বোরো ধানে চিটা কৃষকের মাথায় হাত

ছবি

ভালুকায় বোরো ধানে চিটা কৃষকের মাথায় হাত

ছবি

গোবিন্দগঞ্জে সরকারি রাস্তার ১২০টি গাছ কর্তনের অভিযোগ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে

পুঠিয়ায় শাশুড়িকে হত্যা করেন পুত্রবধূ

ছবি

মির্জাগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

ছবি

নড়াইলের শ্রীনগর গ্রামে ভ্যানচালককে পুলিশি হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন

ছবি

প্রচণ্ড তাপদাহে পুড়ছে বাগান, ঝরছে আম, শঙ্কায় চাষীরা

ছবি

প্রেমিকার ওপর অভিমান প্রেমিকের আত্মহত্যা

ছবি

শ্যামনগর পদ্মপুকুরের প্রধান সড়কের একাংশ যেন বালুর স্তুপে পরিণত

আমার চেয়ে খারাপ লোক এ জেলায় নাই : তাহেরপুত্র বিপ্লব

ছবি

কক্সবাজারে রিসোর্টে পযটক তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত গ্রেপ্তার

ছবি

ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতের পরিবার পাবে ৫ লাখ টাকা

ছবি

সুনামগঞ্জে বাস-অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ২

ছবি

টোলপ্লাজায় ট্রাকের ধাক্কা, নিহত ১৪

ছবি

গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন, বেশিরভাগ অঞ্চলে বইছে তাপপ্রবাহ

কোম্পানীগঞ্জে পর্যটকের সঙ্গে এএসপির মারামারি

ছবি

গ্রাহকের টাকা আত্মসাৎ গোপালগঞ্জে গ্রামীণ ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

ছবি

শার্শায় সাংবাদিকের উপর হামলা

ছবি

চুয়াডাঙ্গায় রেললাইনের পাশ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার

ছবি

সালথায় স্বামীর উপর অভিমান করে গৃহবধূর আত্মহত্যা

ছবি

শিবগঞ্জে পরিবারের উপর অভিমান করে কিশোরের আত্মহত্যা

ছবি

ভালুকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ছাত্রলীগ নেতা নিহত

ছবি

নরসিংদীতে বজ্রপাতে নিহত ১, আহত ২

tab

সারাদেশ

স্থায়ী ঠাঁই চায় মুক্তিযোদ্ধার বিধবা স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী মেয়ে

প্রতিনিধি, কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ)

কটিয়াদি (কিশোরগঞ্জ) : প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদ খানের জরাজীর্ণ বাড়ি -সংবাদ

বৃহস্পতিবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২১

প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদ খান। তিনি ছিলেন কটিয়াদী থানা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নির্বাচিত কমান্ডার। ৭১ এর রণাঙ্গনে এ অঞ্চলে একজন চৌকষ মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেও পরিচিত ছিলেন তিনি। ২৭ বছর আগে স্ত্রী, দুই ছেলে ও দুই মেয়ে রেখে মারা যান। এরপর থেকেই অভাব-অনটনে দিন কাটে পরিবারটির। বর্তমানে তার বিধবা স্ত্রী মিনা আক্তার (৬৯) ও প্রতিবন্ধী মেয়ে কল্পনা আক্তার (৪৩) একটি জরাজীর্ণ টিনের ঘরে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। মুজিববর্ষে সরকারের কাছ থেকে একটি ঘর পাওয়ার বুক ভরা আশা নিয়ে অপেক্ষায় আছে তারা।

জানা যায়, কটিয়াদী পৌর এলাকার পুরাতন শহীদ মিনার সংলগ্ন সরকারি মাঠের এককোনে অস্থায়ী ঘর নির্মাণ করে প্রায় ১৪-১৫টি পরিবার বসবাস করে। এরমধ্যে একটি জরাজীর্ণ ঘরে বসবাস করছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াহিদ খানের বিধবা স্ত্রী ও প্রতিবন্ধী মেয়ে।

মিনা আক্তার বলেন, ২৭ বছর আগে আমার স্বামী মৃত্যুবরণ করে। দুই ছেলে কটিয়াদীর বাইরে থাকে, আর ছোট মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। বর্তমানে বড় মেয়ে কল্পনাকে নিয়ে সরকারি জায়গায় অস্থায়ীভাবে একটি ছোট ঘর তুলে বসবাস করছি। মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতার টাকা দিয়ে কোন রকমে সংসার চলছে। আমার ঘর নেই ও দূরাবস্থার কথা মুক্তিযোদ্ধাসহ সকলেই জানে। তারপরও আজ পর্যন্ত একটি সরকারি বরাদ্দের ঘর পাওয়া হলো না আমার। প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডারের কাছে একটি ঘরের জন্য আবেদন করেও ঘর না পাওয়ায় আক্ষেপ প্রকাশ করেন তিনি। মেয়ে কল্পনা বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রতিবন্ধী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে থাকার জন্য একটা ঘর চাই।

সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কামান্ডার তুলসী কান্তি রাউত ও সাবেক উপজেলা ডেপুটি কমান্ডার মো. ইসরাইল বলেন, নিজস্ব জায়গা না থাকায় ‘অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ’ প্রকল্পের আওতায় পরিবারটিকে ঘর বরাদ্দ দেয়া যাচ্ছে না। কিভাবে অতি দ্রুত তাদের একটি ঘর দেয়া যায় সে ব্যাপারে প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. মোহাম্মদ মুশতাকুর রহমান বলেন, প্রয়াত ওয়াহিদ খান একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। তার পরিবার ঘরহীন অবস্থায় আছে এটা আমার জন্য বেদনাদায়ক।

back to top